দেশ বিদেশ

এসপি’র কাছে স্বামীর অভিযোগ

ট্রাকচালকের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন

ট্রাকচালক মনিরুল ইসলামকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন লাইলাতুন নেসা লতা। তারপর সংসার করছিলেন স্বামীর বাড়িতে। তবে বিয়ে মেনে নেননি লতার বাবা। তিনি অভিযোগ করেন থানায়। পুলিশ মনিরুলের বাড়ি থেকে লতাকে নিয়ে গিয়ে বাবার কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে সম্মতি ও সাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও বাবার অভিযোগে লতাকে পুলিশ কেন জোর করে স্বামীর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেল তা জানতে চেয়ে এবং স্ত্রীকে ফেরত পেতে রোববার রাজশাহী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মনিরুলের বাড়ি রাজশাহীর বেলপুকুর থানার মাহেন্দ্রা এলাকায়। তার বাবার নাম আবদুস সালাম। আর লতা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার গৌরিহার গ্রামের আবদুল লতিফের মেয়ে। এর আগেও লতার একটি বিয়ে হয়েছিল। আদালতে লতা সেই স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে মনিরুল উল্লেখ করেছেন, গত বছরের ২৬শে নভেম্বর তিনি লতাকে বিয়ে করেন। বিয়ে নিবন্ধনও করা হয়েছে। পরে লতা এবং মনিরুল দু’জনেই এফিডেভিটে বিয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। এরপর থেকে তারা সংসার করে আসছিলেন। আড়াই মাস পর হঠাৎ গত ১২ই ফেব্রুয়ারি রাতে সাদা পোশাকে দুর্গাপুর থানার পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে ‘অভিযোগ আছে’ জানিয়ে লতাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। অভিযোগে আরও বলা হয়, মনিরুলের বাড়ি বেলপুকুর থানা এলাকায়। কিন্তু বেলপুকুর থানাকে অবহিত না করেই তার বাড়িতে দুর্গাপুর থানা পুলিশ এসে লতাকে নিয়ে গেছে। পরে তিনি দুর্গাপুর থানায় যান। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খুরশিদা বানু কণা তাকে জানান- লতার বিরুদ্ধে মামলা আছে। কিন্তু সেটি মিথ্যা কথা। পরে ওসি লতাকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করেন। সেসময় ওসি মনিরুলকে বলেন, মনিরুল লতাকে আনতে তার বাবার বাড়ি গেলে হামলা ও মামলা করতে পারে। ভয় দেখিয়ে তিনি মনিরুলকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
মনিরুল অভিযোগ করেন, মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে ওসি খুরশিদা বানু কণা তার স্ত্রীকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে বাবার কাছে দিয়েছেন। আর শ্বশুরবাড়ি না যাওয়ার জন্য তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছেন ওসি। এখন লতার বাবা আবদুল লতিফ তার মেয়েকে আটকে রেখেছেন। মনিরুল তার আবেদনে স্ত্রীকে ফেরত এনে  দেওয়ার জন্য এসপি’র কাছে আবেদন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি এব্যাপারে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। জানতে চাইলে জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম বলেন, ‘আবেদনের বিষয়টি শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু এখনও আমি জানি না।’ দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশিদা বানু কণা বলেন, ‘মেয়েকে উদ্ধারের জন্য আবদুল লতিফ থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে লতাকে উদ্ধার করে বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status