অনলাইন
করোনায় একজন কুকুর-বিড়াল প্রেমী ড্যানি ড্রং
মরিয়ম চম্পা
২৯ মার্চ ২০২০, রবিবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
অফিস শেষে বিকাল গড়িয়ে রাত। ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত চষে বেড়িয়েছি এটা জানার জন্য, তারা (কুকুর-বিড়াল)কেমন আছে, কিভাবে থাকছে। সাধ্যমত সব করার চেষ্টা করছি। আমার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পোস্ট দেখে গণহারে কেউ মাঠে নামবেন না। আবার কোনো জটলা করবেন না। ঘরে থাকুন। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ঘরে থাকাটাই আপনার লড়াই। আবেগে ভাসবেন না। বাইরে আসবেন না। নিজে সুস্থ্য থাকুন। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টটি লিখেছেন গণমাধ্যমকর্মী ড্যানি ড্রং। তার সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয় মানবজমিনের। আলাপকালে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে পশু পাখির ওপর অনেকটা আকর্ষণ অনুভব করছি। ছোট সময় কুকুর, খরগোশ, গিনিপিগ, টিয়াপাখি এসব পুষতাম। একটি পালকবিহীন টিয়াপাখি এনে লালনপালন করি। বয়স যখন ২০ বছর তখন পাখিটি মারা যায়। এভাবেই আমার পশু প্রেমের গল্পের শুরু। ঢাকায় শুক্রবার থেকে শুরু করেছি। এতে খুব বেশি খরচ হয় এমন কিছু না। কিন্তু বিষয়টি আমাকে নাড়া দিয়েছে। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে কাজটি করছি। শহরে থাকা কুকুর-বিড়ালগুলো খাবারের জন্য মানুষের ওপর নির্ভরশীল। তাদের (পশু) বিষয়টি খুব অগোচরে থেকে যাচ্ছে। আমার যতটুকু সামর্থ আছে সে অনুযায়ী চেষ্টা করছি। অফিস শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে এ কাজে বেড়িয়ে পরি। লকডাউন অবস্থা যতদিন থাকে ততদিন পর্যন্ত যদি কার্যক্রমটি টেনে নিতে পারি। গতকাল মহাখালী, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, নীলখেত, গাবতলী এলাকাগুলোতে চক্কর দিয়েছি। যখনই দেখছি রাস্তার পাশে কুকুর শুয়ে বা দাড়িয়ে আছে সেখানেই মোটরসাইকেল থামিয়ে ওদের খাওয়ানোর কাজটি করে থাকি। এ পর্যন্ত প্রায় তিন'শ এর মত কুকুরকে খাবার দিয়োছি। খুব বড় ব্যাগ বহন করা যায় না। মাঝারি আকারের একটি ব্যাগে ড্রাই কেক, কেক, মিষ্টি টোস্ট এবং অন্যান্য যে কেক পাওয়া যায় সেগুলোই আপাতত খাওয়াচ্ছি। কিন্তু যে বিষয়টি চোখে পরছে সেটি হলো তারা আসলে পানীয় পাচ্ছে না। তাই চিন্তা করছি বোতলে পানি জাতীয় খাবার নিয়ে যেতে হবে। তাদের খাবার দিতে খুব বেশি খরচ হয় তেমনটা নয়। প্রায় তিন'শ কুকুরকে খাওয়াতে আমার এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৮শ টাকা। লকডাউনের পুরো সময়টা এ কাজ চালিয়ে যাবো বলে চিন্তা করছি। কারণ পশুপ্রেমী সংগঠনগুলো চাইলেও এখন তাদের খাবার সংগ্রহ করতে পারছে না। তারা রাস্তায় বেড় হতে পারছে না।