বিনোদন
আলাপন
‘চলচ্চিত্রে পরীর মতো সুন্দরী নায়িকা আর নেই’
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। ২০০১ থেকে টিভি নাটক নির্মাণ করছেন। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ‘বিশ্ব সুন্দরী’ শিরোনামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। চলচ্চিত্র, নির্মাণ-ব্যস্ততা ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন এন আই বুলবুল
চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণে টিভি নাটক নির্মাণ থেকে কত দিন দূরে ছিলেন?
প্রায় নয় মাস আমি নাটক নির্মাণ করিনি। এই সময়ে শুধু ফিল্মের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। নারী দিবসের দুটি নাটকের মধ্য দিয়ে নির্মাণে ফিরেছি। আসছে নারী দিবসের জন্য ‘মোমের পুতুল’ ও ‘শেষ বিকেলের আলো’ শিরোনামের দুটি নাটক নির্মাণ করেছি। আমিও একজন নারী। তাই নাটকগুলোতে নারীদের নানা বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
এই সময়ে টিভি নাটকে গল্প নেই বলে অনেকেই বলেন। আপনার মন্তব্য কি?
আমি মনে করি, পারিবারিক আবহের গল্প নির্মাণ প্রয়োজন। কিন্তু সেটি সম্ভব হচ্ছে না বিভিন্ন কারণে। এরমধ্যে প্রধান একটি কারণ হলো বাজেট। পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় নায়ক-নায়িকা নির্ভর নাটকই বেশি হচ্ছে।
দীর্ঘ সময় টিভি নাটক নির্মাণের সঙ্গে আপনি জড়িত। চলতি সময়ের নির্মাতাদের নিয়ে আপনি কি বলবেন?
অনেক নির্মাতা বলেন আমার নাটকে অনেক ভিউ হয়। আমি মনে করি, ভিউ হয় শিল্পীদের কারণে। সুতরাং ভিউ-ভিউ না করে নির্মাতার নিজের অবস্থানটা শক্ত করা প্রয়োজন। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে হবে।
দুই সময়ের তারকাদের নিয়ে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা আছে। পার্থক্য কেমন দেখছেন?
আসলে কে তারকা? যে সময় মতো স্পটে আসে না, কল ধরে না, স্ক্রীপ্ট পড়ে না, সে তারকা? নাকি যে শিল্পী তার কাজের প্রতি একনিষ্ঠ সে তারকা? এই সময়ের অনেকেই তারকা শব্দের অর্থ বোঝেন না। তারকা আর প্রকৃত শিল্পী হওয়া এক বিষয় নয়। সত্যিকারের তারকা কখনো ঝরে পড়ে না। অন্যরা সময় পরিবর্তনের সঙ্গে হারিয়ে যায়।
আপনার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্ব সুন্দরী’র খবর কি?
আগামী সপ্তাহে আমার ছবিটি সেন্সরে যাবে আশা করছি। এরমধ্যে পোস্ট প্রোডাকশনের সব কাজ শেষ করেছি। প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে আমার অনেক ভুলত্রুটি আছে। কিন্তু যত্নের অভাব ছিল না। এক কথায় বলবো এটি আমার অনেক যত্নের ও ভালোবাসার ছবি। আর একটা বিষয়, সালমান শাহ থাকলে তাকে দিয়ে ছবিটি করতাম। আমার এ ছবির গল্পের সঙ্গে সেই ভালো যায়। কিন্তু সে না থাকায় সিয়ামকে নিয়েছি। এছাড়া এ ছবির জন্য অজয় কুমার কুণ্ডু ও আরিফ রহমানের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।
প্রথমটি নির্মানের পর কি চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ বেড়েছে নাকি কমেছে?
অবশ্যই আগ্রহ অনেক বেড়েছে। এভাবে আগামীতেও ভালো ছবি নির্মাণ করতে চাই। প্রথম ছবি নির্মাণ করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতাও হয়েছে। সত্যি বলতে, নাটকের ইউনিট এবং ফিল্মের ইউনিটে অনেক ব্যবধান।
টিভি নাটকের অনেক নির্মাতা ফিল্ম করছেন। তাদের ছবি থেকে এ ছবিতে নতুনত্ব কি থাকছে?
নতুনত্ব হলো এটি সিয়াম-পরীর প্রথম ছবি। তারা দুজন এই সময়ের দারুণ জনপ্রিয়। এছাড়া দর্শক এ ছবিতে লোকেশনে বেশ নতুনত্ব দেখবেন। মজার বিষয় হলো, এই ছবির শুটিংয়ের কথা ছিল ত্রিশ দিন। সেখানে ৪২ দিন শুটিং করেছি। মানের সঙ্গে কোনো আপোষ করিনি।
আপনার ছবির নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে কিছু বলুন।
পরীকে আমার দেখলেই নায়িকা মনে হয়। এ সময়ে চলচ্চিত্রে পরীর মতো সুন্দরী নায়িকা আর নেই। শুটিংয়ে সে আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। এছাড়া সিয়ামের সঙ্গে ছোটপর্দায়ও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমার। সে পরীক্ষিত একজন অভিনেতা। ছবিটির শ্যুটিংয়ের সময় সেও আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে।
চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণে টিভি নাটক নির্মাণ থেকে কত দিন দূরে ছিলেন?
প্রায় নয় মাস আমি নাটক নির্মাণ করিনি। এই সময়ে শুধু ফিল্মের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। নারী দিবসের দুটি নাটকের মধ্য দিয়ে নির্মাণে ফিরেছি। আসছে নারী দিবসের জন্য ‘মোমের পুতুল’ ও ‘শেষ বিকেলের আলো’ শিরোনামের দুটি নাটক নির্মাণ করেছি। আমিও একজন নারী। তাই নাটকগুলোতে নারীদের নানা বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
এই সময়ে টিভি নাটকে গল্প নেই বলে অনেকেই বলেন। আপনার মন্তব্য কি?
আমি মনে করি, পারিবারিক আবহের গল্প নির্মাণ প্রয়োজন। কিন্তু সেটি সম্ভব হচ্ছে না বিভিন্ন কারণে। এরমধ্যে প্রধান একটি কারণ হলো বাজেট। পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় নায়ক-নায়িকা নির্ভর নাটকই বেশি হচ্ছে।
দীর্ঘ সময় টিভি নাটক নির্মাণের সঙ্গে আপনি জড়িত। চলতি সময়ের নির্মাতাদের নিয়ে আপনি কি বলবেন?
অনেক নির্মাতা বলেন আমার নাটকে অনেক ভিউ হয়। আমি মনে করি, ভিউ হয় শিল্পীদের কারণে। সুতরাং ভিউ-ভিউ না করে নির্মাতার নিজের অবস্থানটা শক্ত করা প্রয়োজন। ভালো কাজের মধ্য দিয়ে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে হবে।
দুই সময়ের তারকাদের নিয়ে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা আছে। পার্থক্য কেমন দেখছেন?
আসলে কে তারকা? যে সময় মতো স্পটে আসে না, কল ধরে না, স্ক্রীপ্ট পড়ে না, সে তারকা? নাকি যে শিল্পী তার কাজের প্রতি একনিষ্ঠ সে তারকা? এই সময়ের অনেকেই তারকা শব্দের অর্থ বোঝেন না। তারকা আর প্রকৃত শিল্পী হওয়া এক বিষয় নয়। সত্যিকারের তারকা কখনো ঝরে পড়ে না। অন্যরা সময় পরিবর্তনের সঙ্গে হারিয়ে যায়।
আপনার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্ব সুন্দরী’র খবর কি?
আগামী সপ্তাহে আমার ছবিটি সেন্সরে যাবে আশা করছি। এরমধ্যে পোস্ট প্রোডাকশনের সব কাজ শেষ করেছি। প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে আমার অনেক ভুলত্রুটি আছে। কিন্তু যত্নের অভাব ছিল না। এক কথায় বলবো এটি আমার অনেক যত্নের ও ভালোবাসার ছবি। আর একটা বিষয়, সালমান শাহ থাকলে তাকে দিয়ে ছবিটি করতাম। আমার এ ছবির গল্পের সঙ্গে সেই ভালো যায়। কিন্তু সে না থাকায় সিয়ামকে নিয়েছি। এছাড়া এ ছবির জন্য অজয় কুমার কুণ্ডু ও আরিফ রহমানের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।
প্রথমটি নির্মানের পর কি চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহ বেড়েছে নাকি কমেছে?
অবশ্যই আগ্রহ অনেক বেড়েছে। এভাবে আগামীতেও ভালো ছবি নির্মাণ করতে চাই। প্রথম ছবি নির্মাণ করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতাও হয়েছে। সত্যি বলতে, নাটকের ইউনিট এবং ফিল্মের ইউনিটে অনেক ব্যবধান।
টিভি নাটকের অনেক নির্মাতা ফিল্ম করছেন। তাদের ছবি থেকে এ ছবিতে নতুনত্ব কি থাকছে?
নতুনত্ব হলো এটি সিয়াম-পরীর প্রথম ছবি। তারা দুজন এই সময়ের দারুণ জনপ্রিয়। এছাড়া দর্শক এ ছবিতে লোকেশনে বেশ নতুনত্ব দেখবেন। মজার বিষয় হলো, এই ছবির শুটিংয়ের কথা ছিল ত্রিশ দিন। সেখানে ৪২ দিন শুটিং করেছি। মানের সঙ্গে কোনো আপোষ করিনি।
আপনার ছবির নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে কিছু বলুন।
পরীকে আমার দেখলেই নায়িকা মনে হয়। এ সময়ে চলচ্চিত্রে পরীর মতো সুন্দরী নায়িকা আর নেই। শুটিংয়ে সে আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। এছাড়া সিয়ামের সঙ্গে ছোটপর্দায়ও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আমার। সে পরীক্ষিত একজন অভিনেতা। ছবিটির শ্যুটিংয়ের সময় সেও আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে।