প্রথম পাতা
৪ বছরের জাহিনকে রেখে না ফেরার দেশে বাবা-মা
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে
১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
মাত্র ৪ বছর বয়সী শিশুসন্তানকে রেখে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন পিতা-মাতা। মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় জাহিনকে নিঃস্ব, করে গেছে। অবশ্য ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে জাহিন। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার শান্তিরহাট এলাকায়। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তছনছ হয়ে গেছে একটি সাজানো সংসার। এলোমেলো হয়ে গেছে সবকিছু। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে স্বামী জাহিদ হোসেন শাকিল স্ত্রী নিগার সুলতানার অসুস্থ পিতাকে দেখতে যাচ্ছিলেন সাতকানিয়ার খাগরিয়ার। সঙ্গে ছিল চার বছর বয়সী সন্তান মোজাব্বির হোসেন জাহিন। কিন্তু পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান জাহিদ ও নিগার সুলতানা। দুর্ঘটনায় বাবার কোলে থাকা জাহিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। চিকিৎসকদের পরামর্শে জাহিনকে পরিবারের অন্য সদস্যের সঙ্গে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। জাহিন জানে না তার বাবা-মা চিরতরে তাকে বিদায় জানিয়েছে। আর কোনোদিন বাবা-মা ডাকতে পারবে না। নিহত জাহিদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর ভাগ্নে। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিলে। জাহিদ দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকলেও কয়েক বছর আগে দেশে এসে পরিবহন ব্যবসা শুরু করেন। পরিবার নিয়ে তিনি কাতালগঞ্জ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। জাহিদের স্ত্রী নিগার সুলতানার বাবার বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া এলাকায়। নিগার পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় প্যারেড মাঠে জাহিদ-নিগারের প্রথম দফা জানাজা হয়। তাদের লাশ চকরিয়ার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এলাকায় কান্নার রোল পড়ে যায়। সবাই বাবা-মা হারা শিশুসন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় কৈয়ারবিল জামেউল উলুম মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজার নামাজে শোকাহত মানুষের ঢল নামে।