বিনোদন

চলে যাওয়ার এক বছর

স্টাফ রিপোর্টার

২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৮:১১ পূর্বাহ্ন

কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গতবছর এই দিনে রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ বাসায় ৬৩ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ কীর্তিমান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭০ সালের শেষ লগ্ন  থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সংগীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ থেকে ফেরার পর টানা  দেড় দশক শুধু দেশের গান তৈরি করেছেন তিনি। বুলবুল ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদি, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনকচাঁপাসহ বাংলাদেশি জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। সংগীতে অবদানের জন্য বুলবুল রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পান। প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি গান লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন। বুলবুলের কথা ও সুরে অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে। এরমধ্যে  উল্লেখযোগ্য হলো- ‘সব ক’টা জানালা খুলে দাও না’, ‘মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘এই দেশ আমার সুন্দরী রাজকন্যা’, ‘উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘চিঠি লিখেছে বউ আমার’, ‘আমার দুই চোখে দুই নদী’, ‘একাত্তরের মা জননী’, ‘আমি জীবন্ত একটা লাশ, ‘অনেক সাধনার পরে’ প্রভৃতি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status