খেলা
বেশি ওপেনারেই গণ্ডগোল!
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৭ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন
সিরিজের টানা দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই হার। খালি চোখে হারের কারণটা পরিষ্কার। ১৪১ ও ১৩৬ রান করে দুর্গ সামলানো দুরূহ ব্যাপার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কেন এমন ব্যাটিং ব্যর্থতা! দলে সুযোগ পাওয়া বেশির ভাগ ক্রিকেটারই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ টি-টোয়েন্টি আসরের সেরা পারফর্মার। কিন্তু তারা যেন দেশেই ফেলে গেছে সেই ছন্দ। পাকিস্তানে তাদের ব্যাটে যেন মরিচা পড়েছে। অবশ্য এমন অবস্থার কারণটা অনুমান করেছেন বিকেএসপির কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম। এক সময় তার হাত ধরেই সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীমরা উঠে এসেছেন ক্রিকেটে। কোচ ফাহিম বলেন, ‘দলে যারা জায়গা পেয়েছে তাদের সর্বশেষ পারফরম্যান্স বিপিএলে। এদের বেশির ভাগই দেখছেন খেলেছে ওপেনিং কিংবা ওয়ান ডাউনে। আমি বলছি না যে ওপেনার বলে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে পারবে না বা আরো নিচের দিকে ব্যাট করা সম্ভব নয়। কিন্তু একটা অভ্যস্ততার বিষয়ও আছে। এ জন্যইতো ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের পজিশনের বিষয়টা এত আলোচনায় আসে। এখন সৌম্য বা লিটন ওপেনিংয়ে যেভাবে খেলে অভ্যস্ত তাদের ৪ বা ৬-এ এসে মানিয়ে নেয়া কিন্তু একটু কঠিনই হওয়ার কথা। আমি বলতে চাইছি দল সাজানোতেই একটু পরিকল্পনায় মনে হয় ত্রুটি ছিল। যে কারণে দেখেন ওপেনিংয়ে রান এলেও নিচের দিকে কিন্তু আসছে না।’
সফরে পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশ দলকে দিচ্ছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা। এতে অনেকটা ক্রিকেটের জেলখানার মত পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন অনেক বোদ্ধা-বিশ্লেষক। যদিও টিম ম্যানেজম্যান্ট, টাইগার অধিনায়ক এমনকি বিসিবিও বলছে এমন নিরাপত্তাতে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এমন পরিবেশ কি স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলাতে প্রভাব ফেলছে না? এ বিষয়ে নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘আমাদের অধিনায়ক থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজম্যান্টের সকলেই বলছে পাকিস্তান নিরাপদ। তারাতো খুশি। তাহলে আমার যেটা মনে হয় তারা সম্ভবত কোনো ধরনের ভয় পাচ্ছে না। কিন্তু যদি পরিবেশের সঙ্গে ক্রিকেটের কথা বলেন, আমি বলবো বন্দিশালার মতো অবস্থায় স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলাটা ভীষণ কঠিন। বাইরে প্রকাশ না হলেও ভিতরে ভিতরে কিন্তু একটা চাপ থাকেই।’
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার সঙ্গে বোলাররাও দায় এড়াতে পারে না। নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘সাধারণ মানের বোলিং হচ্ছে। আল আমিনের ওপর যতটা আস্থা রাখা হয়েছিল সেটি পূরণে সে ব্যর্থ। তবে আমার সবচেয়ে ভয় মোস্তাফিজকে নিয়ে। সত্যি ওকে নিয়ে এখন কড়াভাবে ভাবা উচিত। ওকে নিয়ে কাজ করতে হবে। সময় দিতে হবে। এভাবে খেলতে থাকলে মনোবল কিন্তু ভেঙে যাবে। আমি বলবো এবার ফিজের বিষয়টা সত্যি ভাবনার।’
তামিমদের পাশেই আছেন ম্যাকেঞ্জি
বাংলাদেশ দলের বর্তমান ব্যাটিং গুরু দক্ষিণ আফ্রিকার নিল ম্যাকেঞ্জি। তিনি দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে যাননি। দেশ ছাড়ার আগে অবশ্য শিষ্যদের সঙ্গে বেশ কাজ করেছেন। এখন টেস্ট দলের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কাজ করছেন। টাইগাররা ভারতের পর ব্যর্থ পাকিস্তানেও। যদিও তিনি তামিম ইকবালদের পাশেই আছেন। বিপিএলেও তামিম টুক টুক করে রান তুলেছেন। পাকিস্তানেও তার পরিবর্তন হয়নি। প্রথম ম্যাচে ৩৯ রান করতে খেলেন ৩৪ বল। দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৫ রান আসে ৫৩ বলে। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘ওকে (তামিম) ফিরতে দেখে ভালো লাগছে। সে ৩০-৪০ রান করছে, এখন ৬০ রান করেছে। আশা করি ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে। তার এখন দ্রুত রান তোলা উচিত। এই ৬০ রানের ইনিংসকে ৫৫ বলে ৮০ রানের ইনিংসে রূপ দিতে হবে।’
তামিমে তার আস্থার কারণ হিসেবে ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। কী করতে হবে ও খুব ভালোই জানে। বাংলাদেশের জন্য তামিম কতোটা গুরুত্বপূর্ণ, ও জানে। এটা একটা প্রক্রিয়া। তবে আমরা ওর কাছ থেকে আরেকটু ভয়ডরহীন ক্রিকেট দেখতে চাই। সে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ক্রিকেটারদের একজন। আমরা সবাই জানি সে কী করতে পারে। গত বিপিএলের ফাইনাল তো মনে আছে সবারই। তবে তার সতীর্থদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। তার আশেপাশের ব্যাটসম্যানদেরও পারফর্ম করতে হবে। বাকিদের ওপর আস্থা থাকলে সে নিজেও শট খেলতে পারবে।
সফরে পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশ দলকে দিচ্ছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা। এতে অনেকটা ক্রিকেটের জেলখানার মত পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন অনেক বোদ্ধা-বিশ্লেষক। যদিও টিম ম্যানেজম্যান্ট, টাইগার অধিনায়ক এমনকি বিসিবিও বলছে এমন নিরাপত্তাতে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এমন পরিবেশ কি স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলাতে প্রভাব ফেলছে না? এ বিষয়ে নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘আমাদের অধিনায়ক থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজম্যান্টের সকলেই বলছে পাকিস্তান নিরাপদ। তারাতো খুশি। তাহলে আমার যেটা মনে হয় তারা সম্ভবত কোনো ধরনের ভয় পাচ্ছে না। কিন্তু যদি পরিবেশের সঙ্গে ক্রিকেটের কথা বলেন, আমি বলবো বন্দিশালার মতো অবস্থায় স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলাটা ভীষণ কঠিন। বাইরে প্রকাশ না হলেও ভিতরে ভিতরে কিন্তু একটা চাপ থাকেই।’
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার সঙ্গে বোলাররাও দায় এড়াতে পারে না। নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘সাধারণ মানের বোলিং হচ্ছে। আল আমিনের ওপর যতটা আস্থা রাখা হয়েছিল সেটি পূরণে সে ব্যর্থ। তবে আমার সবচেয়ে ভয় মোস্তাফিজকে নিয়ে। সত্যি ওকে নিয়ে এখন কড়াভাবে ভাবা উচিত। ওকে নিয়ে কাজ করতে হবে। সময় দিতে হবে। এভাবে খেলতে থাকলে মনোবল কিন্তু ভেঙে যাবে। আমি বলবো এবার ফিজের বিষয়টা সত্যি ভাবনার।’
তামিমদের পাশেই আছেন ম্যাকেঞ্জি
বাংলাদেশ দলের বর্তমান ব্যাটিং গুরু দক্ষিণ আফ্রিকার নিল ম্যাকেঞ্জি। তিনি দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে যাননি। দেশ ছাড়ার আগে অবশ্য শিষ্যদের সঙ্গে বেশ কাজ করেছেন। এখন টেস্ট দলের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কাজ করছেন। টাইগাররা ভারতের পর ব্যর্থ পাকিস্তানেও। যদিও তিনি তামিম ইকবালদের পাশেই আছেন। বিপিএলেও তামিম টুক টুক করে রান তুলেছেন। পাকিস্তানেও তার পরিবর্তন হয়নি। প্রথম ম্যাচে ৩৯ রান করতে খেলেন ৩৪ বল। দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৫ রান আসে ৫৩ বলে। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘ওকে (তামিম) ফিরতে দেখে ভালো লাগছে। সে ৩০-৪০ রান করছে, এখন ৬০ রান করেছে। আশা করি ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে। তার এখন দ্রুত রান তোলা উচিত। এই ৬০ রানের ইনিংসকে ৫৫ বলে ৮০ রানের ইনিংসে রূপ দিতে হবে।’
তামিমে তার আস্থার কারণ হিসেবে ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। কী করতে হবে ও খুব ভালোই জানে। বাংলাদেশের জন্য তামিম কতোটা গুরুত্বপূর্ণ, ও জানে। এটা একটা প্রক্রিয়া। তবে আমরা ওর কাছ থেকে আরেকটু ভয়ডরহীন ক্রিকেট দেখতে চাই। সে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ক্রিকেটারদের একজন। আমরা সবাই জানি সে কী করতে পারে। গত বিপিএলের ফাইনাল তো মনে আছে সবারই। তবে তার সতীর্থদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। তার আশেপাশের ব্যাটসম্যানদেরও পারফর্ম করতে হবে। বাকিদের ওপর আস্থা থাকলে সে নিজেও শট খেলতে পারবে।