শেষের পাতা
আফসারার পাশে বিশ্ব ভারতীর শিক্ষকরা
মানবজমিন ডেস্ক
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৮:৩০ পূর্বাহ্ন
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) প্রতিবাদ করায় ভারত ছাড়ার নোটিশপ্রাপ্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি করেছে তার শিক্ষক ও সহপাঠীরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে
সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের ছবি পোস্ট করেছিলেন আফসারা আনিকা আফসারা নামের ওই শিক্ষার্থী। ওই ছবি পোস্টকে ‘সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমতাবস্থায় আইনি ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও তার সহপাঠীদের একাংশ। এ খবর দিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।
খবরে বলা হয়, আফসারা ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া থেকে ভারতে পড়াশোনা করতে যান। সেখানে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তিনি। বুধবার তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশিদের আঞ্চলিক নিবন্ধন কার্যালয়। ভারত ছাড়তে তাকে ১৫ দিন সময় দেয়া হয়। এমতাবস্থায়, তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ব ভারতীর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা বৃহস্পতিবার কলকাতার সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। তারা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চান।
বিশ্ব ভারতীর এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, মেয়েটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছে। এর ভিত্তিতে তাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। আমরা কলকাতা হাইকোর্টের এক জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা আমাদের সকল সামর্থ্য নিয়ে তার পাশে দাঁড়াবো।
এদিকে, হাইকোর্টের আইনজীবী শামীম আহমেদ জানান, আফসারার বিরুদ্ধে জারি নির্দেশ নিয়ে মামলা লড়া যেতে পারে। কারণ, তার বিরুদ্দে জারি করা নোটিশে কোথাও তার সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ নেই। তিনি বলেন, আমি নির্দেশটি দেখেছি। তার ফেসবুক পোস্টগুলোও। নির্দেশটিতে কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ নেই যেটায় প্রমাণ হয় যে, তিনি সরকারের বিরুদ্ধে গেছেন। তার মন্তব্য করার অধিকার আছে। এজন্য তাকে দেশ ছাড়তে বলা খুবই হালকা কারণ। এমনকি তার বক্তব্য না শুনেই এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি তাকে আইনিভাবে সাহায্য করবো।
আফসারাকে দেশ ছাড়তে বলার নির্দেশটি তীব্রভাবে সমালোচিত হয়েছে। বিশ্ব ভারতীর এসএফআই নেতা সোমনাথ সৌ বলেন, আমরা একটি স্বাধীন দেশে বাস করি। এখানে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়ার পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে নিমন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আসা একটি মেয়ে ফেসবুকে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের ছবি পোস্ট করতে পারে না। এই নির্দেশের মাধ্যমে তার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে আমরা আগামী সোমবার বৈঠক ডেকেছি। আমরা নিশ্চিতভাবেই এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করবো।
টেলিগ্রাফ জানায়, বৃহস্পতিবার কলকাতায় অবস্থিত বিদেশিদের আঞ্চলিক নিবন্ধন কার্যালয়ে গিয়েছিলেন আফসারা। সেখানে কর্মকর্তারা তাকে জানান, তারা এ ব্যাপারে কিছুই করতে পারবে না। পুরো ব্যাপারটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। আফসারার এক বন্ধু জানান, কর্মকর্তারা তাকে কয়েকটি কার্যালয়ে নিজের বক্তব্য লিখে পাঠাতে পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে, বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করেছে যে, আফসারা ওই বিক্ষোভে কোনভাবেই জড়িত ছিল না। বিশ্ব বিদ্যালয়টির অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী স্বপ্নিল মুখার্জী বলেন, এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। তারা আমাদের বন্ধুতে পরিণত হয়। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী আসে বাংলাদেশ থেকে। আমি নিশ্চিত করতে পারবো যে, সে কোনো বিক্ষোভে অংশ নেয়নি। আমরা তার পাশে আছি।
সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের ছবি পোস্ট করেছিলেন আফসারা আনিকা আফসারা নামের ওই শিক্ষার্থী। ওই ছবি পোস্টকে ‘সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তাকে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমতাবস্থায় আইনি ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও তার সহপাঠীদের একাংশ। এ খবর দিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।
খবরে বলা হয়, আফসারা ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া থেকে ভারতে পড়াশোনা করতে যান। সেখানে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তিনি। বুধবার তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশিদের আঞ্চলিক নিবন্ধন কার্যালয়। ভারত ছাড়তে তাকে ১৫ দিন সময় দেয়া হয়। এমতাবস্থায়, তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ব ভারতীর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা বৃহস্পতিবার কলকাতার সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। তারা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চান।
বিশ্ব ভারতীর এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, মেয়েটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছে। এর ভিত্তিতে তাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে। আমরা কলকাতা হাইকোর্টের এক জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা আমাদের সকল সামর্থ্য নিয়ে তার পাশে দাঁড়াবো।
এদিকে, হাইকোর্টের আইনজীবী শামীম আহমেদ জানান, আফসারার বিরুদ্ধে জারি নির্দেশ নিয়ে মামলা লড়া যেতে পারে। কারণ, তার বিরুদ্দে জারি করা নোটিশে কোথাও তার সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ নেই। তিনি বলেন, আমি নির্দেশটি দেখেছি। তার ফেসবুক পোস্টগুলোও। নির্দেশটিতে কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ নেই যেটায় প্রমাণ হয় যে, তিনি সরকারের বিরুদ্ধে গেছেন। তার মন্তব্য করার অধিকার আছে। এজন্য তাকে দেশ ছাড়তে বলা খুবই হালকা কারণ। এমনকি তার বক্তব্য না শুনেই এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমি তাকে আইনিভাবে সাহায্য করবো।
আফসারাকে দেশ ছাড়তে বলার নির্দেশটি তীব্রভাবে সমালোচিত হয়েছে। বিশ্ব ভারতীর এসএফআই নেতা সোমনাথ সৌ বলেন, আমরা একটি স্বাধীন দেশে বাস করি। এখানে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়ার পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে নিমন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আসা একটি মেয়ে ফেসবুকে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের ছবি পোস্ট করতে পারে না। এই নির্দেশের মাধ্যমে তার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে আমরা আগামী সোমবার বৈঠক ডেকেছি। আমরা নিশ্চিতভাবেই এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করবো।
টেলিগ্রাফ জানায়, বৃহস্পতিবার কলকাতায় অবস্থিত বিদেশিদের আঞ্চলিক নিবন্ধন কার্যালয়ে গিয়েছিলেন আফসারা। সেখানে কর্মকর্তারা তাকে জানান, তারা এ ব্যাপারে কিছুই করতে পারবে না। পুরো ব্যাপারটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। আফসারার এক বন্ধু জানান, কর্মকর্তারা তাকে কয়েকটি কার্যালয়ে নিজের বক্তব্য লিখে পাঠাতে পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে, বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করেছে যে, আফসারা ওই বিক্ষোভে কোনভাবেই জড়িত ছিল না। বিশ্ব বিদ্যালয়টির অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী স্বপ্নিল মুখার্জী বলেন, এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। তারা আমাদের বন্ধুতে পরিণত হয়। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী আসে বাংলাদেশ থেকে। আমি নিশ্চিত করতে পারবো যে, সে কোনো বিক্ষোভে অংশ নেয়নি। আমরা তার পাশে আছি।