বাংলারজমিন

তালতলী নির্বাচন অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, ৭:৪৮ পূর্বাহ্ন

বরগুনার তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসে ঘুষবাণিজ্য এখন ওপেন-সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটার তালিকায় নাম উঠানো, সংশোধন ও স্থান পরিবর্তনসহ সব কাজে ঘুষ না দিলে কাজ হয় না। এতে ভোগান্তিতে এ উপজেলার হাজারও সেবাপ্রার্থী। ভুক্তভোগীরা বিষয়টিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিভিন্ন সেবাপ্রার্থীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশন অফিসার দুই উপজেলার দ্বায়িত্বে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অফিসের অফিস সহকারী আঃ রহিম সরকারি সকল নিয়মকে উপেক্ষা করে নিজের মত ও ঘুষ ছাড়া কোনো কাজে হাত দেয় না। যেখানে অনলাইন এনআইডি তালিকায় ১১৫ টাকা থাকলেও সে নিচ্ছে ২৩০ টাকা, ভোটার স্থানান্তরে সরকারি কোনো ফি না থাকলেও নিচ্ছেন ২৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আর এনআইডি কার্ডে কোনো প্রকার ভুল সংশোধন করতে হলে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা দিতে হয়। তবে অনলাইন কপি আনতে গেলে সেই অফিস সহকারী ২৩০ টাকা নিয়ে আবার শিখিয়ে দিচ্ছেন কেউ জানতে চাইলে বলবেন ১৪০ টাকা নিয়েছে। এভাবে উপজেলার সেবাপ্রার্থীরা এ হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। তবে অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে গেলে যে খানে ব্যাংক স্ল্লিপ নিয়ে যাওয়ার কথা সেখানে নগদ টাকায় করিয়ে দেন এই অফিস সহকারী। এতে সরকার অনেক রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানান সামাজিক ব্যক্তিরা। এদিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসার তরিকুল ইসলাম আমতলী ও তালতলী উপজেলার দায়িত্বে আছেন। তিনি সপ্তাহে দুইদিন তালতলীতে অফিস করেন। এই সুযোগগুলো কাজে লাগান তিনি।
ভুক্তভোগী হাইরাজ মাঝি, আমি একটি এনআইডি’র অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে যাই নির্বাচন অফিসে আমার কাছ থেকে অফিস সহকারী রহিম ২৩০ টাকা নিয়েছে। তবে সবাইকে বলতে বলছে ১৪০ টাকা। এভাবেই বেশি টাকা দিয়ে আমাদের এখান থেকে সেবা নিতে হয়। এতে ভোগান্তির শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কাওছার, রাজু, জাহিদ হাসান, শাহিন রানাসহ একাধিক ভুক্তভোগীরা বলেন টাকা ছাড়া এখানে কোনো প্রকার সেবা নেয়া সম্ভব না। তারা আরও বলেন এনআইডি’র অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে গেলে সে ২৩০ টাকা করে নিয়েছে। তারা একটু কম দিতে চাইলেও দিতে পারেন নি। কোনো ব্যক্তি তার জাতীয় পরিচয় পত্রের সামান্য ভুলের সংশোধনের জন্য গেলেও অফিস সহকারী বলে দিচ্ছেন ৬ মাস লাগবে, তার আগে হবে না। এভাবেই ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের।
অফিস সহকারী আঃ রহিমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই একটা বয়স্ক মানুষের টাকা হাতে নেয়া হয়। বাকিগুলো ব্যাংকের স্লিপের মাধ্যমে নেয়া হয়। আর প্রথমদিকে ২৩০ টাকা করে রাখা হয়েছিল। এখন ১১৫ টাকা করে রাখছি। ভুল সংশোধনের জন্য সমন্বয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, অফিস অফিসের নিয়মেই চলে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীরা আমার কাছে লিখিত অফিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা নির্বাচন অফিসার দিলীপ কুমার হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, নির্বাচন কমিশন অফিসে কোনো প্রকারে নগদ টাকার লেনদেনের সুযোগ নেই সবকিছুর বিনিময়ে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে স্লিপ জমা দেয়ার পরে কাজ করা হয়। এমন কোনো অফিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status