বাংলারজমিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওরসে তাণ্ডবের ঘটনায় এখনো কেউ আটক হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ওরসে তাণ্ডবের ঘটনায় মামলা হলেও রহস্যজনক কারণে এখনো অধরা আসিমারা। বাদী পক্ষের অভিযোগ আসামিরা প্রকাশ্যে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিলেও অজানা কারণে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। এতে আতঙ্কে রয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তবে পুলিশের দাবি আসামি ধরতে সদা তৎপর রয়েছেন তারা। জানা যায়, গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি নবীনগরের নাটঘর ইউনিয়নের চড়িলামের শান্তিপুর গ্রামে মহর্ষি বাবুল শাহ’র ওরস মাহফিলে হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন আদালতে দ্রুত বিচার আইনে ৫১ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করা হয়। আদালতের নির্দেশে নবীনগর থানা সেটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে। কিন্তু এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। হামলাকারীরা মো. বাবুল শাহ’র আস্তানার ৩টি টিনশেড পাকাঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সেগুলো। ওরসে ভক্তদের খাবারের জন্য আনা ৫ মণ চাল, ১ মণ মসুর ডাল এবং জবাই করা গরুর মাংস ছাড়াও নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয়া হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়। তাণ্ডবে পণ্ড হয়ে যায় ওরসের আয়োজন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তবৃন্দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মো. বাবুল শাহ জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই তিনি সেখানে ৩ দিনের ওরসের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু ওরসের প্রথম দিন সকাল ৯টার দিকে চাঁদার টাকার জন্য তারা আমার এখানে হামলা করে। যার নেতৃত্ব দেন নাটঘর ইউনিয়নের চড়িলাম গ্রামের শান্তিপুরের আবুল হাসান, মো. নবী মিয়া, শাহ নোয়াজ মিয়া, মো. স্বপন মিয়া ও মো. গোলাম মহসীন। তাদের মধ্যে নবী মিয়া আমার গলায় দা ঠেকিয়ে জবাই করার হুমকি দিয়ে চাঁদার টাকা দিতে বলে। তার হাত থেকে ভক্তরা আমাকে রক্ষা করে। মো. বাবুল শাহর ছেলে জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও আবদুর রাজ্জাক জানান, তারা এখন আতঙ্কে রয়েছেন। আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে হুমকি দিচ্ছে তাদের। বলছে মামলা উঠিয়ে না নিলে তাদের ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন এবং গ্রামছাড়া করবে। এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রণজিৎ রায় বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। আসামি ধরার চেষ্টা করছেন তারা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status