শেষের পাতা
পিয়াসার মেহেদী কেড়ে নিলো ঘাতক সড়ক
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন
বিয়ের আলোকসজ্জা দেখে বাড়ি ফেরার সময় নববধূসহ একই পরিবারের তিন নারী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন শিশুসহ আরও চারজন। নিহতরা হলেন- যশোর শহরের বিসিএমসি কলেজ এলাকার ইয়াসিন আলীর মেয়ে ও আদদ্বীন সখিনা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী তনিমা ইয়াসমিন পিয়াসা (২৫), তার বোন তানজিলা ইয়াসমিন ইয়াশা (২৮) ও ভাবি আফরোজা তাবাসসুম তিথি (৩২)।
নিহতের চাচাত ভাই আবদুল করিম জানান, গাড়ির চালক শফিকুল ইসলাম জ্যোতির সঙ্গে তনিমা ইয়াসমিন পিয়াসার (২৫) দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। আগামী ২৩শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পিয়াসাকে তাদের তুলে নেয়ার কথা ছিল। এ কারণে জ্যোতির বাড়িতে আলোকসজ্জা করা হয়। পিয়াসা রাতে ফোন করে জ্যোতিকে জানান, তারা আলোকসজ্জা দেখবেন এবং শহরে ঘুরবেন। এ কারণে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জ্যোতি তার নিজস্ব প্রাইভেট কারটি নিয়ে বের হন। গাড়িতে পিয়াসার বোন তানজিলা ইয়াসমিন ও পিয়াসার খালাত ভাবি আফরোজা তাবাসসুম তিথী, তার মেয়ে মানিজুর, জ্যোতির বন্ধু শাহিন হোসেন ও হৃদয় ছিলেন। তারা আলোকসজ্জা দেখে ও স্বজনদের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের পালবাড়ি এলাকা থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় শহরের পুরাতন কসবা শহীদ মসিয়ূর রহমান সড়কের (আকিজের গলি) পাশে থাকা একটি বিল্ডিংয়ের প্রাচীর ও বিদ্যুতের খুঁটিতে সজোরে আঘাত করে গাড়িটি। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আহতরা জানিয়েছেন, প্রাইভেট কারের গতিবেগ খুব বেশি ছিল। এসময় শফিকুল ইসলাম জ্যোতিকে গাড়ি স্লো করার অনুরোধ জানালেও সে শোনেনি। তার কথাবার্তা ছিল এলামেলো। মনে হচ্ছিল সে নেশাগ্রস্থ ছিল।
যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর শেখ তাসমীম আলম বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১টার দিকে পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও ৯৯৯ নম্বর থেকে আমরা জানতে পারি, শহরের শহীদ মসিয়ূর রহমান সড়কে একটি প্রাইভেটকার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তথ্য পেয়েই পুলিশের রাত্রিকালীন দুটি টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এঘটনায় প্রাইভেট কার চালক শফিকুল ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’
নিহতের চাচাত ভাই আবদুল করিম জানান, গাড়ির চালক শফিকুল ইসলাম জ্যোতির সঙ্গে তনিমা ইয়াসমিন পিয়াসার (২৫) দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। আগামী ২৩শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পিয়াসাকে তাদের তুলে নেয়ার কথা ছিল। এ কারণে জ্যোতির বাড়িতে আলোকসজ্জা করা হয়। পিয়াসা রাতে ফোন করে জ্যোতিকে জানান, তারা আলোকসজ্জা দেখবেন এবং শহরে ঘুরবেন। এ কারণে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জ্যোতি তার নিজস্ব প্রাইভেট কারটি নিয়ে বের হন। গাড়িতে পিয়াসার বোন তানজিলা ইয়াসমিন ও পিয়াসার খালাত ভাবি আফরোজা তাবাসসুম তিথী, তার মেয়ে মানিজুর, জ্যোতির বন্ধু শাহিন হোসেন ও হৃদয় ছিলেন। তারা আলোকসজ্জা দেখে ও স্বজনদের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের পালবাড়ি এলাকা থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় শহরের পুরাতন কসবা শহীদ মসিয়ূর রহমান সড়কের (আকিজের গলি) পাশে থাকা একটি বিল্ডিংয়ের প্রাচীর ও বিদ্যুতের খুঁটিতে সজোরে আঘাত করে গাড়িটি। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আহতরা জানিয়েছেন, প্রাইভেট কারের গতিবেগ খুব বেশি ছিল। এসময় শফিকুল ইসলাম জ্যোতিকে গাড়ি স্লো করার অনুরোধ জানালেও সে শোনেনি। তার কথাবার্তা ছিল এলামেলো। মনে হচ্ছিল সে নেশাগ্রস্থ ছিল।
যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর শেখ তাসমীম আলম বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১টার দিকে পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও ৯৯৯ নম্বর থেকে আমরা জানতে পারি, শহরের শহীদ মসিয়ূর রহমান সড়কে একটি প্রাইভেটকার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তথ্য পেয়েই পুলিশের রাত্রিকালীন দুটি টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এঘটনায় প্রাইভেট কার চালক শফিকুল ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’