বাংলারজমিন

করোনা, ২৮০০ পরিবারের পাশে জালালাবাদ এসোসিয়েশন

স্টাফ রিপোর্টার

২২ মে ২০২০, শুক্রবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

দেশের দুর্যোগ-দুর্বিপাকে সহায়তায় বরাবর এগিয়ে থাকা ঢাকাস্থ সিলেটিদের সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন করোনার এই কঠিন সময়ে
২৮০০ পরিবারকে নীরবে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে। তাছাড়া সংগঠনের তরফে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পরপরই সিলেট অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে ৫০০ পিপিই দান করা হয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, জালালাবাদ যখন পিপিই বিতরণ করে, তখনও সরকারিভাবে ব্যাপক ভিত্তিক পিপিই সাপ্লাই শুরু হয়নি। কিন্তু দুর্ভোগ্য, সিলেটের চিকিৎসকই করোনায় প্রথম মারা গেলেন!

সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানান, প্রথমত: ঢাকায় থাকা জালালাবাদীদের মধ্য যারা করোনার কারনে আচমকা কর্মহীন বা অর্থকষ্টে এমন ৩ শতাধিক পরিবারকে সহায়তা দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিভাগীয় শহরসহ বৃহত্তর সিলেটের চার জেলায় সহায়তার পরিধি বাড়ানোর হয়। বিবেচনায় আসে করোনার এই কঠিন সময়ে অনেক সচ্ছল মানুষও বিপাকে, তারা লাইনে দাঁড় করিয়ে কিংবা জনসমক্ষে সহায়তা দেয়াটা সমীচীন হবে না। তাছাড়া এই সময়ে কে কোথায় লোক জড়ো করবে? ফলে "নো সাইনবোর্ড, নো ফটোসেশন" এমন সিদ্ধান্তে উপযুক্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রকৃত হকদার অর্থাৎ দরিদ্র, কর্মহীন বা করোনার কারণে অস্থায়ীভাবে খাদ্য সঙ্কটে পড়া বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের ৫ হাজার পরিবারকে সহায়তা দেয়ার টার্গেট ধরা হয়। যার প্রথম ধাপ অর্থাৎ ২৫০০ মানুষের হাতে সহায়তার অর্থ পোঁছে দেয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৫-১৬ দিন ধরে চলছিলো তালিকা তৈরি, যাচাই-বাছাই এবং বন্টন কার্যক্রম। যার সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ড. এ কে আবদুল মুবিন এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন আহমেদ।

চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান এবং নিম্ন আয়ের ২৮০০ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ বিষয়ে ড. মুবিন বলেন, করোনায় আমরা সবার আগে চিকিৎসক এবং তাদের সহযোগীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেছি। এ জন্য দেশে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার পরপরই আমরা তাৎক্ষণিক পিপিই বিতরণ শুরু করি। এটা বেশ ফল দিয়েছে বলে আমরা মাঠ থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। দ্বিতীয়তঃ আমরা ত্রাণ হিসাবে কিছু অর্থ বিতরণ করেছি। বিদ্যমান বাস্তবতায় পরিমাণ হয়তো খুব বেশি নয়, কিন্তু কারো কারো কাছে এটা অনেক, আমরা তাদের হাতেই সহায়তাটি পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন বিতরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, জালালাবাদের বিত্তশালী সদস্য, ভবন ট্রাস্ট এবং প্রবাসীরা করোনা ফান্ডে অর্থ দিয়েছেন। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি মাত্র। তবে যেটা চেষ্টা করেছি তা হলো যথোপযুক্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে করোনার কারণে বিপদে থাকা মানুষদের হাতে পৌঁছানোর। আমরা তা করতে সক্ষম হয়েছি। যারা অর্থ দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আর যারা গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য প্রার্থনা। উভয়ে আমাদের স্বজন। জালালাবাদ সবার নিরাপদ জীবন কামনা করে। জসিম জানান, সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা কাজে সার্বক্ষণিক দু'টো অ্যাম্বুলেন্স নিয়োজিত রয়েছে। যার যাবতীয় ব্যয় ঢাকাস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশন বহন করছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status