এক্সক্লুসিভ
সাবেক ওসি সারোয়ারের সম্পদের পাহাড়
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে
২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৭:৪০ পূর্বাহ্ন
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের তদন্তে পুলিশের সাবেক ওসি সৈয়দ গোলাম সারোয়ার ও তার পুত্র ফেঁসে যাচ্ছেন। চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে সম্পদের বিবরণী চেয়ে এই সাবেক ক্ষমতাধর ওসি ও তার ৩ পুত্রকে নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ওসি সৈয়দ গোলাম সারোয়ার এবং তার পুত্র এনামুল হক মাসুম, নাজমুল হক মারুফ ও মঞ্জরুল হক মামুনকে এই নোটিশ দেয়া হয়েছে। চলতি জানুয়ারি মাসে মধ্যে নোটিশের জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি থাকাকালীন বা অবসরে গেলেও অবৈধ সম্পদের খোঁজ নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এবার রাজধানী ঢাকা ও জেলা শহরে বহুতল ভবনের মালিকসহ অঢেল সম্পদের অর্জনের জন্য অবসরে যাওয়া এক পুলিশ কমকর্তার সম্পদের উৎস অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। আর তাতে ফেঁসে যাচ্ছেন কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পেয়ে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক পরিদর্শক (ওসি) হন সৈয়দ গোলাম সারোয়ার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাখী গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন সরকারের ৩ পুত্রের মধ্যে বড় গোলাম সারোয়ার কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে উপপরিদর্শক থেকে পরিদর্শক হন গোলাম সারোয়ার। দর্জি পিতার অপর দুই সন্তান এখনও নিজ গ্রামে মুদি দোকানসহ কৃষিকাজ করেন। পুলিশ ইন্সপেক্টর পদোন্নতি পাওয়ার পর থেকেই ভাগ্য খুলে যায় গোলাম সারোয়ারের। এসময় তিনি নিজ নামে ও সন্তানের নামে ছাড়াও বেনামে অঢেল সম্পদ অর্জন করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যহারসহ ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে গোলাম সারোয়ার অর্ধশত কোটি টাকার বেশি মালিক হয়েছেন এসময়। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা, ভালুকা মডেল থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় চাকরি করার সময়েই এসব সম্পদ অর্জন করেন। ঢাকার শ্যামলী হাউজিংয়ে বিলাসবহুল আটতলা বাড়িসহ তাঁর সাবেক কর্মস্থল ময়মনসিংহ ও নিজ এলাকা টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। বেসরকারি হিসেবে তার সম্পদের পরিমাণ অর্ধ শত কোটি টাকা! স্ত্রী ও ৩ সন্তানের নামেও রয়েছে অগাধ সম্পদ। দুদকের সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি কাগজপত্রে ঢাকার বহুতল ভবন সহ অনেক তথ্যই গোপন করেছেন।
জানা গেছে, সাবেক পুলিশ পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার রাজধানী ঢাকার আদাবরের শেকেরটেক এলাকার শ্যামলী হাউজিং এর ছয় নম্বর সড়কে বি-৪৮ হোল্ডিংয়ে আট তলা বিলাস বহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। স্থানীয়রা পুলিশ কর্মকর্তার বিলাসবহুল এই বাড়ি নির্মাণ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। ফ্লাটের বেশিরভাগ ভাড়া দেয়া হয়েছে। ময়মনসিংহে কর্মরত অবস্থায় সৈয়দ গোলাম সারোয়ার এই বাড়িটি নির্মাণ করেন বলে জানায় স্থানীয়রা। এই বাড়ি করার সময় নানা গুঞ্জন ছিল। এখনও আছে। ঢাকার আদাবরের মতো এলাকায় জায়গা কিনে আটতলার বাড়ি করতে ২০-৩০ কোটি টাকা কী করে পেলো পুলিশ সেটিই বড় রহস্য। ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকার ১০ তলা সৌহার্দ টাওয়ারে নিজ ও ৩ পুত্র এনামুল হক মাসুম, নাজমুল হক মারুফ ও মঞ্জুরুল হক মামুনের নামে ১২টি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এসবের বাইরে ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুর দৌলতমুন্সি রোডে ৪ শতাংশ জমিতে বাড়ি, বলাশপুর এলাকায় ১৫ শতাংশ জমি, শিকারীকান্দা এলাকায় ২০ শতাংশ জমি এবং টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের পাশে ২০ শতাংশ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করেছেন গোলাম সারোয়ার। নিজ গ্রামেও প্রচুর জমি কিনেছেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
দুদক সূত্র জানায়, সম্পদ বিবরণী পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে দুদক। এদিকে নোটিশ পাওয়ার পর থেকে নানা মহলে দৌড়ঝাঁপ করছেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা। দম্ভোক্তি করে বলে বেড়াচ্ছেন দুদক তার কিছুই করতে পারবে না। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাসিন্দা এই অভিযুক্ত কর্মকর্তা সর্বশেষ দুই বছর পূর্বে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় পুলিশ পরিদর্শক(ওসি) হিসেবে অবসরে যান।
সরকারি কর্মকর্তাদের চাকরি থাকাকালীন বা অবসরে গেলেও অবৈধ সম্পদের খোঁজ নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এবার রাজধানী ঢাকা ও জেলা শহরে বহুতল ভবনের মালিকসহ অঢেল সম্পদের অর্জনের জন্য অবসরে যাওয়া এক পুলিশ কমকর্তার সম্পদের উৎস অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। আর তাতে ফেঁসে যাচ্ছেন কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পেয়ে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক পরিদর্শক (ওসি) হন সৈয়দ গোলাম সারোয়ার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাখী গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন সরকারের ৩ পুত্রের মধ্যে বড় গোলাম সারোয়ার কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে উপপরিদর্শক থেকে পরিদর্শক হন গোলাম সারোয়ার। দর্জি পিতার অপর দুই সন্তান এখনও নিজ গ্রামে মুদি দোকানসহ কৃষিকাজ করেন। পুলিশ ইন্সপেক্টর পদোন্নতি পাওয়ার পর থেকেই ভাগ্য খুলে যায় গোলাম সারোয়ারের। এসময় তিনি নিজ নামে ও সন্তানের নামে ছাড়াও বেনামে অঢেল সম্পদ অর্জন করেন।
অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার অপব্যহারসহ ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে গোলাম সারোয়ার অর্ধশত কোটি টাকার বেশি মালিক হয়েছেন এসময়। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা, ভালুকা মডেল থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় চাকরি করার সময়েই এসব সম্পদ অর্জন করেন। ঢাকার শ্যামলী হাউজিংয়ে বিলাসবহুল আটতলা বাড়িসহ তাঁর সাবেক কর্মস্থল ময়মনসিংহ ও নিজ এলাকা টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। বেসরকারি হিসেবে তার সম্পদের পরিমাণ অর্ধ শত কোটি টাকা! স্ত্রী ও ৩ সন্তানের নামেও রয়েছে অগাধ সম্পদ। দুদকের সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি কাগজপত্রে ঢাকার বহুতল ভবন সহ অনেক তথ্যই গোপন করেছেন।
জানা গেছে, সাবেক পুলিশ পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার রাজধানী ঢাকার আদাবরের শেকেরটেক এলাকার শ্যামলী হাউজিং এর ছয় নম্বর সড়কে বি-৪৮ হোল্ডিংয়ে আট তলা বিলাস বহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। স্থানীয়রা পুলিশ কর্মকর্তার বিলাসবহুল এই বাড়ি নির্মাণ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। ফ্লাটের বেশিরভাগ ভাড়া দেয়া হয়েছে। ময়মনসিংহে কর্মরত অবস্থায় সৈয়দ গোলাম সারোয়ার এই বাড়িটি নির্মাণ করেন বলে জানায় স্থানীয়রা। এই বাড়ি করার সময় নানা গুঞ্জন ছিল। এখনও আছে। ঢাকার আদাবরের মতো এলাকায় জায়গা কিনে আটতলার বাড়ি করতে ২০-৩০ কোটি টাকা কী করে পেলো পুলিশ সেটিই বড় রহস্য। ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকার ১০ তলা সৌহার্দ টাওয়ারে নিজ ও ৩ পুত্র এনামুল হক মাসুম, নাজমুল হক মারুফ ও মঞ্জুরুল হক মামুনের নামে ১২টি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এসবের বাইরে ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুর দৌলতমুন্সি রোডে ৪ শতাংশ জমিতে বাড়ি, বলাশপুর এলাকায় ১৫ শতাংশ জমি, শিকারীকান্দা এলাকায় ২০ শতাংশ জমি এবং টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের পাশে ২০ শতাংশ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করেছেন গোলাম সারোয়ার। নিজ গ্রামেও প্রচুর জমি কিনেছেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
দুদক সূত্র জানায়, সম্পদ বিবরণী পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে দুদক। এদিকে নোটিশ পাওয়ার পর থেকে নানা মহলে দৌড়ঝাঁপ করছেন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা। দম্ভোক্তি করে বলে বেড়াচ্ছেন দুদক তার কিছুই করতে পারবে না। টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাসিন্দা এই অভিযুক্ত কর্মকর্তা সর্বশেষ দুই বছর পূর্বে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় পুলিশ পরিদর্শক(ওসি) হিসেবে অবসরে যান।