করোনা আপডেট

করোনা ভাইরাস: এখনও যা জানি না আমরা

মানবজমিন ডেস্ক:

২৯ মার্চ ২০২০, রবিবার, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাস অনেকটা আগেই আবির্ভূত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্ববাসী শুধু ডিসেম্বরেই এই ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পেরেছে। তারপর থেকে সারাবিশে^র বিজ্ঞানীদের মধ্যে অব্যাহতভাবে এর প্রতিষেধক বা টীকা আবিস্কার নিয়ে অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা এক্ষেত্রে সফল হন নি। সারাবিশ্ব এখনও করোনা ভাইরাসকে জানার চেষ্টা করছে। এখনও অনেক প্রশ্নের কোনো প্রকৃত উত্তর মেলেনি। তা নিয়ে বিবিসির স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিনিধি জেমস গ্যালাঘার একটি প্রতিবেদন লিখেছেন।

প্রকৃতপক্ষে কত মানুষ আক্রান্ত
প্রকৃতপক্ষে বিশ্বজুড়ে কত সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বজুড়ে কয়েল লাখ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু তাদের একটি ভগ্নাংশ মাত্র গণনায় আসছে। ফলে যেসব মানুষ গণনার বাইরে রয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে নিয়ে রয়েছে উদ্বেগ। কারণ, তাদের কাছ থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। আবার অনেক মানুষ আছেন, যারা একই রকম লক্ষণ নিয়ে বেঁচে আছেন। তারা একে পাত্তাই দিচ্ছেন না। কারণ, তারা গুরুত্বর অসুস্থ বোধ করছেন না। পরীক্ষার জন্য যদি কোনো এন্টিবডি আবিষ্কার হয় তাহলে গবেষকরা দেখতে পারবেন কার কার মধ্যে আছে এই ভাইরাস। পরীক্ষা করাতে পারবেন সবাই। তখনই বোঝা যাবে আসলে কত সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত।

বাস্তবে কতটা ভয়াবহ
যেহেতু কত সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত সেটা নিশ্চিতভাবে না জানার কারণে প্রকৃত মৃত্যুহার নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। বর্তমানে শতকরা প্রায় এক ভাগ আক্রান্ত মানুষ মারা যাচ্ছেন। যদি একই লক্ষণযুক্ত রোগীদের ধরা হয় তাহলে হয়তো এই হার আরো কমে আসবে।

করোনার লক্ষণ
করোনা ভাইরাসের মূল লক্ষণ হলো জ¦র এবং শুকনো কাশি। এখন পর্যন্ত একেই এই রোগের প্রধান উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া আছে গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যাদের হালকা লক্ষণ আছে, কাশির মতো অবস্থা, নাক দিয়ে সর্দি ঝরছে, হাঁচি হচ্ছে, তাদের বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শিশুদের ভূমিকা
শিশুদেরও হতে পারে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ। তাদের মধ্যে দেখা দেয় হাল্কা লক্ষণ। তবে তাদের মধ্যে মৃত্যুহার অনেক কম। তারাও এ রোগ ছড়ায়। কারণ, তারা অধিক সংখ্যক শিশুর সঙ্গে মেশে। অনেক সময় খেলতে গিয়ে বিপুল সংখ্যক বন্ধুর সংস্পর্শে যায়।

আসলে কোথা থেকে এসেছে
এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে তা হলো ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে উৎপত্তি করোনা ভাইরাসের। সেকানকার একটি পশুর মার্কেট থেকে এর উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। বাঁদুরকে সংক্রমিত করে এমন সব ভাইরাসের সঙ্গে অনেকটা মিল আছে করোনা ভাইরাসের। মনে করা হয় এই ভাইরাসটি বাঁদুর থেকে রহস্যজনকভাবে কোনো একটি প্রাণি প্রজাতিতে সংক্রমিত হয়েছে। সেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মধ্যে। তবে কিভাবে এই সংক্রমণ ঘটেছে তাকে বলা হচ্ছে ‘মিসিং লিঙ্ক’। বিষয়টি এখনও অজ্ঞাত। ফলে এর ফলে আরো সংক্রমণের উৎস হয়ে উঠতে পারে বিষয়টি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status