এক্সক্লুসিভ
মোশাররফের এপিএস নূর খানের সম্পদনামা দুদকে
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া গণপূর্তের ঠিকাদার জিকে শামীমের সহযোগী নূর খানের সম্পদনামা তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ অবৈধ সমপদ অর্জন ও বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ দাখিলের পর তদন্তে নামে দুদক। অভিযোগটি গত ১৫ই জানুয়ারি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম অঞ্চল-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।
তিনি জানান, অভিযোগপত্রে বলা হয়-নূর খান সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পিও হিসেবে যোগদানের কিছুদিন পর এপিএস হিসেবে পদোন্নতি পান। এ সময় গণপূর্তমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে জিকে শামীম, পিএইচডব্লিউ-এর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকসহ একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সমপদের মালিক বনে যান। এছাড়া মন্ত্রীর প্রভাব কাজে লাগিয়ে তদবির বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য ও প্লট বাণিজ্য করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন। এরমধ্যে নূর খানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কাতালগঞ্জে সিপিডিএলের প্রজেক্টে তার নামে এবং তার ভাগ্নের নামে দুটি ফ্ল্যাট, জিইসি সার্কেলে লাজ ফার্মা নামে একটি ফার্মেসি, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি দোকান, হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদ্রাসায় বোয়ালীকুল, হাটহাজারী উপজেলার বড় দীঘিপাড়, সীতাকুণ্ডে বিপুল পরিমাণ জমি ও পূর্বাচলে ৫ কাঠার একটি প্লট থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা এপিএস নূর খানের আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে জিকে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর দুদক বা প্রশাসনের নজর এড়াতে হুন্ডির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে ২৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগও করা হয়েছে ওই অভিযোগপত্রে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এপিএস নূর খান মুঠোফোনে বলেন, দুদকে অভিযোগ দাখিলের বিষয়ে জানি না। তবে শুনেছি। কে বা কারা অভিযোগ করেছে তাও জানি না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি চক্র। দুদকে জমা দেয়া অভিযোগপত্রের অভিযোগগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, অভিযোগপত্রে বলা হয়-নূর খান সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পিও হিসেবে যোগদানের কিছুদিন পর এপিএস হিসেবে পদোন্নতি পান। এ সময় গণপূর্তমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে জিকে শামীম, পিএইচডব্লিউ-এর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকসহ একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সমপদের মালিক বনে যান। এছাড়া মন্ত্রীর প্রভাব কাজে লাগিয়ে তদবির বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য ও প্লট বাণিজ্য করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন। এরমধ্যে নূর খানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কাতালগঞ্জে সিপিডিএলের প্রজেক্টে তার নামে এবং তার ভাগ্নের নামে দুটি ফ্ল্যাট, জিইসি সার্কেলে লাজ ফার্মা নামে একটি ফার্মেসি, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি দোকান, হাটহাজারী উপজেলার উত্তর মাদ্রাসায় বোয়ালীকুল, হাটহাজারী উপজেলার বড় দীঘিপাড়, সীতাকুণ্ডে বিপুল পরিমাণ জমি ও পূর্বাচলে ৫ কাঠার একটি প্লট থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা এপিএস নূর খানের আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে জিকে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর দুদক বা প্রশাসনের নজর এড়াতে হুন্ডির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে ২৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগও করা হয়েছে ওই অভিযোগপত্রে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এপিএস নূর খান মুঠোফোনে বলেন, দুদকে অভিযোগ দাখিলের বিষয়ে জানি না। তবে শুনেছি। কে বা কারা অভিযোগ করেছে তাও জানি না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি চক্র। দুদকে জমা দেয়া অভিযোগপত্রের অভিযোগগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।