বিনোদন
‘জীবদ্দশায় এমন প্রাপ্তি দারুণ আনন্দের’
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, ৮:০৮ পূর্বাহ্ন
শুদ্ধ সংগীতের মাধ্যমে যে ক’জন শিল্পী শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তাদের মধ্যে মিতা হক অন্যতম। রবীন্দ্রসংগীতের খ্যাতিমান এ শিল্পী তার গানের মাধ্যমে পেয়েছেন অগণিত মানুষের ভালোবাসা। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন তিনি। এই অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানবজমিনের সঙ্গে কথা হয় মিতা হকের। তার সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন ফয়সাল রাব্বিকীন
সংগীতে অনবদ্য অবদানের জন্য এবার একুশে পদক পেয়েছেন, আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
এই সম্মাননার সঙ্গে একুশে শব্দটি রয়েছে। আর একুশ হলো আমাদের অস্তিত্বের একটি জায়গা। তো সেখানে একুশে পদক প্রাপ্তিটা বড় সম্মানের ও তৃপ্তির। খবরটি যখন প্রথম শুনি তখনই ভালো লাগা কাজ করেছিল। আর আমার নাম ঘোষণার পর থেকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সবাই। এই সম্মানের জন্য আমাকে যারা নির্বাচন করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেছি বলে আরো বেশি ভালো লেগেছে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সত্যি বলতে জীবদ্দশায় এমন প্রাপ্তি দারুণ আনন্দের। সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারছি, এটা অমার কাছে বড় বিষয়। তবে আমার মা, বাবা, স্বামী এবং শিক্ষক বেঁচে থাকলে তারা অনেক বেশি খুশি হতেন। কারণ তাদের জন্যই আমি আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি।
দায়িত্ব কি আরো বেড়ে গেল মনে করেন?
অবশ্যই দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। কারণ গান গাওয়ার পাশাপাশি আমি নিয়মিত সংগঠন করে আসছি। বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িত আমি। একুশে পদক প্রাপ্তির পর মনে হচ্ছে আরো অনেক কাজ করার বাকি রয়েছে। সেই কাজগুলো সামনে করতে চাই।
সংগঠক হিসেবে কোনো পরিকল্পনা রয়েছে সামনে?
সারা পৃথিবীতে এখন চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা, দরিদ্রতা, হিংসা-প্রতিহিংসা, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ নানা ধরনের মর্মান্তিক ও অমানবিক বিষয় চোখে পড়ছে। এসব বিষয় আমাকে অনেক পীড়া দেয়। একজন সংগঠক হিসেবে তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চাই। আর অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টাও করে যাবো।
এ পর্যায়ে আসতে নিশ্চয়ই অনেক বাধা পার করতে হয়েছে?
তাতো অবশ্যই। নানা রকম প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়ে এই অবস্থানে এসেছি। এরপর চেষ্টা করেছি নিজের মাঝে যতটুকু জ্ঞান রয়েছে সেটা সবার মাঝে ভাগাভাগি করতে। বিনিময়ে অগণিত মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি। মানুষের ভালোবাসা পাওয়াটা কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার। এ পর্যায়ে এসে এমন একটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আমাকে ভীষণ আনন্দিত করেছে। রবীন্দ্রসংগীতের চর্চায় আরো অনেক কিছু করার স্বপ্ন রয়েছে আমার। চেষ্টা করবো স্বপ্নগুলো সফল করার।
চলতি প্রজন্মের শিল্পীদের কেমন মনে হচ্ছে? আপনার পরামর্শ কি থাকবে?
তরুণ প্রজন্মের অনেকের মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে অস্থিরতা একটু বেশি। কারণ তারকা হয়ে ওঠার প্রবণতা তাদের মধ্যে বেশি। শিল্পীর চাইতে তারকা হওয়ার স্বপ্নটাই তাদের চোখে বেশি। শিল্পী হতে গেলে ধৈর্য থাকতে হয়। সেটা তাদের কম রয়েছে। যেকোনো কিছু সাধনার মাধ্যমে অর্জন করতে হয় এটা তারা বুঝতে চায় না। নিজের দেশ ও মানুষের কথা ভাবতে হবে। সাধনা করে নিজেকে যোগ্য করতে পারলে খ্যাতি এমনিতেই আসবে।
এখন গান তো করা হচ্ছে না?
অনেক দিন ধরে আমি অসুস্থ। নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে। নতুন গান রেকর্ডিং করার মতো শক্তি, সাহস কোনোটাই নেই। সত্যি বলতে গান থেকে দূরে থাকার ইচ্ছা কখনো ছিল না। তবে এখন গান রেকর্ড করতে না পারলেও শেখানোটা ধরে রেখেছি। নিজের শিক্ষা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। আমার শিক্ষার্থীরা গান গেয়ে মানুষের তৃষ্ণা মেটাবে সেটাই আমার চাওয়া।
সংগীতে অনবদ্য অবদানের জন্য এবার একুশে পদক পেয়েছেন, আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
এই সম্মাননার সঙ্গে একুশে শব্দটি রয়েছে। আর একুশ হলো আমাদের অস্তিত্বের একটি জায়গা। তো সেখানে একুশে পদক প্রাপ্তিটা বড় সম্মানের ও তৃপ্তির। খবরটি যখন প্রথম শুনি তখনই ভালো লাগা কাজ করেছিল। আর আমার নাম ঘোষণার পর থেকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সবাই। এই সম্মানের জন্য আমাকে যারা নির্বাচন করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেছি বলে আরো বেশি ভালো লেগেছে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সত্যি বলতে জীবদ্দশায় এমন প্রাপ্তি দারুণ আনন্দের। সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারছি, এটা অমার কাছে বড় বিষয়। তবে আমার মা, বাবা, স্বামী এবং শিক্ষক বেঁচে থাকলে তারা অনেক বেশি খুশি হতেন। কারণ তাদের জন্যই আমি আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি।
দায়িত্ব কি আরো বেড়ে গেল মনে করেন?
অবশ্যই দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। কারণ গান গাওয়ার পাশাপাশি আমি নিয়মিত সংগঠন করে আসছি। বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িত আমি। একুশে পদক প্রাপ্তির পর মনে হচ্ছে আরো অনেক কাজ করার বাকি রয়েছে। সেই কাজগুলো সামনে করতে চাই।
সংগঠক হিসেবে কোনো পরিকল্পনা রয়েছে সামনে?
সারা পৃথিবীতে এখন চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা, দরিদ্রতা, হিংসা-প্রতিহিংসা, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ নানা ধরনের মর্মান্তিক ও অমানবিক বিষয় চোখে পড়ছে। এসব বিষয় আমাকে অনেক পীড়া দেয়। একজন সংগঠক হিসেবে তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চাই। আর অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টাও করে যাবো।
এ পর্যায়ে আসতে নিশ্চয়ই অনেক বাধা পার করতে হয়েছে?
তাতো অবশ্যই। নানা রকম প্রতিকূল পরিস্থিতি পেরিয়ে এই অবস্থানে এসেছি। এরপর চেষ্টা করেছি নিজের মাঝে যতটুকু জ্ঞান রয়েছে সেটা সবার মাঝে ভাগাভাগি করতে। বিনিময়ে অগণিত মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি। মানুষের ভালোবাসা পাওয়াটা কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার। এ পর্যায়ে এসে এমন একটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আমাকে ভীষণ আনন্দিত করেছে। রবীন্দ্রসংগীতের চর্চায় আরো অনেক কিছু করার স্বপ্ন রয়েছে আমার। চেষ্টা করবো স্বপ্নগুলো সফল করার।
চলতি প্রজন্মের শিল্পীদের কেমন মনে হচ্ছে? আপনার পরামর্শ কি থাকবে?
তরুণ প্রজন্মের অনেকের মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে অস্থিরতা একটু বেশি। কারণ তারকা হয়ে ওঠার প্রবণতা তাদের মধ্যে বেশি। শিল্পীর চাইতে তারকা হওয়ার স্বপ্নটাই তাদের চোখে বেশি। শিল্পী হতে গেলে ধৈর্য থাকতে হয়। সেটা তাদের কম রয়েছে। যেকোনো কিছু সাধনার মাধ্যমে অর্জন করতে হয় এটা তারা বুঝতে চায় না। নিজের দেশ ও মানুষের কথা ভাবতে হবে। সাধনা করে নিজেকে যোগ্য করতে পারলে খ্যাতি এমনিতেই আসবে।
এখন গান তো করা হচ্ছে না?
অনেক দিন ধরে আমি অসুস্থ। নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে। নতুন গান রেকর্ডিং করার মতো শক্তি, সাহস কোনোটাই নেই। সত্যি বলতে গান থেকে দূরে থাকার ইচ্ছা কখনো ছিল না। তবে এখন গান রেকর্ড করতে না পারলেও শেখানোটা ধরে রেখেছি। নিজের শিক্ষা অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। আমার শিক্ষার্থীরা গান গেয়ে মানুষের তৃষ্ণা মেটাবে সেটাই আমার চাওয়া।