ভারত

সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৩ গুণ

ভারতে করোনায় রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু ও আক্রান্ত

কলকাতা প্রতিনিধি

৬ এপ্রিল ২০২০, সোমবার, ১:৫৯ পূর্বাহ্ন

ভারতে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হার পুরনো রেকর্ডকে ভেঙ্গে নতুন নতুন রেকর্ড করছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৬৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে মৃতের সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে ১০৯-এ গিয়ে পৌঁছেছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্বশেষ রিপোর্টে বলেছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারতে ৪০৬৭ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে পর পর চারদিন ভারতে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, ২২ মার্চ যে অবস্থাটা ছিল, তার থেকে তিন গুণ ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। দেশের ২৭৪টি জেলায় করোনার প্রকোপ ধরা পড়েছে। করোনা ভাইরাসের আগ্রাসন ঠেকাতে দেশকে এবার ছোট ছোট এলাকাভিত্তিক গন্ডিতে বিভক্ত করে ফেলার কৌশল নিয়েছে সরকার। এই ভৌগোলিক ক্ষেত্রীয় বিভাজনের উদ্দেশ্য হল, যেখানে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে, সেখানে থেকে রোগটা যেন কোনও মতেই অন্য এলাকায় পৌঁছতে না পারে। যাতে নোভেল করোনা ভাইরাসের বিস্তারের শৃঙ্খলটা ভাঙা যায়। সেই লক্ষ্যে ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা রবিবার দেশের সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য সচিবদের নিয়ে এক ভিডিও বৈঠক করেছেন। ঠিক হয়েছে, গোটা দেশকে দু’ধরনের জোনে বা ক্ষেত্রে ভাগ করে লড়াই চালানো হবে। একটি হচ্ছে কন্টেনমেন্ট জোন, যেখানে রোগটা বেশি ছড়িয়েছে বা বড় জমায়েতের কারণে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। দুই, বাফার জোন, যেখানে রোগ ছড়ায়নি। এই দুই ধরনের জোনের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে দ্বিতীয় অংশকে বাঁচানো এবং প্রথম ধরনের জোনে কঠোর রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা কায়েম করা। জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার ‘প্রো-অ্যাকটিভ, কঠোর ও অনমনীয়’ হতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রতিটি গন্ডিবদ্ধ এলাকায় কাজ হবে ৫ ভাবে। এক, প্রতিটি ভৌগোলিক গন্ডিকে বিচ্ছিন্ন রাখা। দুই, সামাজিক সংসর্গ থেকে দূরে থাকার বিষয়টি কঠোর ভাবে পালন করা। তিন, অনেক বেশি ও নিরন্তর নজরদারি। চার, প্রয়োজন বুঝলেই কোয়ারেন্টিন বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। পাঁচ, সংক্রমণের প্রকৃত ছবিটা জানতে ব্যাপক হারে ‘র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট’। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ২০ পাতার এই নথিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত বা আন্তঃরাজ্য সীমানা যেমন সিল করা হয়েছে তেমনই এক-একটি ছোট এলাকা সীমাও সিল করা হবে। অত্যাবশ্যক পরিষেবায় যুক্তরা বাদে আর সকলের ক্ষেত্রে বেরনো বা ঢোকা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত হবে। বন্ধ থাকবে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের যান চলাচল, স্কুল-কলেজ ও অফিস। বাড়ি বাড়ি চলবে সমীক্ষা। কারও উপসর্গ দেখা দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্তত চার সপ্তাহ কারও করোনা-টেস্ট পজিটিভ না-পেলে, তবেই সেই এলাকাকে নিরাপদ গণ্য করা হবে। তার আগে রোগ-নিয়ন্ত্রণের কঠোর ব্যবস্থাগুলি শিথিল করা হবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status