বিশ্বজমিন

হাসিনা-শি ফোনালাপ

চীনা দূতাবাসের বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে

 মানবজমিন ডেস্ক

২২ মে ২০২০, শুক্রবার, ২:১৪ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে চীনের লড়াইয়ের সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশের সকল স্তরের জনগণের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছে চীন। বাংলাদেশের সত্যিকারের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করতে প্রস্তুত চীন। বুধবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোনকলে এসব কথা জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ ফোনকল সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশি জনগণের সক্ষমতার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এতে আরো বলা হয়, ফোনকলে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে চীনের লড়াইয়ের সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশের সকল স্তরের জনগণের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়ার কথা জানান শি। তিনি জানান, এতে চীনা জনগণের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের গভীর বন্ধুত্ব প্রকাশ পেয়েছে। ভাইরাসটি এখনো দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে বিস্তার লাভ করছে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা এখনো একটি শ্রমসাধ্য কাজই রয়ে গেছে। চীনা প্রেসিডেন্ট জানান, এ সময়ে বাংলাদেশের সত্যিকারের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করতে প্রস্তুত তার দেশ। আগামীতে বাংলাদেশে চীনের একটি বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল টিম পাঠানোর কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশি জনগণের সক্ষমতার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন শি। বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের সাহায্য করায় সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। একইসঙ্গে, চীনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষায় তারা প্রস্তুত আছেন বলেও জানান। শি বলেন, করোনা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তায় বিঘ্ন ঘটায় এবং বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ভাইরাসটি মোকাবিলার চেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে এমন যেকোনো পদক্ষেপের বিরোধী তিনি। শি জানান, এই ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বকে সমর্থন জানাতে এবং বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ভাইরাসটি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে যৌথ আন্তর্জাতিক সহায়তা ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করা জারি রাখবে চীন। দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের কথাও তুলে ধরেন শি। উন্নয়নের জন্য দেশ দুটি একে অপরের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। এটা আবশ্যিক যে, দেশ দুটি নিজেদের মধ্যকার কৌশলগত সহযোগিতা বৃদ্ধি করে। একইসঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে সহযোগিতা বৃদ্ধির কথাও তুলে ধরেন তিনি। চীনা প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, করোনার বিরুদ্ধে সতর্ক থেকে চীন ও বাংলাদেশে পর্যায়ক্রমে যৌথ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো চালুর ব্যাপারে কাজ করতে পারে। এতে শিল্প ও সরবরাহ চেইনের স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। দুই দেশের মধ্যে করোনা-পরবর্তী সময়ে নানা খাতে সহযোগিতার দৃঢ় ভিত্তিও স্থাপন হবে। এদিকে, ফোনালাপে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার গভীর ও দীর্ঘদিনের বন্দুত্বের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে শি’র সফল সফরের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। ওই সফরে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে চীনা দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় চীনের মূল্যবান সমর্থন ও সহায়তার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ। চীনের সহায়তায় ভাইরাসটি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা ভাইরাস একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটি মোকাবিলায় সামগ্রিকভাবে চেষ্টা করা উচিৎ। তিনি চীনে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের, বিশেষ করে উহানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দেখাশোনা করায় শি’কে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সেবা সরবরাহ করবে সরকার। চীনের সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে কাজ করতে ও দুই দেশে মধ্যকার কৌশলগত সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status