বাংলারজমিন
বগুড়ায় ওরস বন্ধ করতে বলায় পুলিশের ওপর হামলা
বগুড়া প্রতিনিধি
২৭ মার্চ ২০২০, শুক্রবার, ৭:১৫ পূর্বাহ্ন
বগুড়ায় ওরস মাহফিল বন্ধ করতে বলায় পুলিশের ওপর হামলা করেছে ওরসে কথিত আশেকানরা। তাদের হামলায় দুই পুলিশ আহত হয়েছে। পরে পুলিশ তাদের ২৪ জনকে আটক করেছে। মূল আয়োজককে আটকের পর থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে বগুড়া শহরের গোয়ালগাড়িতে শাহসুফি আলহাজ হজরত মাওলানা ছেরাজুল হক চিশতী (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে ওরসের আয়োজন করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দিনের বেলা একাধিক বার তাদের নিষেধ করা হয়েছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাতে তারা ওরসের আসর বসায়। পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে পুলিশ পরিদর্শক নান্নু খান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহিদকে ঘরে আটকিয়ে মারধর করে। এতে দুইজন আহত হন। পরে তাদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাবেক পৌর কাউন্সিল নুরুল ইসলাম নুরুসহ ওই পীরের ২৪ মুরিদকে আটক করেছে।
এদিকে ওরসের আয়োজক রাহুল গাজীকে আটকের পর থানা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার তদবিরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বগুড়া সদর থানার ওসি বদিউজ্জামান একথা অস্বীকার করে বলেন, অভিযানের সময় ওই আয়োজককে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অমান্য করে পীরের আস্তানায় বার্ষিক ওরস মাহফিলের আয়োজন করা হয়। গত বুধবার দুপুরের পর থেকে সেখানে বিভিন্ন এলাকার নারী ও পুরুষ মুরিদেরা আসতে শুরু করেন। সেখানে গরু জবাই করে রান্নার আয়োজনও করা হয়। এমতাবস্থায় ওরস মাহফিল বন্ধ রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক দফা নিষেধ করা হয়। সন্ধ্যার পর পীরের আস্তানায় নারী-পুরুষরা সম্মিলিতভাবে জিকির শুরু করে। এলাকার লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাত ৯টার দিকে উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খানসহ তিনজন পুলিশ সেখানে গিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা বলে ওরস মাহফিল বন্ধ করতে বলেন। এতে পীরের অনুসারীরা দুই পুলিশকে তাদের আস্তানায় আটকে রেখে বেদম মারপিট করে। পীরের অনুসারীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানাচ্ছে পুলিশ, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন। বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পীরের আস্তানা সংলগ্ন একটি চারতলা বাসভবনে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় মুরিদরা। পরে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী হ্যান্ডমাইকে তাদেরকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায়। পরে রাত ১০টার দিকে ভবনের বিভিন্ন কক্ষ থেকে অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু বের হয়ে আসেন। পরে পুলিশ পীরের অনুসারী ২৪ জন পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ওরস বন্ধ করতে তাদের কয়েকদফা নিষেধ করা হয়েছিল। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে। তিনি আরো বলেন, ওরস আয়োজকদের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়েছে সত্তর বছর থেকে এই ওরস করে আসছি, আমরা করোনা মানি না। ওরস চলবে।এদিকে আটককৃতদের গতকাল দুপুরে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে ওরসের আয়োজক রাহুল গাজীকে আটকের পর থানা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার তদবিরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বগুড়া সদর থানার ওসি বদিউজ্জামান একথা অস্বীকার করে বলেন, অভিযানের সময় ওই আয়োজককে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অমান্য করে পীরের আস্তানায় বার্ষিক ওরস মাহফিলের আয়োজন করা হয়। গত বুধবার দুপুরের পর থেকে সেখানে বিভিন্ন এলাকার নারী ও পুরুষ মুরিদেরা আসতে শুরু করেন। সেখানে গরু জবাই করে রান্নার আয়োজনও করা হয়। এমতাবস্থায় ওরস মাহফিল বন্ধ রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক দফা নিষেধ করা হয়। সন্ধ্যার পর পীরের আস্তানায় নারী-পুরুষরা সম্মিলিতভাবে জিকির শুরু করে। এলাকার লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাত ৯টার দিকে উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খানসহ তিনজন পুলিশ সেখানে গিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা বলে ওরস মাহফিল বন্ধ করতে বলেন। এতে পীরের অনুসারীরা দুই পুলিশকে তাদের আস্তানায় আটকে রেখে বেদম মারপিট করে। পীরের অনুসারীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানাচ্ছে পুলিশ, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করেন। বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পীরের আস্তানা সংলগ্ন একটি চারতলা বাসভবনে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় মুরিদরা। পরে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী হ্যান্ডমাইকে তাদেরকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায়। পরে রাত ১০টার দিকে ভবনের বিভিন্ন কক্ষ থেকে অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু বের হয়ে আসেন। পরে পুলিশ পীরের অনুসারী ২৪ জন পুরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ওরস বন্ধ করতে তাদের কয়েকদফা নিষেধ করা হয়েছিল। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে। তিনি আরো বলেন, ওরস আয়োজকদের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়েছে সত্তর বছর থেকে এই ওরস করে আসছি, আমরা করোনা মানি না। ওরস চলবে।এদিকে আটককৃতদের গতকাল দুপুরে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।