বিশ্বজমিন
দিল্লির সহিংসতা নিয়ে সিপিজের সতর্কতা
মানবজমিন ডেস্ক
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১:৪০ পূর্বাহ্ন
দিল্লিতে সহিংসতার রিপোর্ট সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা নিয়ে দায়িত্ব পালন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে অধিকার বিষয়ক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। এতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ প্রতিবাদের রিপোর্ট কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের জন্য বিভিন্ন রকম ঝুঁকি রয়েছে। এ বিষয়টি ডকুমেন্ট হিসেবে ধারণ করেছে সিপিজে। গত দু’সপ্তাহ ধরে দিল্লির এই সহিংসতা ক্রমশ সাম্প্রদায়িতকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে উদ্বেগ জানায় সংগঠনটি। অনেক মিডিয়াকর্মী রিপোর্ট করেছেন যে, তাদের ধর্মীয় পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদেরকে আটক ও গ্রেপ্তার সহ নানা রকম হয়রানি ও সহিংসতায় টার্গেট করার প্রতিবাদে এরই মধ্যে সাংবাদিকরা বিক্ষোভও করেছেন। সিপিজে বলেছে, রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে- অনেক সময়ই বিক্ষোভকারী ও সাংবাদিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলায় অনেক সময় এর সমর্থনকারীদের হামলা চালাতে উৎসাহ দিচ্ছে তারা। অনেক সাংবাদিককে তাদের ফোন থেকে ছবি ও ভিডিও মুছে দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আগের রিপোর্টিংয়ের কারণে অনেক সাংবাদিককে টার্গেট করা হয়েছে। এমনটা দেখা গেছে মোহাম্মদ মুবাশিরউদ্দিন খুররমের ক্ষেত্রে। তিনি উর্দু ভাষার স্থানীয় পত্রিকা দ্য সিয়াসাত ডেইলির সাংবাদিক। ফেব্রুয়ারিতে একটি বিক্ষোভের রিপোর্ট কভার করার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে আরো বলা হয়, বর্তমানে নয়াদিল্লিতে উত্তেজনায় ভরা স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে মৌজপুর, চন্দবাগ, অশোকনগর, যমুনা বিহার, কারদামপুরি, গৌতমপুরি, জাফরাবাদ, দয়ালপুর, ভজনপুর, মুস্তাফাবাদ ও সিলামপুর। এ ছাড়া নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে চেন্নাই, ভুপাল, আগরতলা, হয়দরাবাদ, গোয়াহাটি, এলাহাবাদ, লক্ষেèৗ, আহমেদাবাদ, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, ম্যাঙ্গালোর, মুম্বই, পাটনা, চন্দিগড়ে।
এর প্রেক্ষিতে সিপিজে বলেছে, এখানে এটা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রতিবাদ বিক্ষোভ অধিক হারে সাম্প্রদায়িকতার দিকে মোড় নিচ্ছে। তাই কোনো সাংবাদিক বিক্ষোভের স্থান থেকে রিপোটিং করার সময় তাকে সব সময় পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকার এবং পদদলিত হওয়ার মতো ঝুঁকি থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সব সময় জরুরি পরিস্থিতিতে বেরিয়ে যাওয়ার পথ ঠিক রেখে এসব কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, আপনি যখন রিপোর্টিং করছেন তখন আপনার চারপাশে কি ঘটছে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে ‘ব্যাকওয়াচার’ বা পিছন দিক থেকে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা ব্যবহারের বিষয় বিবেচনা করুন। এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে, সব সময় পুলিশ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। বড় ধরণের জনসমাবেশ বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এসব স্থানে যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটে। ঝুঁকিতে থাকা সাংবাদিকের উচিত সব সময় তার সহকর্মীদের সঙ্গে থাকা। একই সঙ্গে উদ্বেগ জানানোর ব্যবস্থা থাকা উচিত। আরো বলা হয়, অন্ধকারে অর্থাৎ রাতে কাজ করা আরো ঝুঁকির। এমন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত বলে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগেভাগেই শহরে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতে স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার অবৈধ। বিদেশী কিছু নাগরিক ভারতে এসব কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অগ্নিসংযোগের ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তায় ঝুঁকির বিষয়েও সাংবাদিকদের সতর্ক থাকা উচিত। সাংবাদিকদের মৌলিক নিরাপত্তা বিষয়ে সিপিজে অনলাইনে সেফটি কিট সরবরাহ করছে। সহায়তা পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে এই ঠিকানায় [email protected]
দিল্লির সহিংসতা নিয়ে সিপিজে আরো লিখেছে, ডিসেম্বরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা প্রহার করেছে। ব্যবহার করেছে লাঠি, স্মোক গ্রেনেড, জলকামান, রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস। এমনকি ক্ষেত্রেবিশেষে সরাসরি গুলি করেছে। জবাবে বিক্ষোভকারীরা টায়ারে আগুন দিয়েছে। পেট্রোল বোমা, ইটপাটকেল ছুড়েছে। যানবাহন ও বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে সিপিজে বলেছে, এখানে এটা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রতিবাদ বিক্ষোভ অধিক হারে সাম্প্রদায়িকতার দিকে মোড় নিচ্ছে। তাই কোনো সাংবাদিক বিক্ষোভের স্থান থেকে রিপোটিং করার সময় তাকে সব সময় পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকার এবং পদদলিত হওয়ার মতো ঝুঁকি থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সব সময় জরুরি পরিস্থিতিতে বেরিয়ে যাওয়ার পথ ঠিক রেখে এসব কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, আপনি যখন রিপোর্টিং করছেন তখন আপনার চারপাশে কি ঘটছে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে ‘ব্যাকওয়াচার’ বা পিছন দিক থেকে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা ব্যবহারের বিষয় বিবেচনা করুন। এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে, সব সময় পুলিশ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। বড় ধরণের জনসমাবেশ বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এসব স্থানে যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটে। ঝুঁকিতে থাকা সাংবাদিকের উচিত সব সময় তার সহকর্মীদের সঙ্গে থাকা। একই সঙ্গে উদ্বেগ জানানোর ব্যবস্থা থাকা উচিত। আরো বলা হয়, অন্ধকারে অর্থাৎ রাতে কাজ করা আরো ঝুঁকির। এমন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত বলে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগেভাগেই শহরে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতে স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার অবৈধ। বিদেশী কিছু নাগরিক ভারতে এসব কারণে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অগ্নিসংযোগের ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তায় ঝুঁকির বিষয়েও সাংবাদিকদের সতর্ক থাকা উচিত। সাংবাদিকদের মৌলিক নিরাপত্তা বিষয়ে সিপিজে অনলাইনে সেফটি কিট সরবরাহ করছে। সহায়তা পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে এই ঠিকানায় [email protected]
দিল্লির সহিংসতা নিয়ে সিপিজে আরো লিখেছে, ডিসেম্বরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা প্রহার করেছে। ব্যবহার করেছে লাঠি, স্মোক গ্রেনেড, জলকামান, রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস। এমনকি ক্ষেত্রেবিশেষে সরাসরি গুলি করেছে। জবাবে বিক্ষোভকারীরা টায়ারে আগুন দিয়েছে। পেট্রোল বোমা, ইটপাটকেল ছুড়েছে। যানবাহন ও বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে।