বিশ্বজমিন
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্ট
বিমানবন্দর থেকে বৃটিশ এমপিকে ফেরত পাঠালো ভারত
মানবজমিন ডেস্ক
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ১:১১ পূর্বাহ্ন
জম্মু-কাশ্মীরের নিষ্পেষিত মানুষের কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরার জন্য পরিচিত বৃটিশ এমপি ডেবি আব্রাহামসকে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোমবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদিন তিনি বৈধ ভিসা নিয়ে ওই বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বৃটেনে ডেবি আব্রাহামসের অফিস থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি বৈধ ভিসা নিয়ে ভারতে যান। কিন্তু ভারত কর্তৃপক্ষ তার ভিসা প্রত্যাখ্যান করে। ফলে তিনি কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পান নি। তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বৃটেনে। এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাকিস্তানি সংস্করণ এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
এতে বলা হয়, ডেবি আব্রাহামস হলেন বৃটেনের বিরোধী দল লেবারের একজন এমপি। কাশ্মীর ইস্যুতে দৃষ্টি রাখে এমন একটি পার্লামেন্টারি গ্রুপ- অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর কাশ্মীর (এপিপিজি)-এর চেয়ার তিনি। কি কারণে তাকে অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তারা ভারতে প্রবেশ করতে দেয় নি সে বিষয় তিনি মিডিয়ার সঙ্গে শেয়ার করেছেন। ডেবি আব্রাহামস বলেছেন, কি কারণে আমাকে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়া হলো না এবং কেন ভিসা বাতিল করা হলো এ বিষয়ে কোনো কারণ দেখায় নি অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তারা। আমার ভিসার বৈধ মেয়াদ আছে এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত।
গত বছর ৫ই আগস্ট ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে ওই অঞ্চলকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নিয়ে নেয়। ভারত সরকারের এ উদ্যোগের কড়া সমালোচক বৃটিশ এই এমপি। তাকে ফেরত পাঠানোর নয়া দিল্লির এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন জম্মু কাশ্মীর সালভেশন মুভমেন্ট (জেকেএসএম) চেয়ারম্যান আলতাফ আহমেদ ভাট এবং তেহরিকে কাশ্মীর (টিইকে) ইউকে’র প্রেসিডেন্ট ফাহিম কিয়ানি।
টুইটার ব্যবহার করে ডেবি আব্রাহামস বলেছেন, তিনি সামাজিক ন্যায়বিচার ও সবার জন্য মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই অব্যাহত রাখবেন। টুইটারে তার ভাষায়- সামাজিক ন্যায়বিচার ও সবার জন্য মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি একজন রাজনীতিক হয়েছি। আমি আমার নিজের দেশের সরকারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ এবং অন্যান্য স্থানে, যেখানে বিচারহীনভাবে অবিচার ও নির্যাতন করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রাখবো।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন লিখেছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে দুবাই থেকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে নয়া দিল্লির ওই বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ডেবি আব্রাহামস। এ সময় তাকে বলা হয়, গত অক্টোবরে ইস্যু করা ই-ভিসা, যার বৈধতার মেয়াদ এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত আছে, তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ডেবি আব্রাহামস বৃটেনের ওল্ডহ্যাম ইস্ট এবং স্যাডলওর্থ থেকে নির্বাচিত এমপি। সেদিন কি ঘটেছিল সে বিষয়ে তিনি নিজে বলছেন, অন্য সবার মতোই আমি আমার ই-ভিসা সহ সব ডকুমেন্ট অভিবাসন বিষয়ক ডেস্কে উপস্থাপন করলাম। আমার ছবি নেয়া হলো। তারপর দায়িত্বরত কর্মকর্তা তার স্ক্রিনের দিকে তাকালেন। মাথা ঝাঁকাতে লাগলেন।
তারপর তিনি বললেন, আমার ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। পাসপোর্ট নিয়ে নিলেন। তিনি প্রায় ১০ মিনিটের জন্য অদৃশ্য হয়ে গেলেন। যখন ফিরে এলেন তখন তাকে খুব রুক্ষ্ম এবং আগ্রাসি দেখাচ্ছিল। তিনি আমার দিকে চিৎকার করে বললেন, আমার সঙ্গে আসুন। আমার সঙ্গে তাকে এভাবে কথা না বলতে বললাম। তিনি আমাকে ঘেরাও দিয়ে রাখা একটি এলাকায় নিয়ে গেলেন, যেখানে লেখা আছে ডিপোর্টি সেল বা ফেরত পাঠানো লোকদের সেল। তিনি আমাকে বসার নির্দেশ দিলেন। আমি তার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করলাম। আমি তখনও জানতাম না তারা কি করতে চাইছিল অথবা তারা আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে। সুতরাং আমি লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চাইলাম। তিনি আবার নিখোঁজ হয়ে গেলেন। আমার এক নিকট আত্মীয়কে ফোন করলাম।
তার নাম কাই। তার সঙ্গেই আমার অবস্থান করার কথা ছিল। আমার ফোন পেয়ে তিনি দিল্লিতে বৃটিশ হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। জানার চেষ্টা করলেন কি ঘটছে।
এমপি ডেবি আব্রাহামস বলেন, বিপুল সংখ্যক অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তা আমার কাছে এলেন। আমি তাদের জানার চেষ্টা করলাম কেন আমার ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং আমি কি ‘আসা মাত্র ভিসা’ পেতে পারি কিনা। কিন্তু কেউ এ বিষয়টি জানেন বলে মনে হলো না। একজন লোককে মনে হলো তিনি ইনচার্জ। তিনি বললেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। যা ঘটেছে তার জন্য তিনি সত্যিকারেই দুঃখিত। তাই আমি এখন অপেক্ষা করছি আমাকে কখন ফেরত পাঠানো হয়, যদি ভারত সরকার তার হৃদয়ের অনুভূতি পরিবর্তন না করে।
এরপরে ভারতীয় কর্মকর্তারা তার পাসপোর্ট নিয়ে নেয় এবং তাকে হাঁটিয়ে নিয়ে যায় একটি বিমানের দিকে।
এতে বলা হয়, ডেবি আব্রাহামস হলেন বৃটেনের বিরোধী দল লেবারের একজন এমপি। কাশ্মীর ইস্যুতে দৃষ্টি রাখে এমন একটি পার্লামেন্টারি গ্রুপ- অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর কাশ্মীর (এপিপিজি)-এর চেয়ার তিনি। কি কারণে তাকে অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তারা ভারতে প্রবেশ করতে দেয় নি সে বিষয় তিনি মিডিয়ার সঙ্গে শেয়ার করেছেন। ডেবি আব্রাহামস বলেছেন, কি কারণে আমাকে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়া হলো না এবং কেন ভিসা বাতিল করা হলো এ বিষয়ে কোনো কারণ দেখায় নি অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তারা। আমার ভিসার বৈধ মেয়াদ আছে এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত।
গত বছর ৫ই আগস্ট ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে ওই অঞ্চলকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নিয়ে নেয়। ভারত সরকারের এ উদ্যোগের কড়া সমালোচক বৃটিশ এই এমপি। তাকে ফেরত পাঠানোর নয়া দিল্লির এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন জম্মু কাশ্মীর সালভেশন মুভমেন্ট (জেকেএসএম) চেয়ারম্যান আলতাফ আহমেদ ভাট এবং তেহরিকে কাশ্মীর (টিইকে) ইউকে’র প্রেসিডেন্ট ফাহিম কিয়ানি।
টুইটার ব্যবহার করে ডেবি আব্রাহামস বলেছেন, তিনি সামাজিক ন্যায়বিচার ও সবার জন্য মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই অব্যাহত রাখবেন। টুইটারে তার ভাষায়- সামাজিক ন্যায়বিচার ও সবার জন্য মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি একজন রাজনীতিক হয়েছি। আমি আমার নিজের দেশের সরকারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ এবং অন্যান্য স্থানে, যেখানে বিচারহীনভাবে অবিচার ও নির্যাতন করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রাখবো।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন লিখেছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে দুবাই থেকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে নয়া দিল্লির ওই বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ডেবি আব্রাহামস। এ সময় তাকে বলা হয়, গত অক্টোবরে ইস্যু করা ই-ভিসা, যার বৈধতার মেয়াদ এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত আছে, তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ডেবি আব্রাহামস বৃটেনের ওল্ডহ্যাম ইস্ট এবং স্যাডলওর্থ থেকে নির্বাচিত এমপি। সেদিন কি ঘটেছিল সে বিষয়ে তিনি নিজে বলছেন, অন্য সবার মতোই আমি আমার ই-ভিসা সহ সব ডকুমেন্ট অভিবাসন বিষয়ক ডেস্কে উপস্থাপন করলাম। আমার ছবি নেয়া হলো। তারপর দায়িত্বরত কর্মকর্তা তার স্ক্রিনের দিকে তাকালেন। মাথা ঝাঁকাতে লাগলেন।
তারপর তিনি বললেন, আমার ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। পাসপোর্ট নিয়ে নিলেন। তিনি প্রায় ১০ মিনিটের জন্য অদৃশ্য হয়ে গেলেন। যখন ফিরে এলেন তখন তাকে খুব রুক্ষ্ম এবং আগ্রাসি দেখাচ্ছিল। তিনি আমার দিকে চিৎকার করে বললেন, আমার সঙ্গে আসুন। আমার সঙ্গে তাকে এভাবে কথা না বলতে বললাম। তিনি আমাকে ঘেরাও দিয়ে রাখা একটি এলাকায় নিয়ে গেলেন, যেখানে লেখা আছে ডিপোর্টি সেল বা ফেরত পাঠানো লোকদের সেল। তিনি আমাকে বসার নির্দেশ দিলেন। আমি তার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করলাম। আমি তখনও জানতাম না তারা কি করতে চাইছিল অথবা তারা আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে। সুতরাং আমি লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চাইলাম। তিনি আবার নিখোঁজ হয়ে গেলেন। আমার এক নিকট আত্মীয়কে ফোন করলাম।
তার নাম কাই। তার সঙ্গেই আমার অবস্থান করার কথা ছিল। আমার ফোন পেয়ে তিনি দিল্লিতে বৃটিশ হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। জানার চেষ্টা করলেন কি ঘটছে।
এমপি ডেবি আব্রাহামস বলেন, বিপুল সংখ্যক অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তা আমার কাছে এলেন। আমি তাদের জানার চেষ্টা করলাম কেন আমার ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং আমি কি ‘আসা মাত্র ভিসা’ পেতে পারি কিনা। কিন্তু কেউ এ বিষয়টি জানেন বলে মনে হলো না। একজন লোককে মনে হলো তিনি ইনচার্জ। তিনি বললেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। যা ঘটেছে তার জন্য তিনি সত্যিকারেই দুঃখিত। তাই আমি এখন অপেক্ষা করছি আমাকে কখন ফেরত পাঠানো হয়, যদি ভারত সরকার তার হৃদয়ের অনুভূতি পরিবর্তন না করে।
এরপরে ভারতীয় কর্মকর্তারা তার পাসপোর্ট নিয়ে নেয় এবং তাকে হাঁটিয়ে নিয়ে যায় একটি বিমানের দিকে।