শেষের পাতা
নিজেদের ফিরে পাওয়ার লড়াই মুমিনুলদের
স্পোর্টস রিপোর্টার:
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
টেস্ট ক্রিকেট চর্চায় কুড়ি বছর কেটে গেছে বাংলাদেশের। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে এখনো ‘শিক্ষানবিশ’ পর্যায়েই রয়ে গেল টাইগাররা। সাদা পোশাকে বড় দলগুলোর বিপক্ষে নামতে হয় সম্মানজনক হারের লক্ষ্য নিয়ে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা যা হওয়ার একটু হয় জিম্বাবুয়ে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। টেস্টে বাংলাদেশের শেষ তিন জয় এসেছে এ দু’দলের বিপক্ষেই। গত বছর ঘরে-বাইরে মিলিয়ে পাঁচ টেস্টের সবটাতেই হার বাংলাদেশের। নতুন বছরের শুরুতে পাকিস্তানে গিয়েও পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি টাইগাররা। এমন পরিস্থিতিতে চেনা প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার লক্ষ্য বানালো বাংলাদেশ। তাদের বিপক্ষে মিরপুরে আজ শুরু হচ্ছে টাইগারদের একমাত্র টেস্ট। তবে চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত নয় ম্যাচটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ফেভারিট কি না, কেমন পারফরম্যান্স চান সেসব বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি টাইগার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, ‘আপনারা ধৈর্য ধরুন, দয়া করে এই দলটাকে আরেকটু সময় দিন।’ আর অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেন, ‘আমাদের এখন একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। আমরা এটা কাটিয়ে উঠতে কাজ করছি।’
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সোনালি দিন এখন অতীত। নানা প্রতিকূলতার মাঝে কোনোরকমে টিকে আছে তারা। গত বছর কোনো টেস্টই খেলেনি দলটি। এ বছর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলে জিম্বাবুয়ে। ১-০তে হারলেও ব্যাটে-বলে দারুণ লড়াই করে শন উইলিয়ামস-ব্রেন্ডন টেইলররা। বাংলাদেশ গত বছর পাঁচ টেস্টের চারটিই খেলে বিদেশের মাটিতে। চারটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হার। আর দেশের মাটিতে খেলা একমাত্র টেস্টে এ সংস্করণের নবীনতম সদস্য আফগানিস্তানের কাছে ২২৪ রানে হার দেখে বাংলাদেশ। স্বাগতিক দলের বাজে ফর্ম আর নিজেদের শেষ সিরিজ থেকে প্রাপ্ত আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগাতে চাইছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ শিবিরেও একটা অদৃশ্য ভয়। গত কয়েকটি ম্যাচে বোলিং-ব্যাটিং কিছুই যে ঠিকঠাক মতো হয়নি। বিশেষ করে ব্যাটিংটা হয়েছে বাজে। তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হকরা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে। সিনিয়র ক্রিকেটাররা রানে ফিরলেই ব্যাটিংয়ে চেহারাটা বদলে যাবে। নাজমুল হোসেন শান্ত-সাইফ হাসানের মতো তরুণরাও ভরসা পাবেন। শান্ত ফর্মে আছেন। গত সপ্তাহে ঘরোয়া লীগে মধ্যাঞ্চলের হয়ে হাঁকিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি (২৫৩*)। পাকিস্তানে তিক্ত অভিষেক ভুলে ভালো কিছু করে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাইফ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ মিস করেছে মুশফিকুর রহীমকে। মিডলঅর্ডারের নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান ছিলেন না ম্যাচটিতে। তিনিও ফিরছেন আজ। মুশফিকের প্রত্যাবর্তন দলের অন্য ব্যাটসম্যানদের জন্য মোরাল বোস্ট হিসেবে কাজ করবে। মুশফিকের ক্যারিয়ার সেরা ২১৯* রানের ইনিংস জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০১৮তে দু’দলের সবশেষ দেখায় ঢাকায় রেকর্ডগড়া ডাবলটি হাঁকান তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বোলিং লাইনআপ কেমন হবে তা একটা বড় প্রশ্ন। ঘরের মাঠে সাধারণত স্পিননির্ভর বোলিং আক্রমণ সাজায় বাংলাদেশ। স্কোয়াডে রাখা হয় পাঁচ পেসার ও তিন স্পিনার। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো গতকাল জানিয়েছেন, মোস্তাফিজুর রহমান খেলছেন না এ টেস্টে। এরপর অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদকেও বাদ দেয়া হয়েছে দল থেকে। ফলে পেসার হিসেবে থাকছেন আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন আর তাসকিন আহমেদ। এদের মধ্যে কে কে সুযোগ পেতে পারেন একাদশে সে ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। ১৫ জনের দলে আছেন অনভিষিক্ত ব্যাটসম্যান ইয়াসির রাব্বী। ২৩ বছর বয়সী ইয়াসির বিসিএল’র গত রাউন্ডে পূর্বাঞ্চলের হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান দুই ইনিংসেই। এখন পর্যন্ত ৫১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ না থাকায় সুযোগ মিলতে পারে ইয়াসিরের।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত মোট ৮টি দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। চার সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের জয় দুটিতে। দুটি সিরিজ থেকে গেছে অমিমাংসিত। ২০১৮’র নভেম্বরে দু’দলের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজটি শেষ হয় ১-১ সমতায়। সিলেটে প্রথম টেস্টে ১৫১ রানে জিম্বাবুয়ের কাছে পরাজিত হলেও ঢাকায় ২১৮ রানের বড় জয়ে সমতা আনে বাংলাদেশ।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সোনালি দিন এখন অতীত। নানা প্রতিকূলতার মাঝে কোনোরকমে টিকে আছে তারা। গত বছর কোনো টেস্টই খেলেনি দলটি। এ বছর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলে জিম্বাবুয়ে। ১-০তে হারলেও ব্যাটে-বলে দারুণ লড়াই করে শন উইলিয়ামস-ব্রেন্ডন টেইলররা। বাংলাদেশ গত বছর পাঁচ টেস্টের চারটিই খেলে বিদেশের মাটিতে। চারটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হার। আর দেশের মাটিতে খেলা একমাত্র টেস্টে এ সংস্করণের নবীনতম সদস্য আফগানিস্তানের কাছে ২২৪ রানে হার দেখে বাংলাদেশ। স্বাগতিক দলের বাজে ফর্ম আর নিজেদের শেষ সিরিজ থেকে প্রাপ্ত আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগাতে চাইছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ শিবিরেও একটা অদৃশ্য ভয়। গত কয়েকটি ম্যাচে বোলিং-ব্যাটিং কিছুই যে ঠিকঠাক মতো হয়নি। বিশেষ করে ব্যাটিংটা হয়েছে বাজে। তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হকরা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে। সিনিয়র ক্রিকেটাররা রানে ফিরলেই ব্যাটিংয়ে চেহারাটা বদলে যাবে। নাজমুল হোসেন শান্ত-সাইফ হাসানের মতো তরুণরাও ভরসা পাবেন। শান্ত ফর্মে আছেন। গত সপ্তাহে ঘরোয়া লীগে মধ্যাঞ্চলের হয়ে হাঁকিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি (২৫৩*)। পাকিস্তানে তিক্ত অভিষেক ভুলে ভালো কিছু করে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাইফ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ মিস করেছে মুশফিকুর রহীমকে। মিডলঅর্ডারের নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটসম্যান ছিলেন না ম্যাচটিতে। তিনিও ফিরছেন আজ। মুশফিকের প্রত্যাবর্তন দলের অন্য ব্যাটসম্যানদের জন্য মোরাল বোস্ট হিসেবে কাজ করবে। মুশফিকের ক্যারিয়ার সেরা ২১৯* রানের ইনিংস জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০১৮তে দু’দলের সবশেষ দেখায় ঢাকায় রেকর্ডগড়া ডাবলটি হাঁকান তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বোলিং লাইনআপ কেমন হবে তা একটা বড় প্রশ্ন। ঘরের মাঠে সাধারণত স্পিননির্ভর বোলিং আক্রমণ সাজায় বাংলাদেশ। স্কোয়াডে রাখা হয় পাঁচ পেসার ও তিন স্পিনার। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো গতকাল জানিয়েছেন, মোস্তাফিজুর রহমান খেলছেন না এ টেস্টে। এরপর অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদকেও বাদ দেয়া হয়েছে দল থেকে। ফলে পেসার হিসেবে থাকছেন আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন আর তাসকিন আহমেদ। এদের মধ্যে কে কে সুযোগ পেতে পারেন একাদশে সে ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। ১৫ জনের দলে আছেন অনভিষিক্ত ব্যাটসম্যান ইয়াসির রাব্বী। ২৩ বছর বয়সী ইয়াসির বিসিএল’র গত রাউন্ডে পূর্বাঞ্চলের হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান দুই ইনিংসেই। এখন পর্যন্ত ৫১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ না থাকায় সুযোগ মিলতে পারে ইয়াসিরের।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত মোট ৮টি দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। চার সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের জয় দুটিতে। দুটি সিরিজ থেকে গেছে অমিমাংসিত। ২০১৮’র নভেম্বরে দু’দলের সর্বশেষ টেস্ট সিরিজটি শেষ হয় ১-১ সমতায়। সিলেটে প্রথম টেস্টে ১৫১ রানে জিম্বাবুয়ের কাছে পরাজিত হলেও ঢাকায় ২১৮ রানের বড় জয়ে সমতা আনে বাংলাদেশ।