কলকাতা কথকতা

কলকাতা কথকতা

বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হারাচ্ছে ভারত, বাংলাদেশ

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা

৩ মে ২০২০, রবিবার, ১২:০৩ অপরাহ্ন

দুহাজার তেরো সালে ছিল ছ ' বিলিয়ন ডলার। দুহাজার আঠারো সালে তা বেড়ে হয়েছিল প্রায় দশ বিলিয়ন ডলার। দু হাজার কুড়িতে অঙ্কটি পৌঁছানোর কথা ছিল প্রায় একুশ বিলিয়ন ডলারে। কিন্তু তা হচ্ছে না। করাল করোনার প্রকোপে যে লকডাউন তার জেরে ভারত - বাংলাদেশ বাণিজ্য বিনিময় বিপন্ন। পেট্রাপোল সীমান্তে দুটি, চারটি ট্রাক খালাসের মাধ্যমে এই বাণিজ্য বিনিময়ের শিরদাঁড়া সিধা করা যাবেনা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এর জন্যে চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। বাংলাদেশ থেকে ভারত মূলত আমদানি করে পাট, তন্তু, চটের ব্যাগ ও চট জাত উৎপাদন, রেশম এবং জামদানি, বালুচরি, কলমকারি সহ নানা ধরণের শাড়ি। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপসীর আসল জামদানির কদর ভারতের সর্বত্র। মটকা জামদানি বিক্রি হয় এক একটি চোদ্দ হাজার টাকা দামে। বাংলাদেশের ধ্রুবতারা জামদানিরও চাহিদা আছে। মোগলরা সেই কবে বাংলাদেশের এই বিশেষ শাড়ি র নামকরণ করেছিল জামদানি। এই জামদানি লকডাউনে লক হয়ে যাওয়ায় দু বাংলার বস্ত্র ব্যাবসায়ীরা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছেন। বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি করে অনেক বস্তু। ভারতের পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে যায় বাসমতি চাল, পশ্চিমবঙ্গ থেকে যায় সুগন্ধী গোবিন্দভোগ চাল। এছাড়াও চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য, তুলো, রাসায়নিক এবং ফার্মাসিউটিকাল সামগ্রী ভারত থেকে আমদানি করে বাংলাদেশ। লকডাউনে সব বন্ধ। দু দেশই হারাচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই এই বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া না হলে বিপর্যয় নেমে আসবে দু দেশেই।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status