বাংলারজমিন

লালমোহনে প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ ৯ শিক্ষক কর্মচারীর বেতন

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:০৭ পূর্বাহ্ন

ভোলার লালমোহন উপজেলার হেলিপ্যাড নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ৩ মাসের বেতন ভাতা বন্ধ করে রেখেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম চৌধুরী। আইনের তোয়াক্কা না করে আবদুল হালিম গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর ২০১৯ এবং জানুয়ারি ২০২০ মাসের বেতন ভাতা বন্ধ রেখেছেন। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই বিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষক-কর্মচারী। বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা তার আত্মীয়স্বজন হওয়ার কারণে সে কাউকেই পাত্তা দিচ্ছেন না। তিনি মানছেন না উপজেলা নির্বাহী আফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও একাডেমিক সুপার ভাইজারের আদেশও। এ যেন এক রাম রাজত্ব! এমনকি হালিম চৌধুরী তার বাবা মায়ের দেয়া নাম উপেক্ষা করে কোর্টের মাধ্যমে নিজের নামের সঙ্গে চৌধুরী লাগিয়ে নিজেকে সর্বত্র চৌধুরী বলে পরিচয় দেন। আবার তিনি কখনো নিজেকে অধ্যক্ষও পরিচয় দেন। জানা যায়, গত বছরের ৯ই ডিসেম্বর তারিখে হেলিপ্যাড নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. জাকারিয়াকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক হালিম চৌধুরী এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি দিয়ে জখম করে। এ সময় জাকারিয়ার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে লালমোহন থানায় অফিস সহকারী জাকারিয়া প্রধান শিক্ষক হালিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং ৫৭০। তারিখ ১২/১২/২০১৯। থানায় ডায়েরি করার কারণে প্রধান শিক্ষক হালিম চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বিলে স্বাক্ষর না করার কারণে পরদিন ১০ই ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের সকল সহকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১০টি অনিময়ের অভিযোগ এনে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমির বরাবর দাখিল করেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিম চৌধুরীকে তার কার্যালয়ে ডাকেন। তবে সাক্ষাৎ না করার কারণে নির্বাহী অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও একাডেমিক সুপার ভাইজার মদন মোহন মণ্ডলকে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন। একাডেমিক সুপার ভাইজার সরজমিন তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যায় মর্মে নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ২৯শে ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। তবে নতুন কমিটি হলে শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পাবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি বলেন, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের দেয়া অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে। যার ফলে ৩০/১২/২০১৯ তারিখে ০৫.১০.০৯৫৪. ০০.০০১.০১.১৯-৮০২ নং স্মারকে জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। এখন এ ঘটনার সমাধান দিবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status