দেশ বিদেশ
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুলের সাজা স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে নির্যাতন করে সাজা দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আরিফুল ইসলামকে দেয়া ওই সাজার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা দেয়ার বৈধতা প্রশ্নে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আরিফুল ইসলামকে সাজা দেয়ার পুরো প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে সাংবাদিক আরিফের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন ও ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা। আইনজীবী প্রতিকার চাকমা বলেন, আদালত আদেশে কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক (সুলতানা পারভীন), সহকারী কমিশনার (এসি) রিন্টু বিকাশ চাকমা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার-রাজস্ব (আরডিসি) নাজিম উদ্দীন ও সহকারী কমিশনার (এসি) এসএম রাহাতুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও ৩৫-৪০ জনকে আসামি করে আরিফুল থানায় যে অভিযোগ করেছেন, সেটি মামলা হিসেবে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুনানির সময় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানির পর আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আরিফ। আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আরিফুল ইসলামকে দেয়া ওই সাজার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে রুল দিয়েছেন আদালত। আরিফুল ইসলামকে সাজা দেয়ার পুরো প্রতিক্রিয়া কেন অবৈধ ও বাতিল েঘাষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। শুনানির শুরুতে আইনজীবী ইশরাত হাসান সাংবাদিক আরিফকে সাজা প্রদান সংক্রান্ত নথিপত্রের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরেন এবং এভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ নথি দিয়ে হাইকোর্টে উপস্থাপন কতটুকু আইনসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক আরিফকে সাজা দেয়া হয়েছে ১৩ মার্চ, অথচ সাজার কপিতে স্বাক্ষর করা হয়েছে ১৪ মার্চ। আবার সাজা দেয়ার আগেই তাকে জেলে পাঠানো হলো। এটা কীভাবে সম্ভব? ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিতে আসামির নাম এবং পিতার নাম একই লেখা হয় কীভাবে?’ইশরাত হাসান বলেন, ‘স্বীকারোক্তিতে আসামি আর তার বাবার নাম একই। সেখানে আসামির নাম নেই। তাহলে কেন তাকে সাজা দেয়া হবে? তাহলে আরিফ তো সেই ব্যক্তি না। এমনকি স্বীকারোক্তিতে আরিফের কী অপরাধ তারও কোনো বর্ণনা নেই। এরপরও এ মামলায় আর কী থাকতে পারে? এ মামলায় এখন যদি নতুন করে আর কোনো নথি আসে তাহলে তার দ্বারা আদালত মিস লিড হতে পারে।’