বাংলারজমিন
কমলগঞ্জ হাসপাতালের টিএইচও পদ শূন্য বেতন পাচ্ছেন না ৯৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী
সাজিদুর রহমান সাজু, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) থেকে
২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
৫০ শয্যা বিশিষ্ট কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) পদ শূন্য থাকায় গত এক মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না হাসপাতালের ৯৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদোন্নতিজনিত বদলি হওয়ায় গত বছরের ১৯শে ডিসেম্বর অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে ওই পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাজেদুল কবির। এক মাসের অধিক সময় ধরে হাসপাতালের কর্মকর্তা,কর্মচারীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের ৯৭ জনের বেতন-ভাতা গত এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। কবে তারা বেতন পাবেন তাও কেউ বলতে পারছেন না। গত এক মাস ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ৯৭ স্টাফ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার পদোন্নতিজনতি বদলী হয়। কিন্তু তাহার কর্মস্থলে স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন কোনো কর্মকর্তার নিয়োগ না দেওয়ায় তিনি গত ১৯শে ডিসেম্বর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাজেদুল কবির এর নিকট তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে নতুন কর্মস্থলে চলে যান। এরপর শূন্য ওই পদে নতুন কোন কর্মকর্তা যোগদান না করায় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনায় প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দেয়। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাজেদুল কবিরকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাকে আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। ফলে তার স্বাক্ষরে অফিসিয়াল অন্যান্য কাজ হলেও বেতন উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা জানান, বেতন উত্তোলন করতে হলে ঢাকা প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন করে আনতে হয়। সেটাও করা যাচ্ছে না। এতে করে হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের ৯৭ জনের বেতন গত ডিসেম্বর মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক সমরজিত সিংহ বলেন, অফিসের স্টাফসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি মাসের ৩০ তারিখ বেতন উত্তোলন করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় গত ডিসেম্বর মাসের বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় ৯৭ জন স্টাফের বেতন প্রায় ২২ লাখ টাকা আটকে আছে। পাশাপাশি চলতি জানুয়ারি মাসের বেতন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে এখন পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার পর্যন্ত) কেউ যোগদান না করায় জানুয়ারি মাসের বেতন বিলে স্বাক্ষর না হওয়ার আশংকা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, সরকারী গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত স্বাস্থ্য বিভাগ। সেখানে এক মাসের অধিক সময় ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ খালি থাকায় আমাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। আমরা অনেক কষ্টে দিনযাপন করছি। আলাপকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সাজেদুল কবির বলেন, ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিজের স্বাক্ষরে অফিসিয়াল ও অন্যান্য কাজ করতে পারলেও বেতন বিলে স্বাক্ষরের অনুমোদন নেই। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাজান কবির চেীধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ শুন্য থাকার বিষয়টি ঢাকায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। আশা করি এ বিষয়টি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার পদোন্নতিজনতি বদলী হয়। কিন্তু তাহার কর্মস্থলে স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন কোনো কর্মকর্তার নিয়োগ না দেওয়ায় তিনি গত ১৯শে ডিসেম্বর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাজেদুল কবির এর নিকট তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে নতুন কর্মস্থলে চলে যান। এরপর শূন্য ওই পদে নতুন কোন কর্মকর্তা যোগদান না করায় ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনায় প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দেয়। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাজেদুল কবিরকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাকে আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়নি। ফলে তার স্বাক্ষরে অফিসিয়াল অন্যান্য কাজ হলেও বেতন উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা জানান, বেতন উত্তোলন করতে হলে ঢাকা প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন করে আনতে হয়। সেটাও করা যাচ্ছে না। এতে করে হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের ৯৭ জনের বেতন গত ডিসেম্বর মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক সমরজিত সিংহ বলেন, অফিসের স্টাফসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি মাসের ৩০ তারিখ বেতন উত্তোলন করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় গত ডিসেম্বর মাসের বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় ৯৭ জন স্টাফের বেতন প্রায় ২২ লাখ টাকা আটকে আছে। পাশাপাশি চলতি জানুয়ারি মাসের বেতন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে এখন পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার পর্যন্ত) কেউ যোগদান না করায় জানুয়ারি মাসের বেতন বিলে স্বাক্ষর না হওয়ার আশংকা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, সরকারী গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত স্বাস্থ্য বিভাগ। সেখানে এক মাসের অধিক সময় ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ খালি থাকায় আমাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। আমরা অনেক কষ্টে দিনযাপন করছি। আলাপকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সাজেদুল কবির বলেন, ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিজের স্বাক্ষরে অফিসিয়াল ও অন্যান্য কাজ করতে পারলেও বেতন বিলে স্বাক্ষরের অনুমোদন নেই। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাজান কবির চেীধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ শুন্য থাকার বিষয়টি ঢাকায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। আশা করি এ বিষয়টি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হবে।