বিশ্বজমিন
করোনায় ইরানে ২১০ জন মারা যাওয়ার খবর, ইতালি সফরে যুক্তরাষ্ট্রের এলার্ট
মানবজমিন ডেস্ক
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
চীনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের আশা করা হলোও ইরান, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়ায় তা ভয়াল রূপ নিতে যাচ্ছে। ইরানে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য মিলছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র উল্লেখ করে বিবিসি বলছে, এরই মধ্যে কমপক্ষে ২১০ জন মারা গেছেন ইরানে। তবে এ তথ্য অস্বীকার করেছে দেশটির সরকার। তারা বলছে, মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানী তেহরান ও ২২টি শহরে শুক্রবারে জুমার জামাত বাতিল করা হয়। স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। ইরানে যাওয়া এবং ইরান থেকে বহির্মুখি অনেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে বহু মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
ইতালি সফরের বিষয়ে মার্কিনিদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে এলার্ট জারি করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও আল জাজিরা। ইরানের স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন সূত্র বিবিসিকে বলেছেন, সেখানে মারা যাওয়া ২১০ জনের বেশির ভাগই রাজধানী তেহরান ও কোম নগরীর। এই কোম নগরীতে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। তবে শুক্রবার দিনের শুরুতে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ৩৪ বলে জানায়। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রের দেয়া সংখ্যা এই সংখ্যার ৬ গুন বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাইয়ানোউশ জাহানপুর মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দেয়ার জন্য অভিযোগ করেছেন। তার দাবি, তাদের তথ্য স্বচ্ছ। উল্লেখ্য, এর আগে কোম নগরীর একজন পার্লামেন্ট সদস্য পার্লামেন্টে অভিযোগ তোলেন যে, সরকার মৃতের সংখ্যাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
ইরান তথ্য শেয়ার করছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন রাজ্যে প্রথম করোনা ভাইরাসে একজন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি ওয়াশিংটন কাউন্টির একজন বাসিন্দা বলে জানিয়েছে অরিগন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। শুক্রবার ওয়াশিংটনে কংগ্রেশনাল কমিটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, আমরা ইরানকে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছি। তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অবকাঠামো উন্নত নয়, আধুনিক নয়। তবে এমন প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি।
এমন অবস্থায় আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, ইরান সরকার ঠিকমতো জানে না কিভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া মোকাবিলা করা যাবে। তারা নতুন এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে বিভিন্ন হাসপাতালের সূত্র ব্যবহার করে বিবিসি। বলছে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মারা গেছেন ২১০ জন।
ওদিকে ইতালিতে নতুন করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ১৭ জন। ইউরোপের মধ্যে এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন শনিবার তাদের রিপোর্টে বলেছে, কমপক্ষে নতুন করে ৪৭ জন মারা গেছেন এই ভাইরাসে। সব মিলে চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৩৫ জন। আগের দিন ৩২৭ জন আক্রান্ত হলেও সেখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৭। এতে শুধু চীনেই আক্রান্তের মোট সংখ্যা কমপক্ষে ৭৯ হাজার। বিশ্বজুড়ে তা ৮৩ হাজার।
দক্ষিণ কোরিয়াতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৪ জন। সেখানে সব মিলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৩১। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে দ্বিতীয় এক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন।
ইতালি সফরের বিষয়ে মার্কিনিদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে এলার্ট জারি করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও আল জাজিরা। ইরানের স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন সূত্র বিবিসিকে বলেছেন, সেখানে মারা যাওয়া ২১০ জনের বেশির ভাগই রাজধানী তেহরান ও কোম নগরীর। এই কোম নগরীতে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। তবে শুক্রবার দিনের শুরুতে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ৩৪ বলে জানায়। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রের দেয়া সংখ্যা এই সংখ্যার ৬ গুন বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কাইয়ানোউশ জাহানপুর মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দেয়ার জন্য অভিযোগ করেছেন। তার দাবি, তাদের তথ্য স্বচ্ছ। উল্লেখ্য, এর আগে কোম নগরীর একজন পার্লামেন্ট সদস্য পার্লামেন্টে অভিযোগ তোলেন যে, সরকার মৃতের সংখ্যাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
ইরান তথ্য শেয়ার করছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন রাজ্যে প্রথম করোনা ভাইরাসে একজন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি ওয়াশিংটন কাউন্টির একজন বাসিন্দা বলে জানিয়েছে অরিগন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। শুক্রবার ওয়াশিংটনে কংগ্রেশনাল কমিটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, আমরা ইরানকে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছি। তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অবকাঠামো উন্নত নয়, আধুনিক নয়। তবে এমন প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি।
এমন অবস্থায় আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, ইরান সরকার ঠিকমতো জানে না কিভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া মোকাবিলা করা যাবে। তারা নতুন এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে বিভিন্ন হাসপাতালের সূত্র ব্যবহার করে বিবিসি। বলছে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মারা গেছেন ২১০ জন।
ওদিকে ইতালিতে নতুন করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ১৭ জন। ইউরোপের মধ্যে এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন শনিবার তাদের রিপোর্টে বলেছে, কমপক্ষে নতুন করে ৪৭ জন মারা গেছেন এই ভাইরাসে। সব মিলে চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৩৫ জন। আগের দিন ৩২৭ জন আক্রান্ত হলেও সেখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৭। এতে শুধু চীনেই আক্রান্তের মোট সংখ্যা কমপক্ষে ৭৯ হাজার। বিশ্বজুড়ে তা ৮৩ হাজার।
দক্ষিণ কোরিয়াতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৪ জন। সেখানে সব মিলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৩১। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে দ্বিতীয় এক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন।