বিশ্বজমিন
একজন জেসিকার আকুতি
মোহাম্মদ আবুল হোসেন
২ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৩:৫১ পূর্বাহ্ন
সেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে এবার ফোন ড. জেসিকা ইয়াসমিন ইসলাম-আওয়ালের। কাতর মিনতি- স্যার, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচাচুসেটসে অবস্থিত বস্টন মেডিকেল সেন্টার থেকে ছাড় পাওয়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের একটি হ্যান্ডলিফট দেয়া হচ্ছে। তাতে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা বলে দেয়া হয়েছে। ওই হ্যান্ডলিফটি আমি এবং আমার বন্ধু নাবিলা ইদ্রিস অনুবাদ করেছি। যদি পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করেন তাহলে আমার বাবার দেশ, আমার দেশ, বাংলাদেশের অনেক মানুষের উপকার হতে পারে।
সুদূর আমেরিকা থেকে জেসিকার এই আকুতির দাম কতটুকু জানি না। তবে এদেশে জন্ম না নিলেও এদেশকে সে ভালবাসে। এখানকার মাটি আর মানুষকে সে ভালবাসে। তাই এই মহাসঙ্কটের সময় তাদের কথা মনে হয়েছে তার। ওর আকুতি, যদি একটি মানুষও এই হ্যান্ডলিফট পড়ে উপকৃত হয় বা জীবন বাঁচাতে পারে তা হবে আমার জীবনের বড় পাওয়া। দেশকে ভালবাসি আমি। যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বাংলাদেশকে ভুলে যাই নি।
ড. জেসিকা ইয়াসমিন ইসলাম আমার এক সময়ের ছাত্রী। ওর পিতা কুষ্টিয়ার। মা ইকুয়েডরের। পিতা মার্কিন নৌ বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার। জেসিকা ওর ছোটভাই আর মাকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে একুশ শতকের শুরুর দিকে। ওঠে গুলশান ৫০ নম্বর রোডে নিজেদের বাসায়। সেখানেই ওকে ও-লেভেল, এ-লেভেল পড়াই। চমৎকার ফল করে ফুল স্কলারশিপ নিয়ে ২০০৮ সালের দিকে পড়তে চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যানডারবিল্ট ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করে। তারপর মহামারি বিষয়ে তার পড়া ও গবেষণা। এক পর্যায়ে ইউএনসি লিনেবার্গার কমপ্রিহেনসিভ ক্যান্সার সেন্টারে পোস্ট ডক্টরাল সম্পন্ন করে। মহামারি নিয়ে চ্যাপার হিলে দ্য ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে অর্জন করে পিএইচডি। বর্তমান বসবাস নর্থ ক্যারোলাইনায়। জাতিসংঘের অধীনে নানা প্রকল্পে কাজ করেছে। মহামারি নিয়ে গবেষণা করছে এখনও। প্রতিনিয়ত লেকচার দিতে হয় তাকে মহামারি, ক্যান্সার বিষয়ে। তার গবেষণার বিষয়, সার্ভিক্যাল ক্যান্সার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যে পঙ্গুত্ব তা নিয়ে। এ ছাড়া এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ে ভুগছেন তাদের ক্যান্সার ইস্যুতে তার গবেষণা। তার কর্মক্ষেত্র, কাজের পরিধি বিস্তর। তার কাছ থেকে যখন এমন অনুরোধ পেলাম, তখন তা নিজের ভিতর রেখে না দিয়ে প্রকাশ করার ইচ্ছা হলো। নিচে তার সেই হ্যান্ডলিফটটির ছবি।
ক্যান্সার নিয়ে জেসিকা ইয়াসমিন ইসলামের সাক্ষাতকার
সুদূর আমেরিকা থেকে জেসিকার এই আকুতির দাম কতটুকু জানি না। তবে এদেশে জন্ম না নিলেও এদেশকে সে ভালবাসে। এখানকার মাটি আর মানুষকে সে ভালবাসে। তাই এই মহাসঙ্কটের সময় তাদের কথা মনে হয়েছে তার। ওর আকুতি, যদি একটি মানুষও এই হ্যান্ডলিফট পড়ে উপকৃত হয় বা জীবন বাঁচাতে পারে তা হবে আমার জীবনের বড় পাওয়া। দেশকে ভালবাসি আমি। যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বাংলাদেশকে ভুলে যাই নি।
ড. জেসিকা ইয়াসমিন ইসলাম আমার এক সময়ের ছাত্রী। ওর পিতা কুষ্টিয়ার। মা ইকুয়েডরের। পিতা মার্কিন নৌ বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার। জেসিকা ওর ছোটভাই আর মাকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে একুশ শতকের শুরুর দিকে। ওঠে গুলশান ৫০ নম্বর রোডে নিজেদের বাসায়। সেখানেই ওকে ও-লেভেল, এ-লেভেল পড়াই। চমৎকার ফল করে ফুল স্কলারশিপ নিয়ে ২০০৮ সালের দিকে পড়তে চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যানডারবিল্ট ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করে। তারপর মহামারি বিষয়ে তার পড়া ও গবেষণা। এক পর্যায়ে ইউএনসি লিনেবার্গার কমপ্রিহেনসিভ ক্যান্সার সেন্টারে পোস্ট ডক্টরাল সম্পন্ন করে। মহামারি নিয়ে চ্যাপার হিলে দ্য ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে অর্জন করে পিএইচডি। বর্তমান বসবাস নর্থ ক্যারোলাইনায়। জাতিসংঘের অধীনে নানা প্রকল্পে কাজ করেছে। মহামারি নিয়ে গবেষণা করছে এখনও। প্রতিনিয়ত লেকচার দিতে হয় তাকে মহামারি, ক্যান্সার বিষয়ে। তার গবেষণার বিষয়, সার্ভিক্যাল ক্যান্সার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যে পঙ্গুত্ব তা নিয়ে। এ ছাড়া এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ে ভুগছেন তাদের ক্যান্সার ইস্যুতে তার গবেষণা। তার কর্মক্ষেত্র, কাজের পরিধি বিস্তর। তার কাছ থেকে যখন এমন অনুরোধ পেলাম, তখন তা নিজের ভিতর রেখে না দিয়ে প্রকাশ করার ইচ্ছা হলো। নিচে তার সেই হ্যান্ডলিফটটির ছবি।
ক্যান্সার নিয়ে জেসিকা ইয়াসমিন ইসলামের সাক্ষাতকার