বাংলারজমিন
চলনবিলে করোনা রোগীকে গ্রামে প্রবেশে বাঁধা
চলনবিল (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০ মে ২০২০, বুধবার, ৫:০৯ পূর্বাহ্ন
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক করোনা রোগীকে গ্রামে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। করোনা আক্রান্ত ওই রোগী উপজেলার তালম ইউনিয়নের চৌড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে রাসেল আহমেদ (২৬)। সে বগুড়ার শেরপুরের ভিআইপি হাসপাতালে ল্যাব সহকারি হিসেবে কর্মরত অবস্থায় গত ১৭ মে করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) পজেটিভ ধরা পড়ে। মঙ্গলবার বগুড়া সিভিল সার্জন ডা. মো. গউসুল আজিম চৌধুরী তাড়াশ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জামাল মিয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাসেল আহমেদে মুঠোফেনে জানায়, গত ১২মে সে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমূনা দিলে ১৭ মে তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। বর্তমানে সে শেরপুরের ভাড়া মেসে থেকে চিকিৎসা নিলেও তার খাদ্য সংকট দেখা দেয়। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে সে বাধ্য হয়েই মঙ্গলবার দুপুরে সেখান থেকে তার নিজ বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চৌড়া গ্রামের উদ্দেশ্যে এ্যাম্বুলেন্স যোগে রওয়ানা দেন। এখবর পেয়ে ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি গঞ্জের আলীর নেতৃত্বে গ্রামবাসী গ্রামের প্রবেশ পথে লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে এবং গ্রামে প্রবেশে বাধা দেন।
৪নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি গঞ্জের আলী বাধা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে তার নেতৃত্বে গ্রামে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি অমানবিক বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজি উদ্দিন।
নিরুপায় হয়ে রাসেল আহমেদ উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চাইলে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তাড়াশ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো.ওবায়দুল্লাহ, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর আইসোলেশন সেন্টারে রাখেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক সহ সাধারণ রোগীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজের সহায়তায় রাতে পূণরায় তাকে সিরাজগঞ্জ বাগবাটি কোভিট-১৯ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
রাসেল আহমেদ মুঠে ফোনে অভিযোগ করে বলেন, খবরটা শোনার পর এমনিতেই আমি মানসিকভাবে বিধস্ত। তার উপর এলাকার মানুষের এ অমানবিক আচরণ আমাকে বিষ্মিত করেছে। তাড়াশ হাসপাতালের আইশোলেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, নামেই আইশোলেশন। নোংরা বাথরুম, বেডে ধূলায় আস্তরণ। চিকিৎসা ও খাদ্য কোনটাই মেলেনি। তবে বিকেলে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফ্ফাত জাহান তার জন্য খাদ্য পাঠালে তিনি সারা দিন পর সেই খাবার খান।
তাড়াশ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামাল মিয়া বলেন, তাড়াশে এই প্রথম দু’ ব্যক্তি করোনা পজেটিভ ধরা পড়লো। ই-মেইলে তথ্য পাওয়ায় পরপরই আমরা ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়ে উঠি। দুজনের মধ্যে রাসেল আহমেদ কে রাতে, সিরাজগঞ্জ বাগবাটি কোভিট-১৯ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।। অপর রোগী, উপজেলার কাস্তা গ্রামের মো. ফিরোজ আহমেদ (২৮) তার নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এবিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফ্ফাত জাহান বলেন, এটা অমানবিক। ডাক্তারের পরামর্শে সে হোম কোরেন্টাইনে থাকার জন্য গ্রামে এসেছিল।
রাসেল আহমেদে মুঠোফেনে জানায়, গত ১২মে সে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমূনা দিলে ১৭ মে তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। বর্তমানে সে শেরপুরের ভাড়া মেসে থেকে চিকিৎসা নিলেও তার খাদ্য সংকট দেখা দেয়। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে সে বাধ্য হয়েই মঙ্গলবার দুপুরে সেখান থেকে তার নিজ বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চৌড়া গ্রামের উদ্দেশ্যে এ্যাম্বুলেন্স যোগে রওয়ানা দেন। এখবর পেয়ে ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি গঞ্জের আলীর নেতৃত্বে গ্রামবাসী গ্রামের প্রবেশ পথে লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে এবং গ্রামে প্রবেশে বাধা দেন।
৪নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি গঞ্জের আলী বাধা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে তার নেতৃত্বে গ্রামে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি অমানবিক বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজি উদ্দিন।
নিরুপায় হয়ে রাসেল আহমেদ উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চাইলে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তাড়াশ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো.ওবায়দুল্লাহ, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর আইসোলেশন সেন্টারে রাখেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক সহ সাধারণ রোগীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজের সহায়তায় রাতে পূণরায় তাকে সিরাজগঞ্জ বাগবাটি কোভিট-১৯ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
রাসেল আহমেদ মুঠে ফোনে অভিযোগ করে বলেন, খবরটা শোনার পর এমনিতেই আমি মানসিকভাবে বিধস্ত। তার উপর এলাকার মানুষের এ অমানবিক আচরণ আমাকে বিষ্মিত করেছে। তাড়াশ হাসপাতালের আইশোলেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, নামেই আইশোলেশন। নোংরা বাথরুম, বেডে ধূলায় আস্তরণ। চিকিৎসা ও খাদ্য কোনটাই মেলেনি। তবে বিকেলে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফ্ফাত জাহান তার জন্য খাদ্য পাঠালে তিনি সারা দিন পর সেই খাবার খান।
তাড়াশ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামাল মিয়া বলেন, তাড়াশে এই প্রথম দু’ ব্যক্তি করোনা পজেটিভ ধরা পড়লো। ই-মেইলে তথ্য পাওয়ায় পরপরই আমরা ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়ে উঠি। দুজনের মধ্যে রাসেল আহমেদ কে রাতে, সিরাজগঞ্জ বাগবাটি কোভিট-১৯ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।। অপর রোগী, উপজেলার কাস্তা গ্রামের মো. ফিরোজ আহমেদ (২৮) তার নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এবিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফ্ফাত জাহান বলেন, এটা অমানবিক। ডাক্তারের পরামর্শে সে হোম কোরেন্টাইনে থাকার জন্য গ্রামে এসেছিল।