ভারত

দমদম কারাগারে দুই দিনে সংঘর্ষে ৪ বন্দির মৃত্যু

কলকাতা প্রতিনিধি

২৩ মার্চ ২০২০, সোমবার, ১২:০১ অপরাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রোববার দ্বিতীয় দিনেও কারাকর্মী ও বন্দিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। চলেছে বোমা, গুলিও। তবে এদিনের সংঘর্ষে কোনো মৃত্যু না হলেও শনিবারের সংঘর্ষে চার বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। শনিবারের পর রবিবারেও বন্দিরা আদালতে শুনানি বন্ধ, জামিনে বা প্যারোলে  মুক্তি দিতে আপত্তি এবং সাময়িকভাবে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বন্দিদের দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।  শনিবারের সংঘর্ষের  পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও রোববার দুপুরে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার চত্বর। সূত্রের খবর, রোববারও বন্দিদের থাকার একটি ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বন্দিদের একটি অংশ। আগুন দেয়া হয়েছে কম্বল তৈরির কারখানায়। ঘটনাস্থলে এডিজি কারা পীযূষ পান্ডেসহ কারা দফতরের শীর্ষ কর্তারা হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। হাজির ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। শনিবার দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পুলিশ-বন্দি সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ বন্দির মৃত্যু হয়েছে। রোববার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দমদম জেল কর্তৃপক্ষ যাদের হাসপাতালে নিয়ে যায় তার মধ্যে চারজনকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেল কর্তৃপক্ষ শনিবার ২৩ জনকে ভর্তি করেছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোববার মৃতদের একজনকে অর্ঘ্য চক্রবর্তী বলে শনাক্ত করেছেন মৃতের মা। অর্ঘ্য লেকটাউন থানা এলাকার বাসিন্দা। মাদক পাচারের একটি মামলায় বিচারাধীন ছিলেন তিনি। অন্য দেহগুলি এখনো কেউ শনাক্ত করেননি। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে যে নাম তাদের দিয়েছে, সে অনুযায়ী মৃতদের নাম কমলেশ রায় ওরফে মাহাতো, বাদল মন্ডল এবং শেখ নূর হোসেন। তবে এখনো রাজ্য কারা দফতর বা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ক’জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে বা কত জন আহত হয়েছেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। জানা গেছে, শনিবারের সংঘর্ষের জেরে কারাগারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। এরই মধ্যে রোববার সকাল থেকে বন্দিরা অনশনে বসেছিল। তবে এক পর্যায়ে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। তবে শনিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর রাতে তল্লাশি চালিয়ে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, একাধিক বন্দির হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। কিভাবে কারাগারের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রবেশ করেছে তা নিয়ে কারা কর্তারা চিন্তিত। কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারাধীন বন্দিরা পুড়িয়ে দিয়েছে জেল সুপারের দফতর। ফলে বন্দি সংক্রান্ত সমস্ত নথি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। বন্দিদের তালিকাও পুড়ে গিয়েছে। ফলে কত বন্দি ছিলেন সেই হিসাবটা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status