দেশ বিদেশ

শীত শেষে বসন্ত, কমেনি সবজির দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৬:৪০ পূর্বাহ্ন

ফাইল ছবি

প্রতিবছরই শীতকালে শীতের সবজিতে বাজার ভরপুর থাকে। দামও থাকে সাধ্যের মধ্যে। কিন্তু এবার শীতের মৌসুম পেরোলেও নাগালে আসেনি শাকসবজির দাম। বরং কিছু সবজির দাম বেড়েছে। কয়েকটি সবজির কেজি ১০০ টাকার ঘরে। রাজধানীর কাওরান বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজারে প্রতিটি তরতাজা লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। যা স্বাভাবিকভাবে বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। বরবটির কেজি ৮০-১০০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, যা প্রতিবছর এই সময়ে ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়। শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। যা এই সময়ে ৩০ টাকার মধ্যে থাকে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে, শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে।

শাকসবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সবজি বিক্রেতা সালাম মিয়া বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজির আমদানি এ বছর কিছুটা কম। তাই প্রতিবছর যে হারে সবজির দাম কমে আসে সেটা এ বছর কমছে না। আরেক ব্যবসায়ী ফিরোজ বলেন, এবার সবজির দাম আর কমার সম্ভাবনা নেই। দিন যত যাবে সবজির দাম ততো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সেগুন বাগিচা বাজারে সবজি কিনতে আসা নাসিমা বেগম বলেন, একটি লাউ কিনতে গেলে ৭০ থেকে ৮০ টাকা গুনতে হচ্ছে। ফুলকপি এবং বাঁধাকপি এখনো ৩০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বছরে এ সময় ফুলকপি-বাঁধাকপি ২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এখন সবজির মৌসুম যদি দাম না কমে। তাহলে আগামীতে আরও নাগালের বাইরে চলে যাবে।

এদিকে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে পিয়াজের দাম। গত বছর এই সময় পিয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আর বর্তমানে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। গত বছর এ সময়ে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ১০০ টাকায়। আর বর্তমানে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়। দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।

এদিকে নতুন করে দাম না বাড়লেও গত এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চাল-ডাল ও তেল-মসলাসহ নিত্যপ্যয়োজনীয় পণ্যের দাম। তবে কিছুটা কম রয়েছে বয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। এছাড়া আগের মতোই গরুর মাংস ৫৫০ টাকা খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাছ বাজারে রুই মাছ ২২০-৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেলাপিয়া ১৩০-১৭০, শিং ৩০০-৪৫০, শোল মাছ ৪০০-৭৫০, পাবদা ৪০০-৫০০, টেংরা ৪৫০-৬০, নলা ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status