খেলা
অলিম্পিক স্থগিতের ভাবনা জাপানের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে আইওসি
স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
রোববার রাতে টোকিও অলিম্পিকে দল পাঠাবে না বলে জানায় কানাডা। দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অলিম্পিক থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। টোকিও অলিম্পিক গেমস স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রেসিডেন্ট টমাস বাককে চিঠি দিয়েছেন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স সংস্থার প্রধান সেবাস্টিয়ান কো। আর গতকাল অলিম্পিক স্থগিতের ইঙ্গিত দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। অলিম্পিকের আয়োজক জাপান হলেও গেমস পেছানো কিংবা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা একমাত্র আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি)। আইওসি অবশ্য এখনই অলিম্পিক নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দিতে চায় না। তারা আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জানিয়ে দেবে কি আছে টোকিও অলিম্পিকের ভাগ্যে।
আগামী ২৪শে জুলাই টোকিওতে শুরু হওয়ার কথা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিক গেমস। গতকাল জাপানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, ‘জাপান এখনও অলিম্পিক আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর। তবে পরিস্থিতি যেহেতু কঠিন তাই অ্যাথলেটদের কথা আগে চিন্তা করতে হবে। আর সেটা বিবেচনা করে অলিম্পিক স্থগিত রাখাটাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বলে আমি মনে করি। সেক্ষেত্রে গেমস পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এটা নিশ্চিত যে অলিম্পিক বাতিল করা হচ্ছে না।’
কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া টোকিও অলিম্পিকে দল না পাঠানোর ঘোষণা দেয়ায় আরো চাপে পড়ে গেল আইওসি। রোববার এক বৈঠকের পর তারা জানায়, ‘মানুষের জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কিছু নেই। টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে দেয়া যায় কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গেমস বাতিল করাটা কোনো দেশ কিংবা অ্যাথলেটদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না বলে মনে করে আইওসি। আমরা টোকিও অলিম্পিক নিয়ে সব দেশের অলিম্পিক কমিটি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা যেমন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের সঙ্গে আরো আলোচনা করবো। আশা করছি চার সপ্তাহের মধ্যে ভালো একটা সিদ্ধান্তে আমরা আসতে পারবো।’
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ টোকিও অলিম্পিক পেছানোর আবেদন জানিয়ে আসছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
১২৪ বছরের ইতিহাসে বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া কখনই অলিম্পিক গেমস বাতিল হয়নি। ১৯১৬ সালে প্রথমবার বন্ধ হয়েছিল অলিম্পিক গেমস। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে জার্মানির বার্লিনে হওয়ার কথা থাকলেও আসর বাতিল করা হয়। ১৯৪০ সালে জাপানে বসার কথা ছিল অলিম্পিক আসর। সেবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বাতিল করা হয়েছিল।
কানাডীয় অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক কমিটি এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ‘করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিকে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। আমরা আইওসি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুরোধ করেছি টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে দেয়ার জন্য। গেমসের নতুন তারিখ নির্ধারণে আইওসিকে সবধরনের সহযোগিতা করবে কানাডা। অলিম্পিক পিছিয়ে দেয়াটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। কেননা এই মুহূর্তে অ্যাথলেট এবং সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
আর করোনার লাগামছাড়া প্রভাবের মধ্যে অলিম্পিক পিছিয়ে দেয়া উচিত বলেই মনে করে অস্ট্রেলিয়া। তাদের অ্যাথলেটরা গেমসে অংশ নেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বলেও জানিয়েছে তারা। তবে তারা ২০২০ নয়, ২০২১ অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
আগামী ২৪শে জুলাই টোকিওতে শুরু হওয়ার কথা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিক গেমস। গতকাল জাপানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, ‘জাপান এখনও অলিম্পিক আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর। তবে পরিস্থিতি যেহেতু কঠিন তাই অ্যাথলেটদের কথা আগে চিন্তা করতে হবে। আর সেটা বিবেচনা করে অলিম্পিক স্থগিত রাখাটাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বলে আমি মনে করি। সেক্ষেত্রে গেমস পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এটা নিশ্চিত যে অলিম্পিক বাতিল করা হচ্ছে না।’
কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া টোকিও অলিম্পিকে দল না পাঠানোর ঘোষণা দেয়ায় আরো চাপে পড়ে গেল আইওসি। রোববার এক বৈঠকের পর তারা জানায়, ‘মানুষের জীবনের চেয়ে মূল্যবান আর কিছু নেই। টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে দেয়া যায় কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গেমস বাতিল করাটা কোনো দেশ কিংবা অ্যাথলেটদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না বলে মনে করে আইওসি। আমরা টোকিও অলিম্পিক নিয়ে সব দেশের অলিম্পিক কমিটি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা যেমন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের সঙ্গে আরো আলোচনা করবো। আশা করছি চার সপ্তাহের মধ্যে ভালো একটা সিদ্ধান্তে আমরা আসতে পারবো।’
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ টোকিও অলিম্পিক পেছানোর আবেদন জানিয়ে আসছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
১২৪ বছরের ইতিহাসে বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া কখনই অলিম্পিক গেমস বাতিল হয়নি। ১৯১৬ সালে প্রথমবার বন্ধ হয়েছিল অলিম্পিক গেমস। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে জার্মানির বার্লিনে হওয়ার কথা থাকলেও আসর বাতিল করা হয়। ১৯৪০ সালে জাপানে বসার কথা ছিল অলিম্পিক আসর। সেবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বাতিল করা হয়েছিল।
কানাডীয় অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক কমিটি এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ‘করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিকে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। আমরা আইওসি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুরোধ করেছি টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে দেয়ার জন্য। গেমসের নতুন তারিখ নির্ধারণে আইওসিকে সবধরনের সহযোগিতা করবে কানাডা। অলিম্পিক পিছিয়ে দেয়াটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। কেননা এই মুহূর্তে অ্যাথলেট এবং সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
আর করোনার লাগামছাড়া প্রভাবের মধ্যে অলিম্পিক পিছিয়ে দেয়া উচিত বলেই মনে করে অস্ট্রেলিয়া। তাদের অ্যাথলেটরা গেমসে অংশ নেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বলেও জানিয়েছে তারা। তবে তারা ২০২০ নয়, ২০২১ অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।