বাংলারজমিন

সীতাকুণ্ডে চাঁদাবাজির সময় কনস্টেবলসহ আটক ৩

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, ৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

সীতাকুণ্ডে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পরিচয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজির সময় সোহেল রানা নামক সিএমপির এক পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে জনতা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় উপজেলার বড়কুমিরা বাজারে এ ঘটনাঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে তিন যুবক উপজেলার কুমিরা বাজারে একটি প্রাইভেটকার যোগে উপস্থিত হয়। এরপর তাদের মধ্যে একজন নিজেকে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা তাদেরকে লকডাউনের মধ্যে দোকান খোলার কারণ কি ?- এমন প্রশ্ন করে ধমকাতে থাকে। যুবকটির প্যান্টের পাশে পিস্তলের বাক্স থাকায় তাকে সিভিল পুলিশ মনে করে ভয় পেয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। এই সুযোগে সে ডাল-চাল মিয়া মাজার রোডস্থ অন্তত১২-১৫টি দোকান থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে। এমনকি কয়েকজন দোকানদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোহেল রানা জোর জবস্তি তাদের ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা লুটেনিতে থাকে। এক পর্যায়ে এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, ৭নং ওয়ার্ডেরইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিনসহ স্থানীয়রা ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখেন এলাকাবাসী তিন জনকেই আটক করে গণধোলাই দিয়েছে। পরেতাদেরকে আটক রেখে সীতাকু- থানায় খবর দিলে ওসি মো. ফিরোজহোসেন মোল্লা, ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়েসেখানে ছুটে যান। তারা জনতাকে শান্ত করে এলাকাবাসীকে সাক্ষীকরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি জানিয়ে তিনজনকে আটক করেথানায় নিয়ে যান। আটককৃত সোহেল রানা বর্তমানে দামপাড়াপুলিশ লাইনে আছে। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি। কুমিরা ইউনিয়নপরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী ও ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, মো. সোহেল নামক চট্টগ্রাম মেট্টো পলিটন পুলিশের এক কনস্টেবল মো. সোহেল রানা,তার একজন সোর্স ও গাড়ি চালক নিয়ে কুমিরা ডাল-মিয়া মাজাররোডের বিভিন্ন দোকানীকে লকডাউনের সময় খোলা রাখায় মামলারভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে। যারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের কাছ ক্যাশ থেকে জোর করে টাকা লুট করতে থাকে তারা। একজন পুলিশ ক্যাশ থেকে নিজহাতে টাকা লুট করছে শুনে আমাদেরও সন্দেহ হয়। এর আগে তারা
জোড়ামতল বাজারেও চাঁদাবাজি করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই এলাকাবাসীও বিষয়টি সন্দেহ করে তাদেরকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা ও ওসি তদন্তশামীম শেখ এসে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ডু থানার ওসি ফোনধরেননি। আর ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক অফিসার বলেন, সে সিএমপির একজন কনস্টেবল অথচ চাঁদা তুলতে এসেছে সীতাকুণ্ডে। তাও সীতাকুণ্ড থানার অফিসার পরিচয়ে। যদি জনতার হাতে সে আটক না হতো তবে দায় এসে পড়ত সীতাকুণ্ড থানার পুলিশের উপর। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status