বাংলারজমিন
লক্ষ্মীপুরে চার পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২৮ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে সদর থানার ৩ পুলিশ কর্মকর্তা ও এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নুরুল আলম প্রকাশ নুরুর মা নুরজাহান বেগম। আসামিরা হচ্ছেন- সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, এএসআই মঞ্জুরুল ইসলাম, এএসআই মহিউদ্দিন খন্দকার ও কনস্টেবল কবির হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো ৫ জন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ৩০শে ডিসেম্বর মামলার বাদী নুর জাহান বেগমের ছেলে নুরুল আলম নুরু একটি মামলায় জেলখানা থেকে জামিনে বের হয়। এসময় কারা ফটকের সামনে সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, এ এস আই মঞ্জুরুল ইসলাম, এ এস আই মহিউদ্দিন খন্দকার ও কনস্টেবল কবির হোসেনসহ কয়েকজন নুরুল হক নুরুকে অপহরণ করে সিএনজিতে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটক রেখে পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ক্রসফায়ারসহ বিভিন্ন মামলার
হুমকিসহ নির্যাতন করার অভিযোগ করেন। এরপর নুরুল হক নুরুর শাশুড়ির মোবাইল ফোনে টাকার জন্য চাপ দেয়। ৬ দিন পর নুরুল হক নুরুকে ২৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, মামলার বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল জানান, চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।
হুমকিসহ নির্যাতন করার অভিযোগ করেন। এরপর নুরুল হক নুরুর শাশুড়ির মোবাইল ফোনে টাকার জন্য চাপ দেয়। ৬ দিন পর নুরুল হক নুরুকে ২৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, মামলার বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল জানান, চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।