বিশ্বজমিন
করোনা: ভারতে হেনস্থার শিকার স্বাস্থ্যকর্মীরা
মানবজমিন ডেস্ক
২৯ মার্চ ২০২০, রবিবার, ১২:৫২ অপরাহ্ন
ভারতে করোনা ভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বীর উপাধি পেলেও বাস্তব জীবনে তারা নানা ধরণের হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স, ডেলিভারি ড্রাইভার ও হাসপাতালের অন্য কর্মচারিদেরও তাদের প্রতিবেশীদের বিরূপ আচরণ ও মন্তব্য সহ্য করতে হচ্ছে। পাকিস্তানভিত্তিক ডনের খবরে বলা হয়েছে, ভারতীয় অনেকগুলো ই-কমার্স কোম্পানি এই হেনস্থার কারণে তাদের সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, হাসপাতালকর্মীদের ওপর এমন আঘাত দেশের জন্য বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের সবপ্রান্ত থেকেই এ ধরণের হেনস্থার খবর আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যের জরুরি ঔষধ সরবরাহকারী এক কর্মীকে পেটানোর ঘটনা ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। দেশটির সুরাট শহরের চিকিৎসক সঞ্জীবনী পানিগ্রাহী জানান কিভাবে হাসপাতাল থেকে ফেরার পর তিনি হেনস্থা হয়েছেন। তিনি অনেকদিন করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করে বাসায় ফেরেন। কিন্তু তাকে দেখে তার প্রতিবেশীরা তার অ্যাপার্টমেন্টের দরজা আগলে রাখে। তাকে হুমকি দেয়া হয় কাজ ছেড়ে দেয়ার জন্য। নইলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বলেও জানিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, এই মানুষগুলোর সঙ্গে আমি প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করেছি। তাদের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু হঠাৎ সব বদলে গেলো।
এ সপ্তাহে ভারতের চিকিৎসকদের সংগঠন সরকারের কাছে এ নিয়ে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। তাদেরকে নিজ বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। আবেদন পত্রে বলা হয়, অনেক চিকিৎসককে রাতভর লাগেজ হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। দেশে কেউ তাদের আশ্রয় দিচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতীয় চিকিৎসকদের ঈশ্বরতুল্য ঘোষণা করেছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হেনস্থা নিয়ে উদ্বেগও জানিয়েছেন তিনি। শুধু স্বাস্থ্যকর্মীরাই নয় ভারতে হেনস্থা হচ্ছেন অন্য জরুরি সেবা প্রদানকারীরাও। বিমান সংস্থার কর্মী যারা এখনো বিভিন্ন দেশে আটকে পরা ভারতীয়দের দেশে নিয়ে আসছেন, তাদেরকেও হেনস্থা হতে হচ্ছে। ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া এ নিয়ে নিন্দাও জানিয়েছে।
ভারতের সবপ্রান্ত থেকেই এ ধরণের হেনস্থার খবর আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যের জরুরি ঔষধ সরবরাহকারী এক কর্মীকে পেটানোর ঘটনা ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। দেশটির সুরাট শহরের চিকিৎসক সঞ্জীবনী পানিগ্রাহী জানান কিভাবে হাসপাতাল থেকে ফেরার পর তিনি হেনস্থা হয়েছেন। তিনি অনেকদিন করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করে বাসায় ফেরেন। কিন্তু তাকে দেখে তার প্রতিবেশীরা তার অ্যাপার্টমেন্টের দরজা আগলে রাখে। তাকে হুমকি দেয়া হয় কাজ ছেড়ে দেয়ার জন্য। নইলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বলেও জানিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, এই মানুষগুলোর সঙ্গে আমি প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করেছি। তাদের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু হঠাৎ সব বদলে গেলো।
এ সপ্তাহে ভারতের চিকিৎসকদের সংগঠন সরকারের কাছে এ নিয়ে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। তাদেরকে নিজ বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। আবেদন পত্রে বলা হয়, অনেক চিকিৎসককে রাতভর লাগেজ হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। দেশে কেউ তাদের আশ্রয় দিচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতীয় চিকিৎসকদের ঈশ্বরতুল্য ঘোষণা করেছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হেনস্থা নিয়ে উদ্বেগও জানিয়েছেন তিনি। শুধু স্বাস্থ্যকর্মীরাই নয় ভারতে হেনস্থা হচ্ছেন অন্য জরুরি সেবা প্রদানকারীরাও। বিমান সংস্থার কর্মী যারা এখনো বিভিন্ন দেশে আটকে পরা ভারতীয়দের দেশে নিয়ে আসছেন, তাদেরকেও হেনস্থা হতে হচ্ছে। ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া এ নিয়ে নিন্দাও জানিয়েছে।