কলকাতা কথকতা
কলকাতা কথকতা
কলকাতার প্রথম ঢাকাইয়া রেস্তোরাঁর ঝাঁপ বন্ধ, মিঠুন চক্রবর্তীও স্মৃতি রোমন্থন করেন
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
১৯ মে ২০২০, মঙ্গলবার, ১:৩৩ পূর্বাহ্ন
কলকাতার অলিতে গলিতে বাংলাদেশের খাবারের গন্ধ ম ম করে। মধ্য কলকাতা তো বটেই, দক্ষিণ কলকাতাতেও বাংলাদেশি রেস্তোরাঁর ভিড়। অথচ বছর ত্রিশ আগেও এমনটা ছিলনা। কলকাতাকে বাংলাদেশের ইলিশ ভাপা, চিংড়ির মালাইকারি, চিতলের মুইঠ্যা, নারকেল চিংড়ি, মোরগ পোলাও, খাসির রেজালার স্বাদ প্রথম এনে দেয় মির্জা গালিব স্ট্রিট এর প্রিন্স। তখন কলকাতায় কোন বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ ছিল না। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসতো বাংলাদেশের খাবার খেতে। তারপর তো মির্জা গালিব স্ট্রিটই একটুকরো বাংলাদেশ হয়ে গেল। বাংলাদেশি পর্যটকরা দেশের খাবারের স্বাদ নিতে ভিড় জমান প্রিন্সে। করোনার লকডাউনে রেস্তোরাঁর ঝাঁপ বন্ধ। কাকস্যপরিবেদনা একদা ভিড়ে গমগম করা রেস্তোরাঁটি। রেস্তোরাঁর দুই মালিক ঢাকা থেকে রিফুউজি হয়ে আসা সাহা বাবু আর পঞ্চনদের বাসিন্দা সিং সাহেব এক বিন্দুতে মিললেন কি ভাবে কে জানে? কিন্তু বিগত ত্রিশ বছর একসঙ্গে যৌথ ব্যবসা চালাচ্ছেন সাহা এবং সিং। প্রতিদিন বেলা তিনটেয় নিয়ম করে একসঙ্গে বসে খান ওরা। নিয়মের একদিনও ব্যতিক্রম হয়না। সিংজি দিব্বি মাছের কাঁটা বেছে খেতে শিখে গেছেন। পালং ঘন্ট খান হাত চেটে। সাহা বাবু বাজারের সেরা মাছটি কিনে আনেন। সিংজি ম্যানেজমেন্ট দেখেন। এই প্রতিবেদক একবার মিঠুন চক্রবর্তীকে এই রেস্তোরাঁর ইলিশ ভাপা আর নারকেল চিংড়ি খাইয়েছিল। তারপর থেকে কলকাতায় এসে পাঁচতারায় থাকলেও মিঠুনের চাই প্রিন্সের খাবার। আজও মিঠুন স্মৃতি রোমন্থন করেন এই খাবারের। করোনার থাবায় মির্জা গালিব স্ট্রিট এর এই রেস্তোরাঁ এখন শুনশান। সাহা, সিং রা বোবা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেনা, কবে খুলবে কলকাতার প্রথম ঢাকাইয়া রেস্তোরাঁর দরজা। কে বলতে পারে...