খেলা
‘পরিবারকে রাজি করানো কঠিন ছিল’
স্পোর্টস রিপোর্র্টার
২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
সবকিছু ঠিক থাকলে আজ রাত ৮টায় পাকিস্তান সফরের জন্য দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেখানে খেলবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দেশ ছাড়ার আগে গতকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ১১ বছর ধরে পাকিস্তান সফরে যায়নি বাংলাদেশ দল। পিসিবি’র প্রবল চাপের মুখে অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়েছে। যদিও দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম পারিবারিক কারনে এই সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন তার পরিববারের অনুমতি না পাওয়ায় পাকিস্তান যাবেন না তিনি। যদিও মুশফিকের ভায়েরা ভাই রিয়াদ পরিবারকে রাজি করিয়ে ঠিক যাচ্ছেন পাকিস্তানে। তবে তার পরিবারকে রাজি করানোটা বেশ কঠিন ছিল বলে জানিয়েছেন গতকালের সংবাদ সম্মেলনে। পাকিস্তান সফর নিয়ে মাহমুদুল্লাহর কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
এখন অনেকটা নিশ্চিত
প্রথমে অবশ্যই কঠিন (পরিবারকে রাজি করানো) ছিল। কারণ আমার পরিবারও উদ্বিগ্ন ছিল ব্যাপারটা নিয়ে। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলে রাজি করিয়েছি। এদিক থেকে আমি কিছুটা নিশ্চিন্ত, আমার পরিবার এতোটা দুশ্চিন্তা করবে না। কারণ পাকিস্তান আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই দিচ্ছে।
মুশফিকের সিদ্ধান্তেপূর্ণ সমর্থন
আর মুশির (মুশফিকুর রহীম) সিদ্ধান্ত আমি পূর্ণ সমর্থন করি। পরিবারের একটা ইস্যু থাকে সবসময়। কোনো ক্রিকেটার বা কোনো সাধারণ মানুষের জন্য পরিবারের চাইতে বড় আর কিছু হতে পারে না।
র্যাঙ্কিং নিয়ে ভাবছি না
র্যাঙ্কিং তো ভিন্ন কথা বলে। আমরা নয় নম্বরে, ওরা (পাকিস্তান) এক নম্বরে। টি-টোয়েন্টিতে ওরা ধারাবাহিক ভাবে খেলে আসছে। আমার মনে হয়, যেভাবে আমরা ক্রিকেট খেলেছি শেষ কয়েকটি সিরিজে, আমি আশাবাদী যে ভালো কিছু ম্যাচ আমরা উপহার দিতে পারবো। ইনশা আল্লাহ্ আমরা সিরিজ জেতার চেষ্টা করবো।
নিরাপত্তা নয় খেলাতেই ভাবনা
এই মুহূর্তে আমি একটা কথা বলতে পারি- দলের অন্য সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নয়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে। আমরা শুধু খেলার কথাই চিন্তা করছি। কীভাবে ওখানে গিয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারবো এবং জিততে পারবো- এটা নিয়েই ভাবছি।
দল নিয়ে খুশি
আমি এই মুহূর্তে খুবই খুশি, যারা স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছে তাদের নিয়ে। সবাই খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছে এই বিপিএলে। যারা ব্যাটসম্যান ছিল তারা রান পেয়েছে, বোলাররা যারা ছিল ওরা উইকেট নিয়েছে। সব মিলিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী আমার দল নিয়ে। দেখার বিষয়, আমরা ওখানে গিয়ে নিজেদের কতটা মেলে ধরতে পারি।
সিনিয়রদের দায়িত্ব বেশি
আমি এবং তামিম- আমরা দুজনই ব্যক্তিগতভাবে ফিল করি যে আমাদের ওপর দায়িত্ব বেশি থাকবে। টপঅর্ডারে তামিমের অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসবে। ও খুব ভালো ছন্দে আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করবো যে, আমার দায়িত্ব যেন ভালোভাবে পালন করতে পারি। আমার যে ভূমিকা থাকবে, শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করা- তা করার চেষ্টা করবো। আমার মনে হয়, সবারই দায়িত্ব থাকবে। অনেকের হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসতে পারে। আশা করছি, তারা এর সঙ্গে মানিয়ে নেবে।
মিডিয়া নিয়ে ভাবছি না
আপনাদের (সংবাদ মাধ্যম) সাপোর্টটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের চিন্তা করতে হবে আমাদের পারফরম্যান্সটা যেন যথাযথ হয়। আমরা এগুলো নিয়ে চিন্তিত না। আমার মনে হয় না, দলের কেউ এসব নিয়ে চিন্তিত। ডিসিশন হয়ে গেছে এখন আমাদের খেলতে হবে। আমাদের ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে।
অভিজ্ঞতার সবটুকু দেবো
আমার যত অভিজ্ঞতা আছে সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করবো মিডল অর্ডারে। দলের কয়েকজনকে ভিন্ন ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাটিং করা লাগতে পারে। আফিফ লাস্ট কয়েকটি সিরিজে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেছে। ও টপঅর্ডারে দারুণ ব্যাটিং করেছে বিপিএলে। অনেক টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে হতে পারে। এটা মানসিকভাবে মানিয়ে নেয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নতুনদের ওপর আস্থা
আমার মনে হয় যে কয়জন ক্রিকেটার আছে, আপনি যদি খেয়াল করেন, সৌম্য বেশ কয়েক বছর ধরে টানা খেলছে। আফিফ একজন নতুন ক্রিকেটার, নাঈমও নতুন। তবে তারা সবাই ভালো করছে কন্ডিশন এবং পরিস্থিতি বিবেচনায়। এটা খুবই ভালো একটা দিক। আমার মনে হয় এই জিনিসটি দলের মধ্যে একটা স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। এটা আমাদের সবার জন্যই ভালো। আমি এই জিনিসটি এভাবে দেখছি।
এখন অনেকটা নিশ্চিত
প্রথমে অবশ্যই কঠিন (পরিবারকে রাজি করানো) ছিল। কারণ আমার পরিবারও উদ্বিগ্ন ছিল ব্যাপারটা নিয়ে। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলে রাজি করিয়েছি। এদিক থেকে আমি কিছুটা নিশ্চিন্ত, আমার পরিবার এতোটা দুশ্চিন্তা করবে না। কারণ পাকিস্তান আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই দিচ্ছে।
মুশফিকের সিদ্ধান্তেপূর্ণ সমর্থন
আর মুশির (মুশফিকুর রহীম) সিদ্ধান্ত আমি পূর্ণ সমর্থন করি। পরিবারের একটা ইস্যু থাকে সবসময়। কোনো ক্রিকেটার বা কোনো সাধারণ মানুষের জন্য পরিবারের চাইতে বড় আর কিছু হতে পারে না।
র্যাঙ্কিং নিয়ে ভাবছি না
র্যাঙ্কিং তো ভিন্ন কথা বলে। আমরা নয় নম্বরে, ওরা (পাকিস্তান) এক নম্বরে। টি-টোয়েন্টিতে ওরা ধারাবাহিক ভাবে খেলে আসছে। আমার মনে হয়, যেভাবে আমরা ক্রিকেট খেলেছি শেষ কয়েকটি সিরিজে, আমি আশাবাদী যে ভালো কিছু ম্যাচ আমরা উপহার দিতে পারবো। ইনশা আল্লাহ্ আমরা সিরিজ জেতার চেষ্টা করবো।
নিরাপত্তা নয় খেলাতেই ভাবনা
এই মুহূর্তে আমি একটা কথা বলতে পারি- দলের অন্য সদস্যরা নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নয়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে। আমরা শুধু খেলার কথাই চিন্তা করছি। কীভাবে ওখানে গিয়ে ভালো পারফর্ম করতে পারবো এবং জিততে পারবো- এটা নিয়েই ভাবছি।
দল নিয়ে খুশি
আমি এই মুহূর্তে খুবই খুশি, যারা স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছে তাদের নিয়ে। সবাই খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছে এই বিপিএলে। যারা ব্যাটসম্যান ছিল তারা রান পেয়েছে, বোলাররা যারা ছিল ওরা উইকেট নিয়েছে। সব মিলিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী আমার দল নিয়ে। দেখার বিষয়, আমরা ওখানে গিয়ে নিজেদের কতটা মেলে ধরতে পারি।
সিনিয়রদের দায়িত্ব বেশি
আমি এবং তামিম- আমরা দুজনই ব্যক্তিগতভাবে ফিল করি যে আমাদের ওপর দায়িত্ব বেশি থাকবে। টপঅর্ডারে তামিমের অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসবে। ও খুব ভালো ছন্দে আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করবো যে, আমার দায়িত্ব যেন ভালোভাবে পালন করতে পারি। আমার যে ভূমিকা থাকবে, শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করা- তা করার চেষ্টা করবো। আমার মনে হয়, সবারই দায়িত্ব থাকবে। অনেকের হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসতে পারে। আশা করছি, তারা এর সঙ্গে মানিয়ে নেবে।
মিডিয়া নিয়ে ভাবছি না
আপনাদের (সংবাদ মাধ্যম) সাপোর্টটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের চিন্তা করতে হবে আমাদের পারফরম্যান্সটা যেন যথাযথ হয়। আমরা এগুলো নিয়ে চিন্তিত না। আমার মনে হয় না, দলের কেউ এসব নিয়ে চিন্তিত। ডিসিশন হয়ে গেছে এখন আমাদের খেলতে হবে। আমাদের ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে।
অভিজ্ঞতার সবটুকু দেবো
আমার যত অভিজ্ঞতা আছে সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করবো মিডল অর্ডারে। দলের কয়েকজনকে ভিন্ন ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাটিং করা লাগতে পারে। আফিফ লাস্ট কয়েকটি সিরিজে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেছে। ও টপঅর্ডারে দারুণ ব্যাটিং করেছে বিপিএলে। অনেক টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে হতে পারে। এটা মানসিকভাবে মানিয়ে নেয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নতুনদের ওপর আস্থা
আমার মনে হয় যে কয়জন ক্রিকেটার আছে, আপনি যদি খেয়াল করেন, সৌম্য বেশ কয়েক বছর ধরে টানা খেলছে। আফিফ একজন নতুন ক্রিকেটার, নাঈমও নতুন। তবে তারা সবাই ভালো করছে কন্ডিশন এবং পরিস্থিতি বিবেচনায়। এটা খুবই ভালো একটা দিক। আমার মনে হয় এই জিনিসটি দলের মধ্যে একটা স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। এটা আমাদের সবার জন্যই ভালো। আমি এই জিনিসটি এভাবে দেখছি।