বিনোদন
‘হুমায়ূন থাকলে অনেক কথা সহজভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারতেন’
স্টাফ রিপোর্টার
৮ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, ৮:০৮ পূর্বাহ্ন
খ্যাতিমান কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র ও নাট্য নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে করোনার এই দুর্যোগে কি করতেন বলে মনে করেন? এমন একটি প্রশ্ন করা হয় হুমায়ূন পত্নী জনপ্রিয় অভিনেত্রী, সংগীতশিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে। উত্তরে তিনি বলেন, এটা ঠিক হুমায়ূন থাকলে অনেক কথা সহজভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারতেন। যেটা আমরা বলার চেষ্টা করছি, সরকার প্রধান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পর্যন্ত যে কথাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন সেগুলো খুব সাধারণভাবে পৌঁছে দিতে পারতেন। প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তারে হুমায়ূন আহমেদ রচিত কুদ্দুস বয়াতির কণ্ঠে জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘এই দিন দিন নয়’ গানটির কথা স্মরণ করে শাওন বলেন, সাধারণ কিছু অভ্যাস বদলালে বা রপ্ত করতে পারলেই যে আমরা করোনার মতো এরকম একটা মহামারি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি এটা হয়তো উনি ছড়িয়ে দিতে পারতেন তার কলামে, গানে বা নির্মাণে। সে দায়িত্বটা এখন তার ভক্তদের।
হুমায়ূনের মতো করে না হোক তারা তাদের ভালোবাসার শক্তিটাই যেন কাজে লাগান। শাওন এ কথাগুলো বলেন একটি টিভি অনুষ্ঠানে। করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে গান-কথায় সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে গানবাংলা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন এ অনুষ্ঠানিটির নাম ‘মিউজিক ফর পিস-এফবি লাইভ’। ২৬শে মার্চ থেকে শুরু হওয়া প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত লাইভ এ অনুষ্ঠানটিতে অংশ নিচ্ছেন দেশ-বিদেশের জনপ্রিয় তারকারা। ৭ই এপ্রিল এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ শাওন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন সংগীতশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদ, পূজা, নাদিয়া ডোরা, প্রত্যয় খান, নদী, নিলয়, তারেক তূর্য এবং তানজীব সরোয়ার। সংগীত পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপসের সঞ্চালনায় গান কথার এ আয়োজনে উপস্থিত হয়ে প্রত্যেক শিল্পীই দুর্যোগে মানুষকে নিজের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মনের সুস্থতার প্রতিও যতœবান হওয়ার আহ্বান জানান। পরিবেশন করেন গান। গানের শিল্পীদের মাঝে মধ্যমনি হয়ে ওঠা দুই তারকা শাওন ও বাঁধনের কথায় মিলেছে একই সুর।
দু’জনই সন্তানদের সঙ্গে ঘরে বসেই সময় কাটাচ্ছেন। পরিবারকে সময় দেয়ার পাশাপাশি শাওন চর্চা করছেন নজরুল সংগীত। দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতের কাছ থেকে পিয়ানোও শেখার পরিকল্পনা করছেন। অন্যদিকে তাদেরও নানা ধরনের সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত থাকতে উৎসাহিত করছেন। শাওনের মতে, গান শোনা, বই পড়াসহ মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে এই সময়টাকে যতোভাবে কাজে লাগানো যায় সকলের তাই করা উচিত। অন্যদিকে বাঁধনের সময় কাটছে পরিবার ও কন্যা সস্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে। দুর্যোগে সকলের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ব্যক্তিজীবনে দন্ত চিকিৎসক এ তারকা পরামর্শ দেন পরিমিত ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মানবদেহের প্রয়োজনীয় ইমিউন সিস্টেম ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর। শিশুদের প্রতি বিশেষ যতœবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাঁধন আরো বলেন, এই সময়টায় শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আমাদের বিশেষ যতœবান হতে হবে। তারা ভয় পেতে পারে। তারা খবর দেখছে, বড়দের কাছ থেকে শুনছে। করোনা ভাইরাসটি সম্পর্কে তাদেরও শোনান। তাদেরও পরিস্থিতিটা বুঝিয়ে বলুন, সচেতন করে তুলুন।
বাঁধনের সঙ্গে একমত হয়ে শাওন বলেন, নিজেকে সময় দেয়ার পাশাপাশি আমি আমার দুই সন্তানকে সময় দিচ্ছি। বড় ছেলে নিষাদের হাতে তার বাবার (হুমায়ূন আহমদের) বইগুলো তুলে দিচ্ছি। ছোট ছেলেকে বাংলা শেখাচ্ছি। আমার মনে হয় এখনই সময় শিশুদের আরো বেশি মানবিক করে তোলার। আমি তাদের খাবার অপচয় না করতে পরামর্শ দিচ্ছি। এখন তারা বাড়তি খাবার নেয় না। প্রতিদিনই কিছু খাবার ছাদে গিয়ে কাককে খাওয়ায়। কিংবা বাড়তি খাবারগুলো দারোয়ানের মাধ্যমে বাইরের ভ্রাম্যমান অসহায় প্রাণীদের জন্য পৌঁছে যায়। অনুষ্ঠানে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রের ‘সোয়াচান পাখি’ গানটি পরিবেশন করেন শাওন। জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা ইউএনডিপি ও দেশের বৃহত্তর মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি রবি নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠান দুটিসহ গানবাংলা টেলিভিশনের ফেসবুক পেজে প্রতিদিন উপভোগ করছেন প্রায় পৌনে দুই কোটি দর্শক। অনুষ্ঠানটিতে ইতিমধ্যেই অংশ নিয়েছেন প্রায় শতাধিক দেশিয় ও আন্তর্জাতিক তারকা শিল্পী। পুরো আয়োজনটির সম্প্রচার সমন্বয় করছেন সংগীতশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ।
হুমায়ূনের মতো করে না হোক তারা তাদের ভালোবাসার শক্তিটাই যেন কাজে লাগান। শাওন এ কথাগুলো বলেন একটি টিভি অনুষ্ঠানে। করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে গান-কথায় সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে গানবাংলা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন এ অনুষ্ঠানিটির নাম ‘মিউজিক ফর পিস-এফবি লাইভ’। ২৬শে মার্চ থেকে শুরু হওয়া প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত লাইভ এ অনুষ্ঠানটিতে অংশ নিচ্ছেন দেশ-বিদেশের জনপ্রিয় তারকারা। ৭ই এপ্রিল এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ শাওন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন সংগীতশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদ, পূজা, নাদিয়া ডোরা, প্রত্যয় খান, নদী, নিলয়, তারেক তূর্য এবং তানজীব সরোয়ার। সংগীত পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপসের সঞ্চালনায় গান কথার এ আয়োজনে উপস্থিত হয়ে প্রত্যেক শিল্পীই দুর্যোগে মানুষকে নিজের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মনের সুস্থতার প্রতিও যতœবান হওয়ার আহ্বান জানান। পরিবেশন করেন গান। গানের শিল্পীদের মাঝে মধ্যমনি হয়ে ওঠা দুই তারকা শাওন ও বাঁধনের কথায় মিলেছে একই সুর।
দু’জনই সন্তানদের সঙ্গে ঘরে বসেই সময় কাটাচ্ছেন। পরিবারকে সময় দেয়ার পাশাপাশি শাওন চর্চা করছেন নজরুল সংগীত। দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতের কাছ থেকে পিয়ানোও শেখার পরিকল্পনা করছেন। অন্যদিকে তাদেরও নানা ধরনের সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত থাকতে উৎসাহিত করছেন। শাওনের মতে, গান শোনা, বই পড়াসহ মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে এই সময়টাকে যতোভাবে কাজে লাগানো যায় সকলের তাই করা উচিত। অন্যদিকে বাঁধনের সময় কাটছে পরিবার ও কন্যা সস্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে। দুর্যোগে সকলের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ব্যক্তিজীবনে দন্ত চিকিৎসক এ তারকা পরামর্শ দেন পরিমিত ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মানবদেহের প্রয়োজনীয় ইমিউন সিস্টেম ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর। শিশুদের প্রতি বিশেষ যতœবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাঁধন আরো বলেন, এই সময়টায় শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আমাদের বিশেষ যতœবান হতে হবে। তারা ভয় পেতে পারে। তারা খবর দেখছে, বড়দের কাছ থেকে শুনছে। করোনা ভাইরাসটি সম্পর্কে তাদেরও শোনান। তাদেরও পরিস্থিতিটা বুঝিয়ে বলুন, সচেতন করে তুলুন।
বাঁধনের সঙ্গে একমত হয়ে শাওন বলেন, নিজেকে সময় দেয়ার পাশাপাশি আমি আমার দুই সন্তানকে সময় দিচ্ছি। বড় ছেলে নিষাদের হাতে তার বাবার (হুমায়ূন আহমদের) বইগুলো তুলে দিচ্ছি। ছোট ছেলেকে বাংলা শেখাচ্ছি। আমার মনে হয় এখনই সময় শিশুদের আরো বেশি মানবিক করে তোলার। আমি তাদের খাবার অপচয় না করতে পরামর্শ দিচ্ছি। এখন তারা বাড়তি খাবার নেয় না। প্রতিদিনই কিছু খাবার ছাদে গিয়ে কাককে খাওয়ায়। কিংবা বাড়তি খাবারগুলো দারোয়ানের মাধ্যমে বাইরের ভ্রাম্যমান অসহায় প্রাণীদের জন্য পৌঁছে যায়। অনুষ্ঠানে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রের ‘সোয়াচান পাখি’ গানটি পরিবেশন করেন শাওন। জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা ইউএনডিপি ও দেশের বৃহত্তর মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি রবি নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠান দুটিসহ গানবাংলা টেলিভিশনের ফেসবুক পেজে প্রতিদিন উপভোগ করছেন প্রায় পৌনে দুই কোটি দর্শক। অনুষ্ঠানটিতে ইতিমধ্যেই অংশ নিয়েছেন প্রায় শতাধিক দেশিয় ও আন্তর্জাতিক তারকা শিল্পী। পুরো আয়োজনটির সম্প্রচার সমন্বয় করছেন সংগীতশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ।