অনলাইন
চা-বাগান ছুটি ঘোষণার দাবি রাজনগরে চা শ্রমিকদের
রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
৩১ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারের রাজনগরে মাথিউড়া চা বাগানে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ছুটি ঘোষণার দাবিতে চা-শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও সমাবেশ করেছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলে। এর আগে গত সোমবার জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপিও জমা দেয়া হয়েছে তারা।
চা শ্রমিকরা জানান, মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব ঠেকাতে সরকার সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়িতে থাকতে সকলকে বলা হয়েছে। কিন্তু চা-শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে এখনো কাজে যাচ্ছেন। চা শ্রমিকদের জীবনের মূল্য নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে- এমন মন্তব্য করেন তারা। চা বাগানে করোনা মোকাবেলায় নেই কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। তাদেরকে হাত ধোয়ার কথা বলা হলেও নেই প্রয়োজনীয় উপকরণ। তাছাড়া শ্রমিকরা পুষ্টিকর খাবারের অভাবে অপুষ্টিতে ভোগায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও তাদের তুলনামূলক কম। এছাড়া বাগানের ভিতর কোনো বাজার ও দোকানপাট না থাকায় দৈনন্দিন জিনিসপত্র কিনতে যেতে হয় নিকটস্থ টেংরা বাজারে। ফলে সেখান থেকে কোন শ্রমিক সংক্রমিত হয়ে বাগানে চলে আসলে নিম্ন আয়ের চা শ্রমিকরা আর বাঁচতে পারবেন না বলে দাবি করেন শ্রমিকরা। তাদের দাবি, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তারা নিরলস কাজ করে আসছেন। কিন্তু এই মহামারিতে তাদের জীবনের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে মজুরী ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রেখে কর্তৃপক্ষ ও সরকারের পক্ষ থেকে চা শ্রমিকদের ছুটি দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ কার হোক।
মাথিউড়া চা বাগানের শ্রমিক আছিয়া বেগম বলেন, বাগানে ঘনবসতি রয়েছে। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা কঠিন। কেউ একজন আক্রান্ত হলে আমরা কেউ বাঁচতে পারব না। আমাদের জীবনের কথা কেউ ভাবে না।
এদিকে বাগানের শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে মজুরী ও অন্যান্য সুবিধা দিয়ে ছুটির দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা কর্মবিরতি ও সমাবেশ করেছে মাথিউড়া চা বাগানের শ্রমিকরা। এসময় সমাবেশে বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সুগ্রীম গৌড়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য বিক্রম গৌড়, বাগান পঞ্চায়েত সেক্রেটারী রামলাল রবিদাস, শ্রমিক নেতা কালিচরণ দাস, লালন রাজভর চৌধুরী প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জয় গৌড়, সমলু সালিয়া, রতন রবি দাস, চান্দাইয়া নাইডু, আবুল কালাম আজাদ, বিজয় গৌড়, রবিন মিয়া, স্বপন রবিদাস, স্বপন ননিয়া প্রমুখ।
মাথিউড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এই মুহুর্তে বাগান ছুটি দেয়ার কোনো নির্দেশনা আমি পাইনি। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে আমারা সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিয়মিত হাত ধোয়া ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। ইতিমধ্যে শ্রমিকদের মাঝে সাবান ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
এরআগে গত সোমবার একই দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিভিন্ন বাগানের শ্রমিক নেতা ও চা শ্রমিকরা।
চা শ্রমিকরা জানান, মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব ঠেকাতে সরকার সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়িতে থাকতে সকলকে বলা হয়েছে। কিন্তু চা-শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে এখনো কাজে যাচ্ছেন। চা শ্রমিকদের জীবনের মূল্য নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে- এমন মন্তব্য করেন তারা। চা বাগানে করোনা মোকাবেলায় নেই কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। তাদেরকে হাত ধোয়ার কথা বলা হলেও নেই প্রয়োজনীয় উপকরণ। তাছাড়া শ্রমিকরা পুষ্টিকর খাবারের অভাবে অপুষ্টিতে ভোগায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও তাদের তুলনামূলক কম। এছাড়া বাগানের ভিতর কোনো বাজার ও দোকানপাট না থাকায় দৈনন্দিন জিনিসপত্র কিনতে যেতে হয় নিকটস্থ টেংরা বাজারে। ফলে সেখান থেকে কোন শ্রমিক সংক্রমিত হয়ে বাগানে চলে আসলে নিম্ন আয়ের চা শ্রমিকরা আর বাঁচতে পারবেন না বলে দাবি করেন শ্রমিকরা। তাদের দাবি, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তারা নিরলস কাজ করে আসছেন। কিন্তু এই মহামারিতে তাদের জীবনের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে মজুরী ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রেখে কর্তৃপক্ষ ও সরকারের পক্ষ থেকে চা শ্রমিকদের ছুটি দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ কার হোক।
মাথিউড়া চা বাগানের শ্রমিক আছিয়া বেগম বলেন, বাগানে ঘনবসতি রয়েছে। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা কঠিন। কেউ একজন আক্রান্ত হলে আমরা কেউ বাঁচতে পারব না। আমাদের জীবনের কথা কেউ ভাবে না।
এদিকে বাগানের শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে মজুরী ও অন্যান্য সুবিধা দিয়ে ছুটির দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা কর্মবিরতি ও সমাবেশ করেছে মাথিউড়া চা বাগানের শ্রমিকরা। এসময় সমাবেশে বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি সুগ্রীম গৌড়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য বিক্রম গৌড়, বাগান পঞ্চায়েত সেক্রেটারী রামলাল রবিদাস, শ্রমিক নেতা কালিচরণ দাস, লালন রাজভর চৌধুরী প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জয় গৌড়, সমলু সালিয়া, রতন রবি দাস, চান্দাইয়া নাইডু, আবুল কালাম আজাদ, বিজয় গৌড়, রবিন মিয়া, স্বপন রবিদাস, স্বপন ননিয়া প্রমুখ।
মাথিউড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এই মুহুর্তে বাগান ছুটি দেয়ার কোনো নির্দেশনা আমি পাইনি। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে আমারা সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিয়মিত হাত ধোয়া ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। ইতিমধ্যে শ্রমিকদের মাঝে সাবান ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
এরআগে গত সোমবার একই দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিভিন্ন বাগানের শ্রমিক নেতা ও চা শ্রমিকরা।