প্রথম পাতা
৭ই মার্চ জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণার নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করে আগামী এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে রুলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ৭ মার্চের ভাষণের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। বশির আহমেদ পরে সাংবাদিকদের বলেন, ৭ই মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করে আগামী এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিনি বলেন, আদালতকে বলেছি ১৯৫টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুপ্রিম কোর্ট দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন আদেশ দিয়েছেন। এ কারণে আমি এ রিট দায়ের করেছি। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ যে স্থানে ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে মঞ্চ নির্মাণ করতে হবে। অপরদিকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে যে, কেন তারা ২০০৯ সালের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেননি বা কেন নিষ্ক্রিয়য়তা দেখিয়েছেন, লিখিতভাবে একমাসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৫শে জুন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালেল ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের স্থান ও ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান সংরক্ষণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটের রায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাত্তর-পরবর্তী স্থাপনা, যেমন- শিশু পার্ক, মহানগর পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, ফুলের মার্কেট সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতের রায়ে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সাতটি স্থান চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এই সাতটি স্থান ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব ধরনের স্থাপনা অপসারণ করতে বলা হয়েছিল রায়ে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল। সেসব প্রতিবেদন দেখে আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বার্থে যা যা করা দরকার আদালত তা করবে। গত ১০ বছরে অন্য কোথাও শিশু পার্ক সরাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। ঢাকায় বাচ্চাদের খেলার জায়গা নেই। আদেশ বাস্তবায়ন না করলে কোর্ট বন্ধ করে দেয়া হোক।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। বশির আহমেদ পরে সাংবাদিকদের বলেন, ৭ই মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করে আগামী এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিনি বলেন, আদালতকে বলেছি ১৯৫টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুপ্রিম কোর্ট দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন আদেশ দিয়েছেন। এ কারণে আমি এ রিট দায়ের করেছি। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ যে স্থানে ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে মঞ্চ নির্মাণ করতে হবে। অপরদিকে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে যে, কেন তারা ২০০৯ সালের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেননি বা কেন নিষ্ক্রিয়য়তা দেখিয়েছেন, লিখিতভাবে একমাসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৫শে জুন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালেল ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের স্থান ও ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান সংরক্ষণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটের রায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাত্তর-পরবর্তী স্থাপনা, যেমন- শিশু পার্ক, মহানগর পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, ফুলের মার্কেট সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আদালতের রায়ে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সাতটি স্থান চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এই সাতটি স্থান ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব ধরনের স্থাপনা অপসারণ করতে বলা হয়েছিল রায়ে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল। সেসব প্রতিবেদন দেখে আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বার্থে যা যা করা দরকার আদালত তা করবে। গত ১০ বছরে অন্য কোথাও শিশু পার্ক সরাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। ঢাকায় বাচ্চাদের খেলার জায়গা নেই। আদেশ বাস্তবায়ন না করলে কোর্ট বন্ধ করে দেয়া হোক।