এক্সক্লুসিভ
রাশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগ
মানবজমিন ডেস্ক
১৮ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৭:১৬ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ পাওয়ার একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাছাই করা এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগে উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিশুস্তিনকে নির্বাচিত করেন পুতিন। তার পছন্দে সায় দিয়ে মিশুস্তিনের নিয়োগ নিশ্চিত করে দেশটির পার্লামেন্ট। এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস। বুধবার বার্ষিক ‘স্টেট অব দ্য ন্যাশন’ ভাষণে পুতিন গণভোটের মাধ্যমে সংবিধানে বড় ধরনের সংশোধনী আনার প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে প্রেসিডেন্টের অনেক ক্ষমতা পার্লামেন্টের কাছে হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া, প্রস্তাবিত সংশোধনীর মধ্যে রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক আইনের দাপট কমানো, প্রেসিডেন্টের দুই মেয়াদের নিয়ম সংশোধন করা, বিদেশি নাগরিকত্ব কিংবা বিদেশে বসবাসের অনুমতি থাকা ব্যক্তিদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে নিষিদ্ধের আইন সুসংহত করার কথাও বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিনের ভাষণের পরপরই প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে পদত্যাগ করেন। এরপর বৃহস্পতিবার তার স্থলাভিষিক্ত হন মিশুস্তিন।
দ্য টাইমস জানায়, মিশুস্তিন পূর্বে একজন শুল্ক কর্মকর্তা ছিলেন। নিয়োগ পাওয়ার পরপরই সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। প্রমাণ হিসেবে বেশকিছু গোপন নথিপত্র প্রকাশ করেছেন তিনি। নথিপত্র অনুসারে, মিশুস্তিনের স্ত্রী ভ্লাদলেনা গত নয় বছরে প্রায় ৯৯ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১০ কোটি টাকার বেশি) আয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও তার কোনো ব্যবসা বা চাকরি নেই। ৫৩ বছর বয়সি মিশুস্তিন ১৯৯৮ সাল থেকে একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালে তাকে শুল্ক বিভাগের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর পদ পান তিনি। রাশিয়ার বেশিরভাগ জনগণই তার সম্পর্কে খুব অল্প জানে।
নাভালনি অভিযোগ করেন, ভ্লাদলেনার এই অকস্মাৎ সম্পদ অর্জনের পেছনে তার স্বামীর হাত রয়েছে। তিনি বলেন, মিশুস্তিন জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য। যেখানে সাধারণ জনতা দশকের পর দশক কাজ করে ৫ লাখ রুবল অর্জন করতে পারে না সেখানে তার স্ত্রী কীভাবে ৩২০ গুণ বেশি অর্থ আয় করলো? তিনি কী কাজ করেন? বিনিয়োগ করেন? করলে- কোথায়?
নাভালনি আরো বলেন, এটা স্পষ্ট যে কেউ যদি ব্যবসা করে প্রায় অর্ধশত কোটি রুবল আয় করে তাহলে তার ব্যবসার প্রমাণ দেয়া কঠিন হওয়া উচিত নয়। নাভালনির অভিযোগ নিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি মিশুস্তিন দম্পতি। মিশুস্তিনের স্ত্রীর অর্থসম্পদ নিয়ে উন্মুক্ত কোনো তথ্য নেই। তবে বিভিন্ন নথিপত্র অনুসারে, মস্কোর নিকটে একটি অভিজাত আবাসিক জায়গা তাদের ৭৪ লাখ পাউন্ড দামের একটি বাড়ি রয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। তবে ২০১৮ সালের কর ফেরত হিসাব অনুসারে, আবাসিক এলাকাটিতে মিশুস্তিন বা তার স্ত্রী কোনো সম্পত্তির মালিক নন।
এছাড়া, প্রস্তাবিত সংশোধনীর মধ্যে রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক আইনের দাপট কমানো, প্রেসিডেন্টের দুই মেয়াদের নিয়ম সংশোধন করা, বিদেশি নাগরিকত্ব কিংবা বিদেশে বসবাসের অনুমতি থাকা ব্যক্তিদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে নিষিদ্ধের আইন সুসংহত করার কথাও বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিনের ভাষণের পরপরই প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে পদত্যাগ করেন। এরপর বৃহস্পতিবার তার স্থলাভিষিক্ত হন মিশুস্তিন।
দ্য টাইমস জানায়, মিশুস্তিন পূর্বে একজন শুল্ক কর্মকর্তা ছিলেন। নিয়োগ পাওয়ার পরপরই সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন। প্রমাণ হিসেবে বেশকিছু গোপন নথিপত্র প্রকাশ করেছেন তিনি। নথিপত্র অনুসারে, মিশুস্তিনের স্ত্রী ভ্লাদলেনা গত নয় বছরে প্রায় ৯৯ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১০ কোটি টাকার বেশি) আয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও তার কোনো ব্যবসা বা চাকরি নেই। ৫৩ বছর বয়সি মিশুস্তিন ১৯৯৮ সাল থেকে একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালে তাকে শুল্ক বিভাগের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর পদ পান তিনি। রাশিয়ার বেশিরভাগ জনগণই তার সম্পর্কে খুব অল্প জানে।
নাভালনি অভিযোগ করেন, ভ্লাদলেনার এই অকস্মাৎ সম্পদ অর্জনের পেছনে তার স্বামীর হাত রয়েছে। তিনি বলেন, মিশুস্তিন জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য। যেখানে সাধারণ জনতা দশকের পর দশক কাজ করে ৫ লাখ রুবল অর্জন করতে পারে না সেখানে তার স্ত্রী কীভাবে ৩২০ গুণ বেশি অর্থ আয় করলো? তিনি কী কাজ করেন? বিনিয়োগ করেন? করলে- কোথায়?
নাভালনি আরো বলেন, এটা স্পষ্ট যে কেউ যদি ব্যবসা করে প্রায় অর্ধশত কোটি রুবল আয় করে তাহলে তার ব্যবসার প্রমাণ দেয়া কঠিন হওয়া উচিত নয়। নাভালনির অভিযোগ নিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি মিশুস্তিন দম্পতি। মিশুস্তিনের স্ত্রীর অর্থসম্পদ নিয়ে উন্মুক্ত কোনো তথ্য নেই। তবে বিভিন্ন নথিপত্র অনুসারে, মস্কোর নিকটে একটি অভিজাত আবাসিক জায়গা তাদের ৭৪ লাখ পাউন্ড দামের একটি বাড়ি রয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। তবে ২০১৮ সালের কর ফেরত হিসাব অনুসারে, আবাসিক এলাকাটিতে মিশুস্তিন বা তার স্ত্রী কোনো সম্পত্তির মালিক নন।