বিশ্বজমিন
দক্ষিণ কোরিয়ায় ফুটবল মাঠে দর্শকদের স্থলে সেক্স ডল
মানবজমিন ডেস্ক
২১ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
আর সব দেশের মতো দক্ষিণ কোরিয়াও করোনাভাইরাসের দরুন কঠোর সামাজিক দূরত্বের বিধান মেনে চলছে। তবে দেশটিতে ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। চালু হয়েছে পেশাদার ফুটবল লীগ। তবে দর্শকদের মাঠে যেতে বারণ। অর্থাৎ দর্শকশূন্য মাঠে খেলা চালাতে পারবে লীগ কর্তৃপক্ষ। এই সপ্তাহে এমনই এক ফুটবল ম্যাচ চলাকালে মাঠে দর্শকদের স্থলে ডামি পুতুল ব্যবহার করে একটি ক্লাব। পরে বের হয় ওই পুতুলের মধ্যে সেক্সডলও ছিল। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এফসি সিউল নামে ওই ফুটবল দল ক্ষমাও চেয়েছে। এ খবর দিয়েছে গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, দর্শকদের বসার স্থানে সৌন্দর্য রক্ষা করতে গিয়ে ডামি পুতুল বসানো হয়েছিল। কিন্তু সাপ্লাইয়ারের সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারণে সাধারণ পুতুলের বদলে সেক্সডলই দেখতে বসেছে খেলা।
এই মাসের শুরুতে বিশ্ব ফুটবলের প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ লীগ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার কে-লিগের খেলা শুরু হয়। লীগের প্রথম ম্যাচ বিশ্বজুড়ে ফুটবল-খরায় ভুগতে থাকা দর্শকরা ব্যাপকভাবে খেলা দেখেন অনলাইনে। কিন্তু দর্শকহীন মাঠ বেমানান দেখানোয় শূন্যতা খানিকটা পূরণে পুতুল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে রোববার গোয়াংজু এফসি’র বিরুদ্ধে ম্যাচকে কিছুটা জীবন্ত করে তুলতে আয়োজকরা যে পদক্ষেপ নেন, তা পুরো কেলেঙ্কারির জন্ম দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বের করে ফেলেন যে, ওই ডামি পুতুলগুলো আসলে সেক্সডল!
ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলছে, কারও ভুলের কারণেই এমনটি হয়েছে। পুতুলগুলো নেওয়ার আগে সাপ্লাইয়ারের সঙ্গে কথা বলে তারা নিশ্চিত হয়েছিল যে, যৌনকাজে এই পুতুলগুলো ব্যবহৃত হয় না। কিন্তু তারপরও সেরকম পুতুলই এসেছে। এক বিবৃতিতে এফসি সিউল লিখেছে, আমরা ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাই। আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। আমরা চেয়েছিলাম এই কঠিন সময়ে মজার কিছু করতে। আমরা এখন থেকে আরও ভালোভাবে চিন্তা করবো যেন এই ধরণের কোনো কিছু কখনই আর না ঘটে। তবে অনেকে এই ব্যাখ্যার সাথে একমত নন। এক ভক্ত বলেন, অনেক মানুষই এসব পুতুল অনুমোদন, আনা, পোশাক পরানো ও দর্শকদের আসনে বসানোর কাজে জড়িত ছিল। আর পুরো প্রক্রিয়ায় কেউই বুঝতে পারেনি যে, এগুলো সেক্সডল? স্পর্টস সিউল নামে এক ওয়েবসাইট মন্তব্য করেছে, বিশ্বজুড়ে ফুটবল খরার মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশের দর্শকই এখন কে-লিগের ম্যাচ দেখছেন। তাই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে যে এর কারণে আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাহানির শিকার হবে কোরিয়া।