এক্সক্লুসিভ
এপারে করো না ওপারে করো না
স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা
২৩ মার্চ ২০২০, সোমবার, ৭:০৭ পূর্বাহ্ন
এপার বাংলা, ওপার বাংলা। এক করোনা উভয় বাংলায় এনেছে, এটা করো না। ওটা করো না। দৃশ্যপটগুলো করোনা কাছাকাছি করে দিচ্ছে। কলকাতা শহর অনেকটা এগিয়ে করোনা সতর্কতায়। বিশেষ করে ঢাকার মইদুলের স্মৃতিধন্য কফি হাউসের সেই আড্ডাটাও অন্তত কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকছে। করোনা ভাইরাস-আতঙ্কে শনিবার থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত দরজা বন্ধ থাকবে কলেজ স্ট্রিট ও যাদবপুর কফি হাউসের।
এদিকে ২২শে মার্চের রোববারটির শ্রী কী হবে? কেউ নিশ্চিত ছিলেন না। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘জনতা কারফিউ’র ডাক দেন। ২২শে মার্চ সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘর থেকে না বেরুনোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে বাস-ট্রাম-মেট্রো-রেল চলবে কিনা, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচুর বিভ্রান্তি ছিল। রেলমন্ত্রী রেলে চড়তে নিরুৎসাহিত করেন। দুই দেশের মৈত্রী এক্সপ্রেসের চাকা তাই চলবে না!
এ ছাড়া কলকাতার অফিসগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশই হোম অফিস চালু করেছে। বৃহৎ যৌনপল্লী বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশেও হয়েছে। তবে কড়াকড়ি পদক্ষেপগুলোর মধ্যে বিরাট ব্যবধান। যেমন কলকাতা শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তরুণের পিতা পেশায় চিকিৎসক। ইন্ডিয়ান মেডিকেল এসোসিয়েশন তার বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। ছেলে দেশে ফিরলো, অথচ তিনি তাকে কোয়ারেন্টিনে পাঠালেন না। ঘুরতে দিলেন। ওই চিকিৎসকের সদস্যপদ বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আইএমএ’র সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি আবার রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ওই চিকিৎসকের কাছে শোকজ গেছে। তার সদস্যপদ বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
কলকাতায় আরো এক তরুণের শরীরে করোনা মিললো। দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ওই তরুণকে বেলেঘাটায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। গত ১৩ই মার্চ লন্ডন থেকে ফেরেন তিনি। কাশি ও গলাব্যথা হওয়ায় পারিবারিক চিকিৎসকের কাছে যান। পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪। শনিবারেই নতুন দু’জনের খবর মিললো। আরেক আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার তরুণী, তিনি গত সোমবার স্কটল্যান্ড থেকে ফিরেছেন। বেলেঘাটার এক সাফাইকর্মীকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তিনি দুই করোনা আক্রান্তের ঘর পরিষ্কার করতেন। ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত। বাংলাদেশে ১লা এপ্রিলে পরীক্ষা শুরু হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছেই।
কলকাতায় বাংলাদেশিদের উপস্থিতি হ্রাস পেয়েছে। নিউমার্কেট সংলগ্ন হোটেলগুলো শূন্য। কিন্তু বিদেশ থেকে ফিরে কলকাতাবাসীর অনেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র নির্দেশ মেনে ‘গৃহ-পর্যবেক্ষণে’ থাকছেন না। শপিং মল, কর্মস্থল এবং নিজেদের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সংশ্রবে একদমই নেই বাংলাদেশিরা, তাদের আত্মীয়স্বজনরা। এটা হতে পারে না, বলে মনে করেন অনেকেই। অধ্যাপক জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ১৭০টি আক্রান্ত দেশে ৫ কোটি ভারতীয়ের বাস। তারা সমানে দেশে ফিরছেন। হাজার হাজার ট্রাকচালক বাংলাদেশে আসছেনই। তাদের অনেকের বাড়ি পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
নিশ্চয় হতে পারে সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলা-ভারত সীমান্তে। কাঁটাতারের উভয় পাশে যাতায়াত কম, তাই বলে একদম কম নয়। আবার, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত চতুর্থ ব্যক্তি কখনও বিদেশে যাননি। ১৬ই মার্চ থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা টুইট করে জানান, দক্ষিণ কলকাতার দুই মহিলা বিদেশ থেকে ফিরে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন না। মহামারি আইনে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। এমন খবর পত্রিকায় আসছে। অজানা থাকছে বা থাকতে পারে এরকম আরো অনেক বেশি মানুষ।
এপারে দৌলতদিয়া বন্ধ, ওপারে বন্ধ সোনাগাছি। করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে কী করা উচিত, কী উচিত নয়, তা নিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছে মমতাদির প্রশাসন। তবু যৌনকর্মীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব যথেষ্ট। কনডমের ব্যবহার নিশ্চিত করে এইচআইভি সংক্রমণে রাশ টেনেছিল সোনাগাছি। এবার করোনা নিয়েও কর্মসূচি তৈরি হচ্ছে। দুর্বারের সচিব কাজল বোস বলেন, সোমবার থেকেই সচেতনতা অভিযানে নামবো আমরা।
এদিকে ২২শে মার্চের রোববারটির শ্রী কী হবে? কেউ নিশ্চিত ছিলেন না। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘জনতা কারফিউ’র ডাক দেন। ২২শে মার্চ সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘর থেকে না বেরুনোর পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে বাস-ট্রাম-মেট্রো-রেল চলবে কিনা, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচুর বিভ্রান্তি ছিল। রেলমন্ত্রী রেলে চড়তে নিরুৎসাহিত করেন। দুই দেশের মৈত্রী এক্সপ্রেসের চাকা তাই চলবে না!
এ ছাড়া কলকাতার অফিসগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশই হোম অফিস চালু করেছে। বৃহৎ যৌনপল্লী বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশেও হয়েছে। তবে কড়াকড়ি পদক্ষেপগুলোর মধ্যে বিরাট ব্যবধান। যেমন কলকাতা শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তরুণের পিতা পেশায় চিকিৎসক। ইন্ডিয়ান মেডিকেল এসোসিয়েশন তার বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। ছেলে দেশে ফিরলো, অথচ তিনি তাকে কোয়ারেন্টিনে পাঠালেন না। ঘুরতে দিলেন। ওই চিকিৎসকের সদস্যপদ বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আইএমএ’র সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি আবার রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ওই চিকিৎসকের কাছে শোকজ গেছে। তার সদস্যপদ বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
কলকাতায় আরো এক তরুণের শরীরে করোনা মিললো। দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ওই তরুণকে বেলেঘাটায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। গত ১৩ই মার্চ লন্ডন থেকে ফেরেন তিনি। কাশি ও গলাব্যথা হওয়ায় পারিবারিক চিকিৎসকের কাছে যান। পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪। শনিবারেই নতুন দু’জনের খবর মিললো। আরেক আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার তরুণী, তিনি গত সোমবার স্কটল্যান্ড থেকে ফিরেছেন। বেলেঘাটার এক সাফাইকর্মীকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তিনি দুই করোনা আক্রান্তের ঘর পরিষ্কার করতেন। ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত। বাংলাদেশে ১লা এপ্রিলে পরীক্ষা শুরু হবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছেই।
কলকাতায় বাংলাদেশিদের উপস্থিতি হ্রাস পেয়েছে। নিউমার্কেট সংলগ্ন হোটেলগুলো শূন্য। কিন্তু বিদেশ থেকে ফিরে কলকাতাবাসীর অনেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র নির্দেশ মেনে ‘গৃহ-পর্যবেক্ষণে’ থাকছেন না। শপিং মল, কর্মস্থল এবং নিজেদের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সংশ্রবে একদমই নেই বাংলাদেশিরা, তাদের আত্মীয়স্বজনরা। এটা হতে পারে না, বলে মনে করেন অনেকেই। অধ্যাপক জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ১৭০টি আক্রান্ত দেশে ৫ কোটি ভারতীয়ের বাস। তারা সমানে দেশে ফিরছেন। হাজার হাজার ট্রাকচালক বাংলাদেশে আসছেনই। তাদের অনেকের বাড়ি পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
নিশ্চয় হতে পারে সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলা-ভারত সীমান্তে। কাঁটাতারের উভয় পাশে যাতায়াত কম, তাই বলে একদম কম নয়। আবার, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত চতুর্থ ব্যক্তি কখনও বিদেশে যাননি। ১৬ই মার্চ থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা টুইট করে জানান, দক্ষিণ কলকাতার দুই মহিলা বিদেশ থেকে ফিরে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন না। মহামারি আইনে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। এমন খবর পত্রিকায় আসছে। অজানা থাকছে বা থাকতে পারে এরকম আরো অনেক বেশি মানুষ।
এপারে দৌলতদিয়া বন্ধ, ওপারে বন্ধ সোনাগাছি। করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে কী করা উচিত, কী উচিত নয়, তা নিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছে মমতাদির প্রশাসন। তবু যৌনকর্মীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব যথেষ্ট। কনডমের ব্যবহার নিশ্চিত করে এইচআইভি সংক্রমণে রাশ টেনেছিল সোনাগাছি। এবার করোনা নিয়েও কর্মসূচি তৈরি হচ্ছে। দুর্বারের সচিব কাজল বোস বলেন, সোমবার থেকেই সচেতনতা অভিযানে নামবো আমরা।