ভারত
বিকল্প পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করছে পশ্চিমবঙ্গ
কলকাতা প্রতিনিধি
৩০ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৭:১০ পূর্বাহ্ন
পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫৮। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২৪ জন। করোনায় প্রত্যক্ষভাবে মারা গিয়েছেন ২২ জন। আরও ৩৯জন মারা গিয়েছেন কো-মর্বিডিটিতে । এই অবস্থায় স্ক্রিনিং করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা রোধে কন্টেইনমেন্ট জোনে নজরদারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভারতে করোনা মোকাবিলার নোডাল এজেন্সি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) চীনের কিট ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট বন্ধ রাখতে বলেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিকল্প হিসেবে ট্রু-ন্যাট পদ্ধতিতে কোভিড স্ক্রিনিং টেস্টেও কাজ করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১৫টি কেন্দ্রে মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং টেকনিক্যাল স্টাফদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য স্বা¯থ্য দপ্তর সুত্রে জানা গেছ্।ে ‘ট্রু-ন্যাট’ যন্ত্র সহজেই করোনাভাইরাস গ্রুপকে চিহ্নিত করতে পারে। র্যাপিড কিটের তুলনায় ‘ট্রু-ন্যাট’-এর কার্যকরী ক্ষমতা অনেক বেশি। ‘ট্রু-ন্যাট’-এর ব্যবহারও অনেক সহজ। রিপোর্টও দ্রুত পাওয়া যায়। তবে লালারসের নমুনায় কোভিডের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে হলে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমেই তা করতে হবে। আইসিএমআর জানিয়েছে, ‘ট্রু-ন্যাট’-এ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তা চূড়ান্ত বলে ধরা হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরটি-পিসিআর কিটে পরীক্ষা করতে হবে। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে আইসিএমআর অনুমোদিত ছ’টি ভিআরডিএল ল্যাবকে ‘ট্রু-ন্যাট’ পদ্ধতিতে ১৫টি জেলায় পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য দফতরের খবর, আগামী দিনে ‘সিবি-ন্যাট’ পদ্ধতিতে করোনা-স্ক্রিনিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। কোভিড কি না নিশ্চিত হতে হলে নমুনায় ‘নিউক্লিওক্যাপসিড’ এবং ‘এনভেলপ’ এই দু’টি জিনের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে হয়। ‘ট্রু-ন্যাট’ ‘এনভেলপ’ জিন চিহ্নিত করতে পারে। সেখানে ‘সিবি-ন্যাট’ দু’টি জিনই চিহ্নিত করতে সক্ষম।