বাংলারজমিন
ফতুল্লার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, ৯:০২ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভবনে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছ। গতকাল বিকালে স্কুল ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে মুক্তিযুদ্ধ কর্র্নারটি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন। একই অনুষ্ঠানে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নারায়ণগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আরিফ আলম দিপু প্রমুখ। স্কুল ভবনে উদ্বোধন হওয়া মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারটিতে প্রবেশ করলে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে একটি পরিপূর্ণ ধারণা পাবে যে কেউ। এখানে প্রবেশের পরেই দেখা মিলবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি। এরপর মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর হত্যা যজ্ঞের আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। আছে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখায় বীর শ্রেষ্ঠ খেতাব প্রাপ্ত ৭ বীর শ্রেষ্ঠ’র ছবি। শুধু তাই নয়, যুদ্ধকালীন সময়ে বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি গণমাধ্যমে প্রকাশিক সংবাদ ও ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের ছবিও স্থান পেয়েছে এই কর্র্নারে। রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলার যেসব বীর সেনানী যুদ্ধে অংশ নিয়ে শহীদ হয়েছেন তাদের নাম ও ঠিকানা। আছে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানীর ছবিও। এখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা বিভিন্ন বই এবং দশনার্থীর মন্তব্য জানার জন্য স্মারক বই। এককথায় মুক্তিযুদ্ধ কর্র্নারটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যাতে একটি কক্ষ থেকেই দর্শনার্থী পুরো মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
মুক্তিযুদ্ধ কর্নারটি সম্পর্কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন, এটি ক্ষুদ্র পরিসরে মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি পরিপূর্ণ কর্ণার। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাবে। পাঠ্য বই থেকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যা জানতে পারবে এই কর্নার পরিদর্শন করলে মুক্তিযুদ্ধ সর্ম্পকে ধারণা আরও স্পষ্ট হবে। আমরা চেষ্টা করেছি এই কর্নারটি এমন ভাবে সাজাতে যেন এখানে পূর্ণতা থাকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, অচিরেই এই স্কুলটিকে কলেজে রূপান্তরিত করা হবে। যাতে এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই স্কুল থেকেই এইচএসসি পাস করে বেরুতে পারে। পুরস্কার বিতরণের পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ কর্নারটি সম্পর্কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন, এটি ক্ষুদ্র পরিসরে মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি পরিপূর্ণ কর্ণার। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পাবে। পাঠ্য বই থেকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যা জানতে পারবে এই কর্নার পরিদর্শন করলে মুক্তিযুদ্ধ সর্ম্পকে ধারণা আরও স্পষ্ট হবে। আমরা চেষ্টা করেছি এই কর্নারটি এমন ভাবে সাজাতে যেন এখানে পূর্ণতা থাকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, অচিরেই এই স্কুলটিকে কলেজে রূপান্তরিত করা হবে। যাতে এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই স্কুল থেকেই এইচএসসি পাস করে বেরুতে পারে। পুরস্কার বিতরণের পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।