বাংলারজমিন

মির্জাগঞ্জে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের খবর নেয়নি কেউ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

২০ মে ২০২০, বুধবার, ৫:০৭ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর কারণে উপকূলের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের খবর নেয়নি কেউ। অভিযোগ পাওয়া গেছে, রাতের খাবার ও সেহ্রির খাবার দেয়া হয়নি অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্রের আশ্রয় গ্রহণকারীদের। উপজেলা কন্ট্রোলরুম থেকে জানা যায়, প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের নিজ নিজ ইউপি চেয়ারম্যানদের সেহ্রির ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গতকাল উপজেলার কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র গিয়ে আশ্রয় গ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেহ্রির তো দূরের কথা রাতের খাবারই পায়নি তারা। উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের চরখালী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত রাশিদা বেগম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে ইউএনও স্যার চিড়া আর গুড় দিসে। তারপরে আর কোনো খাবার পায়নি। না খেয়ে রোজা রাখছি। মেম্বার, চেয়ারম্যান কোনো কিছু দেয়নি। কাকড়াবুনিয়া আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আ. খালেক মিয়া বলেন, সেহ্রির খাবার আবার রাতে ও না খেয়ে রয়েছি। এখন পর্যন্ত কেউই খাবার নিয়ে আসেনি। মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মনোহরখালী আশ্রয়কেন্দ্রের ফুলনেছা বিবি বলেন, কেউ খাবার নিয়া আইলো না দেহাও করে না।
এ বিষয়ে কাকড়াবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা তো কোনো অনুদান পাইনি। কী দিয়ে ব্যবস্থা করবো। মির্জাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম লিটন সিকদার জানান, আমার ইউনিয়নের আশ্রয় কেন্দ্রে ভোররাতে কোনো লোক ছিল না। তাই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি তবুও ইউপি সদস্যের খাবারের ব্যবস্থার জন্য বলা হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, সন্ধ্যা রাতে উপজেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের জন্য সেহ্রির ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status