বাংলারজমিন
সেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণে কয়রাবাসী
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২২ মে ২০২০, শুক্রবার, ৫:১১ পূর্বাহ্ন
আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি রক্ষায় নিজেরাই কোমর বেঁধে বাঁধ নির্মাণে নেমেছেন কয়রা উপকুলবাসী। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বেড়িবাঁধ নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কপোতাক্ষ, সাগবাড়িয়া ও কয়রা নদীর পাড়ের হাজারো গ্রামবাসীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেরাই নিজেদের বাঁচাতে, নিজ মাঠের ফসল ও সম্পদ রক্ষায় নিজেরাই বাঁধ নির্মাণ শুরু করেন তারা।
গতকাল সকালে সরেজমিনে মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের পবনার বাঁধে কাজ করা অবস্থায় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন ইসলাম খোকন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আইলার সময় পবনার বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর সংস্কার করা হয়। তারপর থেকে এ বাঁধে আর কোনো কাজ হয়নি। এ বাঁধ আবার গত ২০ মে আম্পানে ভেঙে যায়। পরে মাইকিং করে ৪/৫শ’ গ্রামবাসীকে একত্রিত করে বাঁধ নির্মাণ শুরু করা হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ আসার অপেক্ষা করলে আবারও গ্রাম পানিতে ভেসে যাবে। এ কাজে অংশগ্রহণরত স্কুল শিক্ষক আলী ইমরান মুকুল বলেন, কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেরাই নিজেদের বাঁচাতে, নিজের মাঠের ফসল, সম্পদ রক্ষায় নিজেরাই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। সাগবাড়িয়া নদীতে ভাটার সময় কাজ করা গেছে। জোয়ার চলে আসায় কাজ আজকের মতো বন্ধ করা হয়েছে।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ভোর থেকে কয়রা সদরের গোবরা, ঘাটাখালী, হরিণখোলা ও দুই নাম্বার কয়রার সাধারণ মানুষ নিজেরাই ভাঙা বেড়িবাঁধ সংষ্কারের চেষ্টা করছে। জোয়ারের পানি চলে আসায় শুক্রবারের কাজ শেষ করা হয়েছে। শনিবার ভোরে আবারও সবাইকে বাঁধে আসার আহবান জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাতারে দাঁড়িয়ে বেড়িবাঁধের সংষ্কার কাজে সার্বক্ষণিক ছিলেন কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম।
কয়রার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বাধীন সমাজকল্যাণ যুব সংস্থার সভাপতি মো. আবু সাঈদ খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে লন্ডভন্ড হয়েছে গোটা কয়রা। কয়রায় ৮ টি পয়েন্ট দিয়ে বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের আংটিহারা এলাকার নিরাঞ্জন ও মাজিদ গাজীর বাড়ির সামনে। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ছোট আংটিহারা এলাকার বাকের গাজীর বাড়ির সামনে। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের গোলখালী গ্রামের তসলিম মোল্লার বাড়ির সামনে। দক্ষিণ বেদকাশীর চরামুখা খেয়াঘাট এলাকা। উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাজী পাড়া ও কাশির হাট খোলা। কয়রা সদর ইউনিয়নের হরিণখোলা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি লোকালয় প্রবেশ করেছিল। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, আম্পানে অনেক এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। যা টিকে আছে তা নড়বড়ে। জোয়ার হলে জলোচ্ছ্বাস আতঙ্কে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে এলাকার মানুষের। আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি রক্ষায় নিজেরাই কোমর বেঁধে নেমেছেন বাঁধ নির্মাণে।
কয়রার স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান, কয়রা উপজেলায় আইলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ এলাকায় পরিদর্শন করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকায় টেকসই ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার। অথচ এখনো তা হয়নি। তাদের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণের নামে কথিত ‘জরুরি কাজ’ অজুহাত দেখিয়ে লুটপাট করা হচ্ছে টাকা।
কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, খুলনার কয়রা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে জোয়ারের তোড়ে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। প্রচন্ডঝড়ে পড়ে গেছে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি। গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ কাজ করে ভাঙা বাঁধ ঠিক করছে। পাউবো কিছু বস্তা দিয়ে সহযোগিতা করছে।
গতকাল সকালে সরেজমিনে মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের পবনার বাঁধে কাজ করা অবস্থায় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন ইসলাম খোকন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আইলার সময় পবনার বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর সংস্কার করা হয়। তারপর থেকে এ বাঁধে আর কোনো কাজ হয়নি। এ বাঁধ আবার গত ২০ মে আম্পানে ভেঙে যায়। পরে মাইকিং করে ৪/৫শ’ গ্রামবাসীকে একত্রিত করে বাঁধ নির্মাণ শুরু করা হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ আসার অপেক্ষা করলে আবারও গ্রাম পানিতে ভেসে যাবে। এ কাজে অংশগ্রহণরত স্কুল শিক্ষক আলী ইমরান মুকুল বলেন, কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেরাই নিজেদের বাঁচাতে, নিজের মাঠের ফসল, সম্পদ রক্ষায় নিজেরাই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। সাগবাড়িয়া নদীতে ভাটার সময় কাজ করা গেছে। জোয়ার চলে আসায় কাজ আজকের মতো বন্ধ করা হয়েছে।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ভোর থেকে কয়রা সদরের গোবরা, ঘাটাখালী, হরিণখোলা ও দুই নাম্বার কয়রার সাধারণ মানুষ নিজেরাই ভাঙা বেড়িবাঁধ সংষ্কারের চেষ্টা করছে। জোয়ারের পানি চলে আসায় শুক্রবারের কাজ শেষ করা হয়েছে। শনিবার ভোরে আবারও সবাইকে বাঁধে আসার আহবান জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাতারে দাঁড়িয়ে বেড়িবাঁধের সংষ্কার কাজে সার্বক্ষণিক ছিলেন কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম।
কয়রার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বাধীন সমাজকল্যাণ যুব সংস্থার সভাপতি মো. আবু সাঈদ খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে লন্ডভন্ড হয়েছে গোটা কয়রা। কয়রায় ৮ টি পয়েন্ট দিয়ে বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের আংটিহারা এলাকার নিরাঞ্জন ও মাজিদ গাজীর বাড়ির সামনে। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ছোট আংটিহারা এলাকার বাকের গাজীর বাড়ির সামনে। দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের গোলখালী গ্রামের তসলিম মোল্লার বাড়ির সামনে। দক্ষিণ বেদকাশীর চরামুখা খেয়াঘাট এলাকা। উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাজী পাড়া ও কাশির হাট খোলা। কয়রা সদর ইউনিয়নের হরিণখোলা এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি লোকালয় প্রবেশ করেছিল। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, আম্পানে অনেক এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। যা টিকে আছে তা নড়বড়ে। জোয়ার হলে জলোচ্ছ্বাস আতঙ্কে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে এলাকার মানুষের। আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি রক্ষায় নিজেরাই কোমর বেঁধে নেমেছেন বাঁধ নির্মাণে।
কয়রার স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান, কয়রা উপজেলায় আইলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ এলাকায় পরিদর্শন করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকায় টেকসই ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার। অথচ এখনো তা হয়নি। তাদের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণের নামে কথিত ‘জরুরি কাজ’ অজুহাত দেখিয়ে লুটপাট করা হচ্ছে টাকা।
কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, খুলনার কয়রা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে জোয়ারের তোড়ে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। প্রচন্ডঝড়ে পড়ে গেছে কয়েকশ’ ঘরবাড়ি। গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ মানুষ কাজ করে ভাঙা বাঁধ ঠিক করছে। পাউবো কিছু বস্তা দিয়ে সহযোগিতা করছে।