বিশ্বজমিন

৯ কোটি বছর আগে এন্টার্কটিকায় রেইনফরেস্ট ছিল: গবেষণা

মানবজমিন ডেস্ক

৬ এপ্রিল ২০২০, সোমবার, ৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ মেরু অত্যন্ত কঠিন, বরফে ঢাকা অঞ্চল। সারাবছরই হয়ত বরফ নয়তো তুষার বিদ্যমান সেখানে। কিন্তু অঞ্চলটি সবসময় এমন ছিল না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, কয়েক কোটি বছর আগে সেখানে ছিল রেইনফরেস্ট। হরেক রকমের প্রাণী ও গাছ দিয়ে সমৃদ্ধ ছিল সে বন। বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ন্যাচারে বুধবার ওই গবেষণা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে, আনুমানিক ৯ কোটি বছর আগে এন্টার্কটিকার বিশাল অঞ্চলজুড়ে ছিল রেইনফরেস্ট। অঞ্চলটির পাইন আইল্যান্ড গ্লেসিয়ারের নিকটে মাটির নিচে সুষমভাবে সুরক্ষিত মূলের নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা। এই আবিষ্কারে হত্তভম্ব হয়ে গেছিলেন গবেষকরা নিজেরাই।
প্রতিবেদনে গবেষক ড. জোহান ক্লাগেস জানান, সংগৃহীত পলিস্তরের রঙের সঙ্গে অন্যান্য মাটির রঙের পার্থক্য প্রথমেই তাদের চোখে পড়ে। উপরের স্তরগুলোর তুলনায় এটি ভিন্ন ছিল। ক্লাগেস আলফ্রেড ওয়েগনার ইন্সটিটিউট হেল্মহলথজ সেন্টার ফর পোলার অ্যান্ড ম্যারিন রিসার্চের একজন জিওলজিস্ট। তিনি জানান, সিটি স্ক্যান শেষে দেখা যায় পলি স্তরটি এত সুষমভাবে সংরক্ষিত ছিল যে, তাতে এখনো ফুলের রেণু, স্পোর ও গাছের অবশিষ্টাংশের চিহ্ন ছিল। এমনকি স্বতন্ত্র কোষের গঠনও লক্ষ করা গেছে। তিনি গবেষণা প্রতিবেদনটির মূল লেখক।    
প্রতিবেদনটির সহরচিয়তা অধ্যাপক উলরিক সালজামান বলেন, বিশেষ করে পলি স্তরটিতে ৯ কোটি বছর আগের এত বিচিত্র রেণু, ও অন্যান্য গাছের অবশিষ্টাংশ সুষমভাবে সংরক্ষিত থাকতে দেখাটা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক ছিল। সালজামান নরথামব্রিয়ার একজন পালেওসোলোজিস্ট।
সালজামান বলেন, গাছের অবশিষ্টাংশগুলো বোঝা যায় যে, পশ্চিম এন্টার্কটিকার উপকূলে একসময় ঘন রেইনফরেস্ট ছিল। তিনি বলেন, গত ১৪ কোটি বছরের মধ্যে এন্টার্কটিকা যখন সবচেয়ে উষ্ণ ছিল, তখনই এই রেইনফরেস্ট জন্মেছিল।
তবে কিছু রহস্যজনক প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে এই আবিষ্কারে। এন্টার্কটিকা যদি রেইনফরেস্ট জন্মানোর মতো উষ্ণই ছিল, তাহলে সেটি শীতল হলো কিভাবে? কিভাবে পুরো অঞ্চলটি বরফের চাদরের নিচে ঢাকা পড়ে গেল? তাপমাত্রায় এত নাটকীয় পরিবর্তন এলো কিভাবে?
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status