অনলাইন
স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ সানেমের
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:০৫ পূর্বাহ্ন
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট সংকট মোাবিলায় দুবছর মেয়াদী বিশেষ পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিবিদদের ফোরাম সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেলিং (সানেম)। এক্ষেত্রে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চারটি বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।
পরামর্শে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট কাটাতে সরকারের আর্থিক প্রণোদনাকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, সানেমের পক্ষ থেকে আমরা যেমন দুই বছর মেয়াদী অর্থনীতির পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছি, সামনের জাতীয় বাজেটকে লক্ষ্য করে ৪টি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
সুপারিশে উল্লেখ করা হয়, এ আর্থিক প্যাকেজের মধ্যে স্বাস্থ্য-খাতে বড় বরাদ্ধ প্রয়োজন, যেটা ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনায় উল্লেখ নেই। এই মুহূর্তে কম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি খরচ কমিয়ে বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কয়েকগুণ বাড়ানো প্রয়োজন।ত্বিতীয়ত, এ আর্থিক প্যাকেজে ঘোষিত অর্থের কার্যকরী সংকুলান করার ক্ষেত্রে কর-ব্যবস্থাপনা এবং ব্যাংকিং খাতের কিছু অতি প্রয়োজনীয় এবং অতি দ্রুত সংস্কার করা দরকার যা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এই দুটি খাতে সংস্কার বিরোধী কায়েমী গোষ্ঠীর স্বার্থের বিপরীতে ব্যবস্থা নেয়ার সময় এখনই।তৃতীয়ত, খেয়াল রাখতে হবে যাতে এই আর্থিক প্যাকেজের সুবিধা কিছু প্রভাবশালী খাত এবং গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি না হয়।
এক্ষেত্রে স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন এবং এই নীতিমালা বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।চতুর্থত, দরিদ্র, অতিদরিদ্র, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং বর্তমান পরিস্থিতে আকস্মিকভাবে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা এবং নতুনধেরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রণয়ন প্রয়োজন।
এ বিশাল জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে। অথচ ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজে অনানুষ্ঠানিক খাত নিয়ে কোন কথা নেই। অভিজ্ঞতা বলে, বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অনেক ফাঁক-ফোঁকর আছে, যাতে এসব কর্মসূচির উদ্দেশ্য পূরণ অনেক ক্ষেত্রেই বাধাগ্রস্ত হয়। তাই সামাজিক নিরাপত্তা খাতে দুর্নীতির বিরূদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান, এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
পরামর্শে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট কাটাতে সরকারের আর্থিক প্রণোদনাকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, সানেমের পক্ষ থেকে আমরা যেমন দুই বছর মেয়াদী অর্থনীতির পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছি, সামনের জাতীয় বাজেটকে লক্ষ্য করে ৪টি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
সুপারিশে উল্লেখ করা হয়, এ আর্থিক প্যাকেজের মধ্যে স্বাস্থ্য-খাতে বড় বরাদ্ধ প্রয়োজন, যেটা ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনায় উল্লেখ নেই। এই মুহূর্তে কম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি খরচ কমিয়ে বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কয়েকগুণ বাড়ানো প্রয়োজন।ত্বিতীয়ত, এ আর্থিক প্যাকেজে ঘোষিত অর্থের কার্যকরী সংকুলান করার ক্ষেত্রে কর-ব্যবস্থাপনা এবং ব্যাংকিং খাতের কিছু অতি প্রয়োজনীয় এবং অতি দ্রুত সংস্কার করা দরকার যা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এই দুটি খাতে সংস্কার বিরোধী কায়েমী গোষ্ঠীর স্বার্থের বিপরীতে ব্যবস্থা নেয়ার সময় এখনই।তৃতীয়ত, খেয়াল রাখতে হবে যাতে এই আর্থিক প্যাকেজের সুবিধা কিছু প্রভাবশালী খাত এবং গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি না হয়।
এক্ষেত্রে স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন এবং এই নীতিমালা বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।চতুর্থত, দরিদ্র, অতিদরিদ্র, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং বর্তমান পরিস্থিতে আকস্মিকভাবে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা ও পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা এবং নতুনধেরনের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রণয়ন প্রয়োজন।
এ বিশাল জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে। অথচ ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজে অনানুষ্ঠানিক খাত নিয়ে কোন কথা নেই। অভিজ্ঞতা বলে, বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অনেক ফাঁক-ফোঁকর আছে, যাতে এসব কর্মসূচির উদ্দেশ্য পূরণ অনেক ক্ষেত্রেই বাধাগ্রস্ত হয়। তাই সামাজিক নিরাপত্তা খাতে দুর্নীতির বিরূদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান, এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।