বাংলারজমিন
ফেসবুকে প্রেম
মাকে হত্যার দায় স্বীকার করলো মেয়ে ও প্রেমিক
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে
২৯ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৮:০২ পূর্বাহ্ন
স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার আগে থেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে প্রণয় গড়ে উঠে জ্যোতি এবং নাঈমের। তারা গভীর ভালোবাসায় একে অপরকে নিজেদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়। এরপর বিয়ে করবে বলে মনস্থির করে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় মেয়ের মা মাহমুদা বেগম। কোনোভাবেই ওই ছেলের সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিতে নারাজ। এতে ফুঁসে উঠে মেয়ে জ্যোতি ও তার প্রেমিক। পরিকল্পনা করা হয় কীভাবে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলা যায়। সে পথেই হাঁটে তারা দু’জন। শেষমেশ মেয়ে জ্যোতি আক্তার, প্রেমিক নাঈম ও আরো দুই বন্ধু মিলে নিজের মাকেই হত্যা করলো দিনদুপুরে। মাকে হত্যার পর ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে ডাকাতি বলে নাটক সাজানোর চেষ্টাও করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ হত্যার রহস্য উন্মোচন করে।
সোমবার বিকালে আটককৃত প্রেমিক নাঈম ও তার বন্ধু রাকিব মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সিনিয়র বিচারক শাকিল আহম্মেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি খোলাসা হয়ে যায়। এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জ্যোতি আক্তার। গেল ২২শে জানুয়ারি সকালে মানিকগঞ্জ শহরের দক্ষিণ সেওতা এলাকায় দিনদুপুরে গৃহবধূ মাহমুদা বেগম (৪৫)কে ওই কিলাররা ঘরে ঢুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন জানান, গত নভেম্বরে জ্যোতির স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রণয় গড়ে উঠে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের আরাকুল গ্রামের নাঈমের সঙ্গে। নিজেরা বিয়ের জন্য প্রস্তুতিও নেয়। কিন্তু জ্যোতির মা মাহমুদা বেগম এতে রাজি ছিলেন না। তিনি মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি মেয়েকে শাসনও করতেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিক নাঈমের সঙ্গে জোট করে জ্যোতি নিজে তার মাকেই হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার আগের দিন ২১শে জানুয়ারি রাতেই প্রেমিক নাঈম, রাকিব সহ আরো দুই বন্ধু অবস্থান নেয় জ্যোতির শোবার ঘরে। বন্ধুদের ভাড়া করা হয় দেড় লাখ টাকায়। এর মধ্যে জ্যোতি তার স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১৬ হাজার টাকা দেয় হত্যাকারীদের। রাতেই হত্যাকাণ্ড ঘটনার পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। ২২শে জানুয়ারি বুধবার সকালে জ্যোতির বাবা জহিরুল ইসলাম আলিয়ার প্রাতঃভ্রমণে বাড়ির বাইরে যায় আর মা মাহমুদা বেগম সেলাই মেশিনে কাজ করার জন্য বসেন। এই সুযোগে মাহমুদা বেগমের রুমে ঢুকে নাঈমসহ আরো দুইজন। এরা রুমে ঢুকেই মাহমুদা বেগমকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এরপর হত্যাকাণ্ডটি ডাকাতি বলে ওই সময় বক্তব্য দেন মেয়ে জ্যোতি আক্তার। কিন্তু তার কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়াতে ঘটনার দিনই জ্যোতিকে আটক করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয় নাঈম ও রাকিবকে। অন্য দু’জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কোর্টে হাজির করার পর জ্যোতিকে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। আদালতে জ্যোতি আক্তার রোববার দিন ও অপর দুই আসামি রাকিব ও নাঈম সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
সোমবার বিকালে আটককৃত প্রেমিক নাঈম ও তার বন্ধু রাকিব মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সিনিয়র বিচারক শাকিল আহম্মেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি খোলাসা হয়ে যায়। এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জ্যোতি আক্তার। গেল ২২শে জানুয়ারি সকালে মানিকগঞ্জ শহরের দক্ষিণ সেওতা এলাকায় দিনদুপুরে গৃহবধূ মাহমুদা বেগম (৪৫)কে ওই কিলাররা ঘরে ঢুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন জানান, গত নভেম্বরে জ্যোতির স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রণয় গড়ে উঠে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের আরাকুল গ্রামের নাঈমের সঙ্গে। নিজেরা বিয়ের জন্য প্রস্তুতিও নেয়। কিন্তু জ্যোতির মা মাহমুদা বেগম এতে রাজি ছিলেন না। তিনি মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি মেয়েকে শাসনও করতেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিক নাঈমের সঙ্গে জোট করে জ্যোতি নিজে তার মাকেই হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার আগের দিন ২১শে জানুয়ারি রাতেই প্রেমিক নাঈম, রাকিব সহ আরো দুই বন্ধু অবস্থান নেয় জ্যোতির শোবার ঘরে। বন্ধুদের ভাড়া করা হয় দেড় লাখ টাকায়। এর মধ্যে জ্যোতি তার স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১৬ হাজার টাকা দেয় হত্যাকারীদের। রাতেই হত্যাকাণ্ড ঘটনার পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। ২২শে জানুয়ারি বুধবার সকালে জ্যোতির বাবা জহিরুল ইসলাম আলিয়ার প্রাতঃভ্রমণে বাড়ির বাইরে যায় আর মা মাহমুদা বেগম সেলাই মেশিনে কাজ করার জন্য বসেন। এই সুযোগে মাহমুদা বেগমের রুমে ঢুকে নাঈমসহ আরো দুইজন। এরা রুমে ঢুকেই মাহমুদা বেগমকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এরপর হত্যাকাণ্ডটি ডাকাতি বলে ওই সময় বক্তব্য দেন মেয়ে জ্যোতি আক্তার। কিন্তু তার কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়াতে ঘটনার দিনই জ্যোতিকে আটক করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয় নাঈম ও রাকিবকে। অন্য দু’জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কোর্টে হাজির করার পর জ্যোতিকে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। আদালতে জ্যোতি আক্তার রোববার দিন ও অপর দুই আসামি রাকিব ও নাঈম সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।