দেশ বিদেশ
জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করলো শিক্ষার্থীরা
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১৫ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং গণবিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বৈধ ভিসির নিয়োগের দাবিতে প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের চার তলার গণবিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বাৎসরিক বাজেট পাস ও মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সাধারণ সভায় যোগদান করতে আসেন তিনি। এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়ে তোপের মুখে পড়েন তিনি। গণবিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি জুয়েল রানা ও অন্য শিক্ষার্থীসহ ছাত্রনেতারা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) মো. জুয়েল রানা জাফরুল্লাহকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিয়ে নাটক শুরু করছেন। শুধুমাত্র আপনার জন্য বৈধ উপাচার্য, ব্যবসায় প্রশাসন ও ফিজিওথেরাপি বিভাগের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আপনি শিক্ষার্থীদের সাথে বসে কোনো সমাধান না দেয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকবেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুরের দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সঙ্গে বৈঠক করতে এসেছিলেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) তার কাছে উপাচার্যের বৈধতা, বিবিএ ও ফিজিওথেরাপি বিভাগের সমস্যা, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বাজেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসপেক্টাস না মানাসহ বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তবে এসব প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি প্রশাসনিক ভবনে কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করতে যান। পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেই রুমটি তালাবদ্ধ করে দেন। গণবিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি জুয়েল রানা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েও তার কোনো প্রতিফলন শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করতে না পারায় এবং বিভিন্ন বিভাগের অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ফলপ্রসূ ভূমিকা না থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো লিখিতভাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দেয়া হয়েছে। দাবি না মানা হলে তালা খোলা হবে না। এসময় ওই কক্ষে ডা. জাফরুল্লাহর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্ত্তুজা আলী বাবু, সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার আবু মুহাম্মদ মোকাম্মেল, জনসংযোগ কর্মকর্তা শিরিন সুলতানাসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। গণবিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শিরিন সুলতানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর দুটার দিকে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার শর্তে তালা খুলে দেয়া হয়েছে।